উচ্চ আদালতের আদেশ অমান্য করে মুগদা সড়কে ফের উচ্ছেদ অভিযান!
- নিজস্ব প্রতিবেদক
- ১৮ মে ২০২৪, ০০:০০
উচ্চ আদালতের নির্দেশ অমান্য করে মুগদা সড়কে ফের উচ্ছেদ অভিযান চালিনো হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন এলাকার ভুক্তভোগীরা। গত বৃহস্পতিবার ম্যাজিস্ট্রেট মনিরুজ্জামানের নেতৃত্বে মুগদা-মান্ডা সড়কের দুপাশে বাড়িঘর ও দোকানপাট উচ্ছেদ অভিযান চলানো হয়।
হাইকোর্টে রিটকারী আইনজীবী মো: মশিহুর রহমান জানান, আদালত রাজধানীর মুগদা সড়কের দুই পাশে উচ্ছেদ অভিযান স্থগিতের আদেশ দিয়েছেন। বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো: আতাবুল্লাহর হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। সেই আদেশের বিরুদ্ধে গত ৫ মে চেম্বার জজে আপিল করে সিটি করপোরেশন। চেম্বার জজ বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম গত ১২ মে শুনানি করে কোনো আদেশ না দিয়ে আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে পাঠিয়ে দিয়েছেন। ফলে হাইকোর্টের আদেশটি বহাল রয়েছে। সিটি করপোরেশনের পক্ষে শুনানি করেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার মোহাম্মদ মেহেদী হাছান চৌধুরী। মুগদা এলাকাবাসীর পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার ফিদা এম কামাল ও অ্যাডভোকেট মো: মশিহুর রহমান। আপিল আবেদন আগামী ১৯ মে আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে শুনানির জন্য কার্য তালিকায় রয়েছে। অ্যাডভোকেট মো: মশিহুর রহমান আরো জানান, উচ্চ আদালতের আদেশ বহাল থাকা অবস্থায় সম্পূর্ণ জোরপূর্বক রিটকারীদের নিজস্ব সম্পত্তি ভাঙচুর করছে সিটি করপোরেশনের টিম। রিটকারী এলাকাবাসী সিটি করপোরেশনের ম্যাজিস্ট্রেট মনিরুজ্জামানকে উচ্চ আদালতের আদেশের কাগজ দেখালে তারা আমলে নিচ্ছেন না। আদালত ভাঙচুরের ওপর শুধু স্থগিতাদেশ দেননি, একই সাথে কেন উচ্ছেদের আগে জমির মূল্য পরিশোধ ও ক্ষতিপূরণ দেয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন। একই সাথে সিটি করপোরেশনে এলাকাবাসীর পক্ষে করা আবেদন নিষ্পত্তিরও নির্দেশ দিয়েছেন।
এলাকাবাসীর পক্ষে এ এস এম মাহবুবুর রহমান বলেন, সিটি করপোরেশন আমাদের ব্যক্তিগত সম্পত্তি অধিগ্রহণ না করে ভাঙচুর করেছে। এমনকি আমাদের মূল্যবান জিনিসপত্র তারা নিয়ে গেছে। একটি হাউজিং কোম্পানিকে সুবিধা দিতে তারা এ কাজ করছে দাবি করে, তিনি প্রশ্ন রাখেন, জমি অধিগ্রহণ না করে ব্যক্তিগত সম্পত্তি কিভাবে তারা ভাঙচুর করে? আমরা সড়ক প্রশস্তকরণের বিপক্ষে নই। কিন্তু আমাদের জমি তো সরকারিভাবে অধিগ্রহণ করতে হবে, সম্পত্তির মূল্য দিতে হবে, ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। এটি তো সরকারের বিধান।
এ ব্যাপারে ম্যাজিস্ট্রেট মনিরুজ্জামানকে ফোন দিলে তিনি ফোন ধরেননি। তবে মেসেজ পাঠালে তিনি জানান বিষয়টি তাদের আইনজীবী দেখছেন।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা