কক্সবাজারে নর্থ-সাউথের ছাত্রকে হত্যাচেষ্টায় অবশেষে মামলা নিলো পুলিশ
প্রধান আসামি উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান- কক্সবাজার অফিস
- ০৯ জুন ২০২৪, ০০:৫৪
কক্সবাজার শহরের কাছে ঢাকার নর্থ-সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র মাসুদ করিমকে বর্বর নির্যাতন ও গলা কেটে হত্যা চেষ্টার ঘটনায় অবশেষে থানায় মামলা হয়েছে। তবে এ পর্যন্ত কেউ গ্রেফতার হয়নি। মামলায় অভিযুক্ত প্রধান আসামি কক্সবাজার সদর উপজেলা পরিষদের নবনির্বাচিত ভাইস চেয়ারম্যান রশিদ মিয়া। মাসুদ করিমকে কক্সবাজার থেকে ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে আনা হয়েছে। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, তার অবস্থা আশঙ্কাজনক। এদিকে মামলার পর মাসুদ করিমের পরিবারের সদস্যরা চরম নিরাপত্তাহীনতার মধ্যে রয়েছেন বলে জানা গেছে।
ঘটনাটি ঘটেছে গত ৩ জুন বেলা ২টার দিকে কক্সবাজার শহরের কাছে দক্ষিণ হাজিপাড়া এলাকায়। মাসুদ করিম ঝিলংজা হাজিপাড়া এলাকার হাজী আশরাফ আলীর ছেলে। তাকে জবাই করে হত্যা চেষ্টার অভিযোগে শুক্রবার (৭ জুন) কক্সবাজার সদর মডেল থানায় রশিদ মিয়াকে ১ নাম্বার আসামি করে ৬ জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
সূত্রমতে গত ৩ জুন পৈতৃক সম্পত্তি দেখার জন্য মাসুদ করিম গত ৩ জুন হাজিপাড়া শফিউল আলমের বাড়ি পর্যন্ত গেলে আগে থেকে ওঁৎ পেতে থাকা একদল সশস্ত্র সন্ত্রাসী তার উপর হামলা করে। একপর্যায়ে উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান রশিদ মিয়া সন্ত্রাসীদের মোবাইল ফোনের লাউড স্পিকারে মাসুদ করিমকে হত্যা করে তিন টুকরো করে বস্তায় ভরার জন্য নির্দেশনা দেন। সেই নির্দেশনা মোতাবেক কামরুল হাসান মুসা, মোহাম্মদ জুনায়েদ প্রকাশ মিন্টু, মো: শাকিব, শোয়েব মোহাম্মদ আকাশ প্রকাশ বাচাইয়া ও হামিদ মিয়া মাসুদ করিমকে উপর্যুপরি কোপাতে থাকে। তাদের আঘাতে সে মাটিতে লুটিয়ে পড়লে মারা গেছে মনে করে চলে যায় সন্ত্রাসীরা। হামলার সময় শোর চিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে এসে রক্তাক্ত অবস্থায় মাসুদ করিমকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেন। অবস্থার অবনতি হলে পরে এয়ার অ্যাম্বুল্যান্সে করে ওই দিন বিকেলে তাকে ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বর্তমানে তার অবস্থা আশঙ্কাজনক।
এদিকে কক্সবাজার সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রকিবুজ্জামান বলেন, আমরা খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়েছিলাম। পরবর্তীতে আহতের বড় ভাই বাদি হয়ে একটি এজাহার দিয়েছেন। এটি মামলা হিসেবে রুজু করা হয়েছে। আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা