১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

দেশে ফিরেছে এমভি আবদুল্লাহ নাবিকরা স্বজনদের কাছে যাবেন আজ

-

সোমালীয় উপকূলে জিম্মিদশা থেকে মুক্ত হয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতে পণ্য খালাস ও নতুন পণ্য লোড করে অবশেষে কুতুবদিয়া এ্যানকরেজে নোঙর করেছে সামুদ্রিক জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ। গতকাল সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় জাহাজটি নোঙর করার তথ্য নিশ্চিত করেন জাহাজটির মালিক পক্ষ কেএসআরএম গ্রুপের মিডিয়া উপদেষ্টা মিজানুল ইসলাম। জাহাজটি নোঙর করার তথ্য জানিয়ে নিজের ফেসবুক পেজে জাহাজের চিফ অফিসার আতিকুল্লাহ খান লেখেন ‘ভালোবাসি বাংলাদেশ। আমার বাংলাদেশ।’ মোজাম্বিকের মাপুতো বন্দর থেকে কয়লা পরিবহন করে সংযুক্ত আরব আমিরাত যাওয়ার সময় জাহাজটি গত ১২ মার্চ রাতে ভারত মহাসাগরে সোমালি জলদস্যুদের কবলে পড়ে। দীর্ঘ দেনদরবার শেষে গত ১৪ এপ্রিল ভোরে জলদস্যুমুক্ত হয় জাহাজটি ও এর ২৩ নাবিক। মুক্ত হওয়ার পর ইউরোপীয় ইউনিয়ন নেভাল ফোর্সের আটলান্টা অপারেশনের যুদ্ধ জাহাজের প্রহরায় জাহাজটি সোমালি উপকূল অতিক্রম করে এবং গত ২২ এপ্রিল সংযুক্ত আরব আমিরাতের আল হামরিয়া বন্দরে পৌঁছায়। সেখানে কয়লা খালাসের পর ৫৬ হাজার টন চুনাপাথর লোড করার পরে মিনা সাকার এবং ফুজাইরা বন্দর হয়ে জাহাজটি ৩০ এপ্রিল ভোরে আরব আমিরাত ত্যাগ করে।
এদিকে জাহাজটির ২৩ নাবিকও জিম্মি দশার দুই মাস পর দেশে ফির স্বজনদের সাথে সাক্ষাতের জন্য উদগ্রীব হয়ে রয়েছেন, যাদের সবাই বাংলাদেশী। কেএসআরএম গ্রুপ সূত্রে জানা গেছে, জাহাজটিতে নতুন ২৩ জন নাবিক যোগদান করার কথা গতকালই। তারা এমভি আবদুল্লাহ জাহাজে যোগদানের পর জিম্মিদশা থেকে মুক্ত নাবিকরা দায়িত্ব হস্তান্তর করবেন। সব আনুষ্ঠানিকতা শেষে আজ মঙ্গলবার মুক্ত নাবিকরা দুপুর নাগাদ সদরঘাটে কেএসআরএম জেটিতে পৌঁছানোর পর তাদের সেখানে শুভেচ্ছা জানানোর কথা রয়েছে। সূত্র জানায়, জাহাজটির গভীরতা (ড্রাফট) বেশি থাকায় কুতুবদিয়ায় প্রাথমিকভাবে কিছু পরিমাণ পণ্য খালাসের পর চট্টগ্রাম বন্দর বহির্নোঙরে এনে বাকি পণ্য খালাস করা হবে।
গত ১২ মার্চ ভারত মহাসাগর থেকে কেএসআরএম গ্রুপের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান এসআর শিপিং লাইনের এই জাহাজটি সোমালিয়ার দস্যুরা ছিনতাই করে নিজেদের নিয়ন্ত্রিত উপকূলে নিয়ে যায়। ৩২ দিন পর গত ১৩ এপ্রিল দিবাগত রাতে মুক্তিপণ দিয়ে জাহাজটি মুক্ত হয়।

 


আরো সংবাদ



premium cement