বাংলাদেশে রয়েছে অফুরন্ত সম্ভাবনা
- চট্টগ্রাম ব্যুরো
- ০৫ মে ২০২৪, ০০:০৫
বাংলাদেশে নিযুক্ত সিঙ্গাপুরের হাইকমিশনার ডেরেক লো বলেছেন, ভৌগোলিক অবস্থানের কারণে সিঙ্গাপুরের জন্য বাংলাদেশ বিশেষ করে চট্টগ্রাম খুবই গুরুত্বপূর্ণ। চট্টগ্রামের বে-টার্মিনালে সিঙ্গাপুরের শিপিং কোম্পানি পিএসএ বিনিয়োগ করছে। যার মাধ্যমে চট্টগ্রামে বে-টার্মিনাল ট্রান্সফরমেশনের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক বৃহৎ বন্দরে উপনীত হবে। এর মাধ্যমে দু’দেশের মধ্যে ব্যবসাবাণিজ্য বৃদ্ধি পাবে। হাইকমিশনার বাংলাদেশের অ্যাগ্রো এবং ফিশিং সেক্টরের সম্ভাবনার কথা উল্লেখ করে বলেন, সিঙ্গাপুর ছোট দেশ হওয়াতে সবজি, ফলমূল এবং মিঠা পানির মাছ বিভিন্ন দেশ বিশেষ করে অস্ট্রেলিয়া ও আমেরিকা থেকে আমদানি করে। দূরত্ব বিবেচনায় বাংলাদেশ সিঙ্গাপুরের কাছাকাছি হওয়ায় বাংলাদেশ থেকে এসব পণ্য রফতানির সম্ভাবনা রয়েছে। তিনি আরো বলেন, লজিস্টিক্স সেক্টরে বিশ্বে উন্নত সিঙ্গাপুর। বাংলাদেশেও রয়েছে লজিস্টিক্স সেক্টরের অফুরন্ত সম্ভাবনা। এ সম্ভাবনা কাজে লাগাতে বাংলাদেশের ব্যবসায়ীরা সিঙ্গাপুরের লজিস্টিক্স সেক্টর সম্পর্কে সম্যক ধারণা লাভ করতে পারে। তিনি বাংলাদেশের বিনিয়োগ সম্ভাবনা সিঙ্গাপুরের বিনিয়োগকারীদের কাছে তুলে ধরতে চট্টগ্রামের ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদের সিঙ্গাপুর সফরের আমন্ত্রণ জানান। একই সাথে সিঙ্গাপুরের সাথে বাংলাদেশের সম্পর্কোন্নয়নের লক্ষ্যে পূর্ণাঙ্গ দূতাবাস স্থাপনের আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
গতকাল শনিবার চট্টগ্রাম চেম্বার নেতৃবৃন্দের সাথে ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারে মতবিনিময়কালে হাইকমিশনার এসব কথা বলেন। এ সময় চেম্বার সভাপতি ওমর হাজ্জাজ, সহসভাপতি রাইসা মাহবুব, পরিচালক অঞ্জন শেখর দাশ, মো: রকিবুর রহমান (টুটুল), মাহফুজুল হক শাহ, বেনাজির চৌধুরী নিশান, নাজমুল করিম চৌধুরী শারুন, আখতার উদ্দিন মাহমুদ, মোহাম্মদ সাজ্জাদ উন নেওয়াজ, ওমর মুক্তাদির, এন্টারপ্রাইজ সিঙ্গাপুরের দক্ষিণ এশিয়ার ডেভেলপমেন্ট পার্টনার ক্লারেন্স চং, সিঙ্গাপুরের শিপিং কোম্পানি পিএসএ’র লিম উই চিয়াং, বাংলাদেশ প্রতিনিধি মোহাম্মদ গোলাম মোয়াজ্জেম বলেন, চামড়া খাতের পরিবেশ নিয়ে অনেক আলোচনা আবদুল্লাহ জহির বক্তব্য রাখেন। এ সময় সিঙ্গাপুর হাইকমিশনের চার্জ দ্যা অ্যাফেয়ার্স শীলা পিল্লাই, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ডেপুটি ডিরেক্টর মিশেল লি ও কর্মকর্তা এস্টার লি উপস্থিত ছিলেন।
মতবিনিময়কালে চেম্বার সভাপতি ওমর হাজ্জাজ বলেন, সিঙ্গাপুর বাংলাদেশের প্রধান উন্নয়ন এবং অর্থনৈতিক অংশীদার।
উভয় দেশই নবায়নযোগ্য জ্বালানি, লজিস্টিক্স এবং ট্রেড ফ্যাসিলিটেশনের জন্য একসাথে কাজ করতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতামূলক চুক্তি করেছে। এ ছাড়া উভয় দেশের মধ্যে ডাবল ট্যাক্সেশন এবং দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যিক চুক্তিও রয়েছে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা