১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

রক্ষকই করছেন বন উজাড় একই বিভাগে আছেন ২০ বছর

-

বন রক্ষকের বিরুদ্ধে উঠেছে বন উজাড়ের নানা অভিযোগ। শুধু নিজেই বন উজাড় করছেন না, রয়েছে বন ধ্বংসকারী চক্রকে রক্ষা করতে সরকারি ফাইল গায়েব করে দেয়ার মতো গুরুতর অভিযোগও শুধু। গাছ বিক্রি করেই ক্ষান্ত হননি তিনি। বাইরের জেলা থেকে আসা কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কাছ থেকে নিয়মিত চাঁদা আদায় করেন। না দিলে স্থানীয় বাহিনী দিয়ে নানা ধরনের হয়রানি করেন। তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় বন কর্মকর্তার কাছে রয়েছে একাধিক লিখিত অভিযোগ। তারপরও একটানা ২০ বছর বহাল তবিয়তে রয়েছেন পছন্দের চট্টগ্রাম উত্তর বন বিভাগে। তিনি হলেন ফরেস্ট গার্ড জিয়াউল হক চৌধুরী। বর্তমানে চট্টগ্রাম বন বিভাগের পোমরা চেক পোস্টে কর্মরত রয়েছেন। জানা গেছে, ২০০৫ সালে বিএনপি শাসনামলে একজন প্রতিমন্ত্রীর সরাসরি হস্তক্ষেপে কোনো প্রকার নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে চাকরি পান জিয়া। এরপর ভোল পাল্টে আওয়ামী লীগের বিভিন্ন নেতার নাম ভাঙিয়ে চালিয়ে যাচ্ছেন নানা অপকর্ম। চাকরির শুরু থেকে গত বছর জানুয়ারি পর্যন্ত ছিলেন চট্টগ্রাম উত্তর বন বিভাগে। বর্তমানে একই বন অঞ্চলের দক্ষিণ বিভাগে রয়েছেন। অভিযোগ রয়েছে, সরকারি গাছ বিক্রি ছাড়াও চট্টগ্রাম উত্তর বন বিভাগের সহকারী বন মামলা পরিচালক হিসেবে পোস্টিং নিয়ে সরকার ও বন বিভাগের ব্যাপক ক্ষতি করেছেন জিয়াউল হক চৌধুরী। অভিযুক্তদের কাছ থেকে সুবিধা নিয়ে তাদের বিরুদ্ধে থাকা বন বিভাগের বিভিন্ন নথি গায়েব করেছেন। এতে ডকুমেন্টেসের অভাবে ছাড়া পেয়ে যান অভিযুক্তরা। এ ছাড়াও করের হাট চেক স্টেশন এলাকায় বদলি হয়ে ব্যাপক দুর্নীতি শুরু করেন। এই জায়গাকে বলা হয় চট্টগ্রাম উত্তর বন বিভাগের নাভি। এভাবে রক্ষক হয়ে নিজেই সরকারি গাছ বিক্রি করে উজাড় করেছেন। তার অনৈতিক কাজে বাধা দেয়ায় একজন ফরেস্টারের গায়ে হাত তুলতে দ্বিধা করেননি। যদিও ওই ফরেস্টার লোকলজ্জার ভয়ে লিখিত অভিযোগ না দিয়ে বিভাগীয় কর্মকর্তাকে মৌখিক অভিযোগ দিয়ে চলে যান। চট্টগ্রামে বাড়ি হওয়ায় বাইরের জেলা থেকে আসা প্রত্যেক কর্মকর্তা-কর্মচারীর কাছ থেকে চাঁদাবাজি করেন জিয়া। তাকে চাঁদা না দিলে স্থানীয় লোকজনকে দিয়ে বিভিন্নভাবে হয়রানি শুরু করেন। ফলে তারা বেশি দিন জিয়ার এলাকায় টিকতে পারে না।
ন্যাড়া পাহাড় নামে একটি প্রকল্পে তার চাকরি হয়। মন্দাকিনী বিটে চাকরি করার সময়ে জিয়া এত বেশি অপকর্মের সাথে জড়িয়ে পড়েন যে, স্থানীয় লোকজন ক্ষিপ্ত হয়ে তার ব্যক্তিগত মোটরসাইকেল আটকে রাখেন। পরে বড় ধরনের সমস্যার আশঙ্কায় ডিপার্টমেন্টের শৃঙ্খলা রক্ষার স্বার্থে তাকে চট্টগ্রাম দক্ষিণ বন বিভাগে বদলি করা হয়। সেখানে এক বছর না যেতেই বিধিবিধানের তোয়াক্কা না করে লোভনীয় জায়গায় বদলি হতে কর্মকর্তাদের চাপ দিতে শুরু করেন। কিন্তু সেই চাপ গ্রহণ না করায় কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচার চালাতে শুরু করেন।
এ ব্যাপারে জানতে জিয়াউল হকের মোবাইলে একাধিকবার যোগোযোগের চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।

 

 


আরো সংবাদ



premium cement
মধ্যপ্রাচ্য সফরে যাচ্ছেন ব্লিঙ্কেন, যেসব বিষয়ে আলোচনা হবে ট্রাইব্যুনালে যাত্রাবাড়ী থানার সাবেক ওসি কংগ্রেসে সমালোচকদের সম্মুখীন ব্লিংকেন সিরিয়ার পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে রাশিয়া, সামরিক ঘাঁটির নিরাপত্তার ওপর জোর গাজীপুর ট্রাক-কাভার্ডভ্যানের চাপায় অটোরিকশার ৪ যাত্রী নিহত আরেক মামলায় খালাস পেলেন গিয়াস উদ্দিন আল মামুন রাশিয়া আবারো ইউক্রেনের বিরুদ্ধে 'ওরেশনিক ক্ষেপনাস্ত্র ব্যবহার করতে পারে : যুক্তরাষ্ট্র অভয়নগরে ট্রাকচাপায় নিহত ২, ট্রাকে আগুন একুশে পদকপ্রাপ্ত শিল্পী পাপিয়া সারোয়ার মারা গেছেন ট্রাম্পের প্রত্যাবর্তনের আগেই নিরাপত্তা স্মারক বাইডেনের মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা চুয়াডাঙ্গায়

সকল