প্রেক্ষিত পরিকল্পনা ২০২১-৪১ বাস্তবায়নে গণমাধ্যম ভূমিকা রাখতে পারে

প্রেক্ষিত পরিকল্পনা ২০২১-৪১ বাস্তবায়নে গণমাধ্যম বড় ভূমিকা রাখতে পারে। এই বিষয়কে কেন্দ্র করে উন্নয়ন সাংবাদিকতা নিয়ে গঠনমূলক প্রতিবেদন তৈরি করতে হবে। যা পরিকল্পনা বাস্তবায়নে সহায়ক শক্তি হিসেবে কাজ করবে।
গতকাল সোমবার জাতীয় গণমাধ্যম ইনস্টিটিউট আয়োজিত প্রেক্ষিত পরিকল্পনা ২০২১-৪১ এবং গণমাধ্যম শীর্ষক সেমিনারে বক্তারা এ কথা বলেন। সেমিনারে সাংবাদিকরা সরকারি দফতর থেকে সহজে তথ্যপ্রাপ্তির তাগিদ দেন। এতে বস্তুনিষ্ঠ প্রতিবেদন তৈরি করাও সহজ হবে বলে মত দেন সাংবাদিকরা।
জাতীয় গণমাধ্যম ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক সুফী জাকির হোসেনের সভাপতিত্বে সেমিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ড. মোহাম্মদ আলতাফ-উল-আলম। আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনএনআরসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এএইচএম বজলুর রহমান।
অতিরিক্ত সচিব ড. মোহাম্মদ আলতাফ-উল-আলম বলেন, প্রেক্ষিত বাংলাদেশ ধারণাটি প্রথম আলোচনায় আসে ২০২১ সালে। আমাদের ছোট ছোট নানা ধরনের পরিকল্পনা আছে কিন্তু প্রেক্ষিত পরিকল্পনা দীর্ঘমেয়াদি। এই পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য সবার সম্মলিতভাবে কাজ করতে হবে।
জাতীয় গণমাধ্যম ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক বক্তব্যের বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশের বৈশিষ্ট্য হলো দেশের জনগণের আর্থিক ও সামাজিক উন্নয়ন, জিডিপির হার বৃদ্ধি, ক্যাশলেস সোসাইটি গঠন, মাথাপিছু আয় প্রভৃতি।
এ এইচ এম বজলুর রহমান বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশের প্রেক্ষিত পরিকল্পনায় ৮ম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা, উন্নয়ন বাজেট, দারিদ্র্য বিমোচন কর্মসূচি প্রভৃতি বিষয় অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। বাংলাদেশের প্রেক্ষিত পরিকল্পনায় গণমাধ্যমের ভূমিকা হিসেবে সাংবাদিকদের উন্নয়ন সাংবাদিকতা বিষয়ে গঠনমূলক প্রতিবেদন তৈরি করতে হবে। গণমাধ্যমকে ডিজিটাল বাংলাদেশ, স্মার্ট বাংলাদেশের সূচকগুলো নিয়ে নিয়মিত রিপোর্ট তৈরি করতে হবে। তবেই প্রেক্ষিত পরিকল্পনার বিষয়গুলো সম্পূর্ণরূপে প্রস্ফুটিত হবে। জাতীয় গণমাধ্যম ইনস্টিটিউটের পরিচালক মো: নজরুল ইসলামের সঞ্চালনায় অন্যদের মধ্যে আলোচনা করেন জাতীয় গণমাধ্যম ইনস্টিটিউটের পরিচালক ড. মো: মারুফ নাওয়াজ। সেমিনারে পরিচালক হিসেবে ইনস্টিটিউটের প্রোগ্রামার মোহা. আব্দুস সালাম এবং সমন্বয়ক হিসেবে সহকারী গ্রন্থাগারিক কাজী ওমর খৈয়াম দায়িত্ব পালন করেন।