১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

সর্বজনীন পেনশন স্কিম চাপিয়ে দেয়ায় রা.বি জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরামের নিন্দা ও প্রতিবাদ

-

বিশ্ববিদ্যালয়সমূহে প্রহসনমূলক সর্বজনীন পেনশন স্কিম চাপিয়ে দেয়ায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরাম তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছে। সংগঠনটির সভাপতি প্রফেসর ড. মো: আব্দুল আলিম এবং সাধারণ সম্পাদক প্রফেসর ড. মোহাম্মদ আমীরুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে;
নিম্ন আয় ও অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতে নিয়োজিত জনগোষ্ঠীকে পেনশনের আওতায় আনার লক্ষ্যে প্রণীত সর্বজনীন পেনশন স্কিম আইন ২০২৩ আগামী ১ জুলাই ২০২৪ থেকে চালু করার ঘোষণা দিয়েছে বর্তমান ‘ডামি’ সরকার। নামে সর্বজনীন হলেও প্রশাসন, পুলিশ, প্রতিরক্ষা, বিচার বিভাগসহ রাজস্ব খাতের অন্য কর্মচারীদের সুকৌশলে এই স্কিমের বাইরে রেখে শুধুমাত্র বিশ্ববিদ্যালয়সমূহকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এর ফলে দেশব্যাপী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের মধ্যে চরম হতাশা ও ক্ষোভ বিরাজ করছে। বেশ ক’টি বিশ্ববিদ্যালয়ে এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে শিক্ষকরা এরই মধ্যে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেছেন। আমরা মনে করি, ব্যাপক দুর্নীতিগ্রস্ত অবৈধ সরকারের ভঙ্গুর অর্থনীতিকে চাঙ্গা করার ব্যর্থ প্রয়াসের অংশ হিসেবে এই বৈষম্যমূলক সিদ্ধান্ত সামনে এনে জনগণকে বোকা বানিয়ে সরকার লুটপাটের নতুন খাত উন্মোচন করতে চায়। এই নিয়মে বিশ্ববিদ্যালয়সমূহে নতুন নিয়োগপ্রাপ্তরা নতুন স্কিমে যুক্ত হলে তা নতুন পুরাতনদের মধ্যে বৈষম্য সৃষ্টি করবে। এ ছাড়াও স্বাভাবিক পদোন্নতির পরিবর্তে যারা বিজ্ঞাপিত উচ্চতর পদে যোগদান করবেন তাদের ক্ষেত্রে পেনশন নীতিমালায় জটিলতা সৃষ্টির আশঙ্কা আছে। বর্তমানে মেধাসম্পন্ন ব্যক্তিরা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতার পেশায় আসতে নিরুৎসাহিত হওয়ার অন্যতম কারণ হলো চাকরিতে সুযোগ-সুবিধার ক্ষেত্রে বৈষম্য। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের মেধার সঠিক মূল্যায়ন না হওয়ায় উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো মেধাশূন্য হয়ে পড়ছে ও দক্ষ নাগরিক গড়ে তোলার কাজ ব্যাহত হচ্ছে। জাতির জন্য এটি একটি অশনি সঙ্কেত বটে।

বিবৃতিতে আরো বলা হয়েছে, নতুন পেনশন স্কিম চালু হলে শিক্ষকরা আরেক দফা অবমূল্যায়নের শিকার হবেন বলে আমরা মনে করি। পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত, পাকিস্তানে শিক্ষকদের জন্য স্বতন্ত্র পে-স্কেল থাকলেও আমাদের দেশে তা কল্পনাতীত। বরং, দেশের বেশির ভাগ সরকারি চাকরিজীবীর তুলনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা পেশাগত সুযোগ-সুবিধার দিক থেকে ক্রমাগত পিছিয়ে পড়ছেন। জাতির মেরুদণ্ড শিক্ষাকে ধ্বংস করার গভীর ষড়যন্ত্রে দেশী-বিদেশী একটি প্রভাবশালী চক্র দীর্ঘদিন ধরে কাজ করে আসছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব বেতন কাঠামো, পেনশন ব্যবস্থাসহ সব ক্ষেত্রে স্বায়ত্তশাসন আজ হুমকির সম্মুখীন। তাই, দল-মতের উর্ধ্বে উঠে সব বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকর্মীদেরকে একসাথে সোচ্চার হওয়ার জন্য জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরাম, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় উদাত্ত আহবান জানাচ্ছে। বিজ্ঞপ্তি।

 


আরো সংবাদ



premium cement