তামাক কোম্পানিকে ছাড়ে সরকারের পদক্ষেপ প্রশ্নবিদ্ধ
- নিজস্ব প্রতিবেদক
- ৩১ মে ২০২৪, ০০:০৫
তামাক উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানকে আবারো লাল তালিকাভুক্ত করার দাবি জানিয়ে এর উন্নীত শ্রেণীভুক্তি নিয়ে বিস্ময় প্রকাশ করেছেন পরিবেশবাদীরা। তারা বলছেন, পরিবেশ সংরক্ষণ বিধিমালায় তামাক সংশ্লিষ্ট শিল্প প্রতিষ্ঠানকে লাল শ্রেণীর পরিবর্তে তুলনামূলকভাবে কম ক্ষতিকর কমলা শ্রেণীভুক্ত করা হয়েছে। এর ফলে তামাকের ক্ষতি সম্বন্ধে একটি বিভ্রান্তির সৃষ্টি হবে এবং কোম্পানিগুলো অধিকতর ব্যবসায়িক সুবিধা গ্রহণের সুযোগ পাবে। জনস্বাস্থ্য ও পরিবেশের ওপর তামাকের ক্ষতিকর প্রভাব বিবেচনায় নিয়ে পরিবেশ সংরক্ষণ বিধিমালা ২০২৩ আবারো সংশোধন করে তামাক উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানকে আবারো লাল তালিকাভুক্ত করার দাবি জানিয়েছেন তারা।
বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবসকে কেন্দ্র করে পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলন (পবা), বাংলাদেশ তামাকবিরোধী জোট (বাটা) তামাকবিরোধী নারী জোট (তাবিনাজ) এবং ওয়ার্ক ফর এ বেটার বাংলাদেশ (ডাব্লিউবিবি) ট্রাস্ট’র সম্মিলিত উদ্যোগে গতকাল জাতীয় প্রেস ক্লাবে আকরম খাঁ হলে অনুষ্ঠিত একটি সভায় বক্তারা এই দাবি জানান। পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলন (পবা)’র নির্বাহী সভাপতি ও বিশিষ্ট জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ডা: লেনিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে ‘তামাক কারখানায় : পরিবেশ আইন প্রয়োগের সীমাবদ্ধতা ও করণীয়’ শীর্ষক আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলন (পবা)’র সহ-সাধারণ সম্পাদক এম এ ওয়াহেদ রাসেল সভায় মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন ডাব্লিউবিবি ট্রাস্ট’র হেড অব প্রোগ্রাম সৈয়দা অনন্যা রহমান। সভায় সম্মানিত আলোচক হিসেবে, তামাকবিরোধী নারী জোটের আহ্বায়ক ফরিদা আখতার, বাংলাদেশ তামাকবিরোধী জোটের ভারপ্রাপ্ত সমন্বয়কারী হেলাল আহমেদ, বাংলাদেশ নেটওয়ার্ক ফর টোবাকো ট্যাক্স পলিসির (বিএনটিটিপি) সচিবালয় ব্যবস্থাপক হামিদুল ইসলাম। ডা: লেনিন চৌধুরী বলেন, তামাক কারখানাগুলো লাল থেকে কমলা শ্রেণীতে নিয়ে আসার জন্য দায়ীদের জবাবদিহিতার আওতায় আনার পাশাপাশি ফসলি জমিতে তামাক চাষ নিষিদ্ধ করা প্রয়োজন। তিনি তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন লঙ্ঘনকারীদের কঠিন শাস্তির আওতায় আনার দাবি জানিয়ে ২০৪০ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে তামাকমুক্ত করার জন্য প্রয়োজনীয় রোডম্যাপ প্রণয়নের প্রতি গুরুত্বারোপ করেন। ফরিদা আখতার বলেন, তামাক কোম্পানিগুলো দীর্ঘমেয়াদে ভোক্তা তৈরি করার জন্য শিশু এবং তরুণদের টার্গেট করছে। জর্দা গুলসহ সব ধোঁয়াবিহীন তামাকজাত দ্রব্য তৈরির কারখানা স্থাপনের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষই সহজ শর্তে উদ্যেক্তাদের সুযোগ করে দিচ্ছে। তিনি আরো বলেন, তামাক কোম্পানির পরিচালনা বোর্ডে সরকারের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের উপস্থিতি সরকারের তামাক নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচিকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে। সরকারকে এসব দিকে নজর দিতে হবে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা