ইবি শিক্ষার্থীদের সাথে স্থানীয়দের সংঘর্ষে আহত ৬
- ইবি সংবাদদাতা
- ১৫ মে ২০২৪, ০২:০০
মেসের বিদ্যুৎ বিল নিয়ে বাগবিতণ্ডাকে কেন্দ্র করে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) সংলগ্ন ছাত্রী মেসে স্থানীয়দের সাথে কয়েকজন শিক্ষার্থীর মারামারির ঘটনা ঘটেছে। সোমবার (১৩ মে) সন্ধ্যা ৭টার দিকে ক্যাম্পাস পার্শ্ববর্তী নুরজাহান ছাত্রী মেসে এ ঘটনা ঘটে। এতে সাংবাদিকসহ উভয়পক্ষের অন্তত ৬ জন আহত হন।
আড়াই ঘণ্টা পর পুলিশ ও স্থানীয় মাতবরের মাধ্যমে এর সমাধান হয়। তবে পুরো সময়জুড়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হননি প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যরা। এ ছাড়া এ সময় একাধিক সাংবাদিক প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহাদৎ হোসেন আজাদকে মুঠোফোনে কল করলেও তিনি রিসিভ করেননি। ঘটনার পরের দিন ড. আজাদ জানান, তিনি পুলিশ ও স্থানীয়দের ফোন করে বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করেছেন।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, ওই মেসে থাকেন বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন ও ভূমি ব্যবস্থাপনা বিভাগের ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের ছাত্রী ফারিহা খাতুন। তার গত কয়েক মাসের বিদ্যুৎ বিল বকেয়া ছিল। এ নিয়ে মেস ম্যানেজারের সাথে তার কথা কাটাকাটি হয়। এ সময় মেস ম্যানেজার তার সাথে বাজে আচরণ করে বলে জানান ওই ছাত্রী। বিষয়টি ফারিহা তার সহপাঠী আবু হানিফ পিয়াসকে জানান। পরে পিয়াস হলের বন্ধুদের নিয়ে ওই মেসে যান। এ সময় তাদের সাথে ম্যানেজারের বাগি¦তণ্ডা ও হাতাহাতি হয়। একপর্যায়ে স্থানীয়রা একত্র হয়ে শিক্ষার্থীদের উপর হামলা করে। এতে পিয়াসসহ সমাজ কল্যাণ বিভাগের সাকিব আহমেদ, ইংরেজি বিভাগের হৃদয় আবির এবং আইসিটি বিভাগের নাঈম রেজা আহত হন বলে জানা গেছে। এ দিকে মেসের ম্যানেজার ও স্থানীয় আশিক হোসেনও আহত হন বলে দাবি করেন স্থানীয়রা। পরে স্থানীয়রা কয়েকজন সাধারণ শিক্ষার্থীকেও মারধর করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। সেখানে সংবাদ সংগ্রহ করতে গেলে এক সাংবাদিকও আহত হন। পরে, শৈলকুপা থানাধীন রামচন্দ্রপুর পুলিশ ফাঁড়ি থেকে দুইজন পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে স্থানীয় মাতব্বরকে সাথে নিয়ে উভয়পক্ষের মাঝে সমোঝোতা করে দেন।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহাদৎ হোসেন আজাদ বলেন, ঘটনাটি শোনার পরই আমি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও স্থানীয়দের সাথে কথা বলি। তারা বিষয়টি সমাধান করেছে। এখন পর্যন্ত কোনো লিখিত অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা