চট্টগ্রাম চেম্বারের পরিবেশ ও পর্যটনবিষয়ক স্ট্যান্ডিং সাব-কমিটির প্রথম সভা গতকাল (রোববার) ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারে অনুষ্ঠিত হয়। কমিটির ডিরেক্টর ইনচার্জ ও চেম্বার পরিচালক আখতার উদ্দিন মাহমুদের সভাপতিত্বে সদস্য মোহাম্মদ হারমুজ শাহ বেলাল, হাসিব শাকুর ও মো: মোসাদ্দেক আহমেদ শরিফ এবং চেম্বার সেক্রেটারি ইনচার্জ প্রকৌশলী মোহাম্মদ ফারুক বক্তব্য রাখেন।
আখতার উদ্দিন মাহমুদ বলেন, চট্টগ্রাম শহরে মাস্টার প্ল্যান হচ্ছে। কিন্তু পরিবেশবান্ধব নগরী গড়তে হলে পরিবেশগত মাস্টার প্ল্যানও প্রয়োজন। একই সাথে চট্টগ্রামকে পর্যটনবান্ধব নগরী গড়তে প্রয়োজন পর্যটন মাস্টার প্ল্যান। বাংলাদেশের রয়েছে পর্যটনের অপার সম্ভাবনা। কিন্তু আমরা এ সম্ভাবনা তুলে ধরতে পারছি না। এ সম্ভাবনা তুলে ধরা গেলে সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ড ও মালয়েশিয়ার মতো বাংলাদেশেও পর্যটন খাত থেকে প্রচুর রাজস্ব আয় করতে পারবে। আমাদের দেশে পর্যটন বর্ষ ঘোষণা করা হলেও প্রচার-প্রচারণার অভাবে এ খাতে পর্যটক আকর্ষণ করতে পারে না। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ট্যুরিস্ট স্পটগুলো সন্ধ্যার পর প্রাণবন্ত হয়ে উঠে। কিন্তু আমাদের দেশের ট্যুরিস্ট স্পটগুলো সন্ধ্যা নামার সাথে সাথে নিষ্প্রাণ হয়ে যায়। তাই পর্যটনের জন্য নিরাপত্তা এবং যোগাযোগ সুবিধা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
তিনি বলেন, কোনো বিদেশী বাংলাদেশে ভ্রমণে এলে তাকে ভ্রমণকর দিতে হয়। ফলে বাংলাদেশের প্রতি অনাগ্রহী হচ্ছেন তারা। চট্টগ্রামসহ এ অঞ্চলের পর্যটন বিকাশে প্রয়োজন সেক্টরসংশ্লিষ্ট সবার মতামত তুলে আনা এবং নিয়মিত আন্তর্জাতিক পর্যটন মেলার আয়োজন করা। তবেই বাংলাদেশ সম্পর্কে অভ্যন্তরীণ ও বিদেশী পর্যটকরা আকর্ষণীয় পর্যটন গন্তব্যের সন্ধান পাবে, যা একই সাথে স্থানীয় বিভিন্ন শিল্পসহ বিভিন্ন সেক্টরকে সমৃদ্ধ করবে।
অন্য বক্তারা বলেন, নান্দনিক শহর চট্টগ্রামে রয়েছে নদীভিত্তিক পর্যটনের সম্ভাবনা। একই সাথে থাইল্যান্ডের আদলে নগরীর খালগুলোতে করা যায় ভাসমান বাজার, যা নদী ও খালগুলো দূষণরোধ ও পর্যটনের নতুন সম্ভাবনা সৃষ্টি করবে। নগরীর আউটার রিং রোড, পতেঙ্গা নেভাল একাডেমি ও ডিসি পার্ককে ঘিরে পর্যটনের নতুন গন্তব্য তৈরি হয়েছে। কিন্তু সন্ধ্যার পর ভূতুড়ে পরিবেশের কারণে অনেকে এসব স্থানে যেতে আগ্রহী হয় না। তাই পর্যটনের বিকাশে স্পটগুলোতে আলোকায়ন ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা