১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

উজাড় হতে পারে ১৩০ একর বন বৃক্ষ নিধনে সতর্কতা জারি

-

দেশে বৃক্ষ নিধনের বিষয়ে সতর্কতা জারি করা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে চলতি বছরের এপ্রিল মাসে বাংলাদেশে ২২ হাজার ৪৪৫টি স্থানে বৃক্ষ নিধন হতে পারে। চলতি মাসের ১০ থেকে ১৭ তারিখ পর্যন্ত সাত দিনে চার হাজার ৫৯৫টি স্থান নিয়ে সতর্কতা জারি করা হয়েছে। যার ফলে ১৩০ একর বন উজাড় হতে পারে বলেও উল্লেখ করা হয়েছে। আন্তর্জাতিক সংস্থা ফরেস্ট ওয়াচ তাদের প্রতিবেদনে এ কথা জানিয়েছে। মেরিল্যান্ড ইউনিভার্সিটির সহায়তায় কৃত্রিম উপগ্রহের ছবি বিশ্লেষণ করে এই গবেষণা ও সতর্কতা জারি করেছে গ্লোবাল ফরেস্ট ওয়াচ।
এতে বলা হয়, বৃক্ষ নিধনে সতর্কতা জারি করা এলাকাগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বড় হচ্ছে চট্টগ্রামে। উজাড় হওয়ার শঙ্কায় থাকা ভূমির ৭২ শতাংশই (৪৫৬ একর) চট্টগ্রামের। বাদবাকি এলাকাগুলোর মধ্যে দ্বিতীয় স্থানে আছে ঢাকা। ঢাকায় ১২১ একর, সিলেটে ৩৭ একর, রংপুর ও খুলনায় প্রায় ৫ একর করে, রাজশাহীতে ২.৫০ একর এবং বরিশালে প্রায় ২ একর বৃক্ষ আচ্ছাদিত এলাকা উজাড় হওয়ার শঙ্কা রয়েছে।
এ ছাড়া দুই দশকে দেশে বৃক্ষ আচ্ছাদিত এলাকা কমেছে ছয় লাখ একর এমন তথ্য তুলে ধরে সংস্থাটি জানায়, ২০০১ থেকে ২০২৩ পর্যন্ত সময়ে বৃক্ষ আচ্ছাদিত এলাকা সবচেয়ে বেশি কমেছে চট্টগ্রামে; ৫ লাখ ৭০ হাজার ৫৭০ একর, যা মোট কমে যাওয়া বৃক্ষ আচ্ছাদিত এলাকার ৯৪ শতাংশ; এরপর যথাক্রমে আছে সিলেট, সেখানে কমেছে ২০ হাজার ৬৭৪ একর, ১৩ হাজার ৯৮০ একর, রংপুরে কমেছে ১ হাজার ১৯০ একর, রাজশাহীতে ৭৯৮ একর, খুলনায় ৫০১ একর, বরিশালে কমেছে প্রায় ২৪৫ একর।
ওয়াশিংটনভিত্তিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান ওয়ার্ল্ড রিসোর্সেস ইনস্টিটিউট পরিচালিত প্ল্যাটফর্ম গ্লোবাল ফরেস্ট ওয়াচের তথ্য অনুযায়ী ২০০১ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশে বৃক্ষ আচ্ছাদিত এলাকা কমেছে প্রায় ৬ লাখ ৭ হাজার ৬২০ একর। এই সময়ে বৃক্ষ আচ্ছাদিত এলাকার পরিমাণ আগের তুলনায় ১৩ শতাংশ কমেছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি কমেছে ২০১৭ সালে; প্রায় ৭০ হাজার একর।
গবেষণার তথ্যে বলা হয়েছে, ২০১০ সালে বাংলাদেশে প্রায় ৪৯ লাখ সাড়ে ৯৬ হাজার একর (২০ লাখ ২২ হাজার হেক্টর) প্রাকৃতিক বনভূমি ছিল, যা মোট ভূমির ১৬ শতাংশ। প্রতি বছরই সেই বনভূমি কমছে। শুধু ২০২৩ সালেই বনভূমি কমেছে প্রায় ৪৪ হাজার একর। ফরেস্ট ওয়াচের গবেষণা তথ্য অনুযায়ী, ২০০১ থেকে ২০২৩ পর্যন্ত সময়ে বৃক্ষ আচ্ছাদিত এলাকা সবচেয়ে বেশি কমেছে চট্টগ্রামে; ৫ লাখ ৭০ হাজার ৫৭০ একর, যা মোট কমে যাওয়া বৃক্ষ আচ্ছাদিত এলাকার ৯৪ শতাংশ; এরপর যথাক্রমে আছে সিলেট, সেখানে কমেছে ২০ হাজার ৬৭৪ একর, ১৩ হাজার ৯৮০ একর, রংপুরে কমেছে ১ হাজার ১৯০ একর, রাজশাহীতে ৭৯৮ একর, খুলনায় ৫০১ একর, বরিশালে কমেছে প্রায় ২৪৫ একর। গত ২০ বছরে চট্টগ্রাম অঞ্চল যে পরিমাণ বৃক্ষ আচ্ছাদিত এলাকা হারিয়েছে, তার ৭৬ শতাংশই বান্দরবান ও রাঙ্গামাটিতে। এই সময়ে বৃক্ষ আচ্ছাদিত এলাকা সবচেয়ে বেশি উজাড় হয়েছে বান্দরবানে- ২ লাখ ৯ হাজার ৭৯২ একর। এছাড়া রাঙ্গামাটিতে প্রায় ১ লাখ ৩৫ হাজার ৬১০ একর, খাগড়াছড়িতে ৬০ হাজার ৫৪১ একর, চট্টগ্রামে ২৩ হাজার ১০৪ একর ও কক্সবাজারে ২২ হাজার ৭৮৩ একর বৃক্ষ আচ্ছাদিত এলাকা ধ্বংস হয়েছে।
এই সময়ে বৃক্ষ আচ্ছাদিত এলাকা কমে যাওয়া দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান তৃতীয়। তালিকায় প্রথম নামটি দক্ষিণ আমেরিকার দেশ সুরিনাম; যেখানে বৃক্ষ আচ্ছাদিত এলাকা কমেছে প্রায় ৬ লাখ ২২ হাজার ৪৪০ একর, দ্বিতীয় স্থানে থাকা দেশটি হচ্ছে আফ্রিকার দেশ মালাউই; সেখানে কমেছে ৬ লাখ ১০ হাজার ৯০ একর বৃক্ষ আচ্ছাদিত ভূমি।
দেশের বন ও বনভূমি দেখভালকারী সরকারি প্রতিষ্ঠান বন অধিদফতরের তথ্য অনুযায়ী, ২০২০ সালে দেশে মোট বনভূমির পরিমাণ ছিল ৪৬ লাখ ৪৬ হাজার ৭০০ একর। এর মধ্যে ২ লাখ ৮৭ হাজার ৪৫২ একরই বেদখল হয়ে আছে। সবচেয়ে বেশি বনভূমি বেদখল হয়েছে কক্সবাজার জেলায়। জেলাটিতে ৫৯ হাজার ৪৭১ হাজার একর বনভূমি বেহাত হয়েছে। অধিদফতরের প্রধান বন সংরক্ষক মো: আমীর হোসাইন চৌধুরী সাংবাদিকদের বলেন, প্রতি বছর আমরা প্রায় ১০ হাজার হেক্টর বন হারাচ্ছি। আবার নতুন করে বাড়ছেও। কিন্তু কার্বনের দিক থেকে যদি চিন্তা করেন, গেইনের থেকে আমাদের লস বেশি। অর্থাৎ নিট লস আছে।


আরো সংবাদ



premium cement
মহিষ চুরির সন্দেহে ২ জনকে পিটিয়ে হত্যা গদখালীতে শত কোটি টাকার ফুল বিক্রির আশা চাষিদের ‘এখন আমি কোথায় গিয়ে দাঁড়াবো?’ প্রশ্ন শহিদ সোহাগের স্ত্রীর ‘বুদ্ধিজীবী হত্যার রহস্য উদঘাটনে বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিশন গঠন করতে হবে’ ট্রাম্পের শপথের আগে কিয়েভে হামলা জোরদার মস্কোর মেহেরপুরে ২টি বোমাসাদৃশ্য বস্তু উদ্ধার শায়েস্তাগঞ্জে কনকনে ঠান্ডায় জবুথবু অবস্থা, শীতবস্ত্রের বিক্রি বেড়েছে ১ কেজি চিনির উৎপাদন ব্যয় ৫৪২ টাকা দেশে বিরাজনীতিকরণের প্রয়াস চলছে : রিজভী নতুন সুযোগে বৈষম্যহীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে চাই : মির্জা ফখরুল ‘জাতিকে মেধাশূন্য করতেই ১৪ ডিসেম্বরের বুদ্ধিজীবী হত্যাকাণ্ড’

সকল