কক্সবাজারে পর্যটকের ঢল তিলধরার ঠাঁই নেই
- এ টি এম তুরাব, কক্সবাজার থেকে ফিরে
- ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ০০:০০
বৈশাখের খরতাপেও পর্যটক উপস্থিতি বেড়েছে কক্সবাজারে। সকালে থেকে রাত পর্যন্ত থাকছে লোকারণ্য সাগর তীর। গোসল ও নানাভাবে সৈকতকে উপভোগ করছেন ভ্রমণপিয়াসীরা। পর্যটকদের বাঁধভাঙা আনন্দের ঢেউ যেন আঁচড়ে পড়েছে সমুদ্র সৈকতে। কানায় কানায় পূর্ণ সাগর তীর। সাগরের নীল জলরাশিতে উচ্ছ্বাসে মেতেছেন হাজারো মানুষ। সৈকতজুড়ে বাঁধভেঙে পড়েছে পর্যটকদের আনন্দ-উচ্ছ্বাসের ঢেউ। নানা বয়সী পর্যটকের আনাগোনায় পুরো সৈকত যেন রূপ নিয়েছে জনসমুদ্রে।
সমুদ্রসৈকতের পাশাপাশি পর্যটকরা ঘুরে বেড়াচ্ছেন শহরের বার্মিজ মার্কেট, নান্দনিক সৌন্দর্যের মেরিন ড্রাইভ, হিমছড়ি ঝরনা, ইনানী ও পাথুয়ারটেকের পাথুরে সৈকত, মহেশখালীর আদিনাথ মন্দির, রামুর বৌদ্ধ বিহার, নাইক্ষ্যংছড়ির লেক, ডুলাহাজরা সাফারি পার্ক এবং প্রবালদ্বীপ সেন্টমার্টিনসহ বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে।
গত শনিবার সিলেট থেকে আসা পর্যটক রেজা রুবেল নয়া দিগন্তকে বলেন, এর আগেও কক্সবাজারের বেড়াতে এসেছিলাম। কিন্তু এবারে ট্যুরটি বেশ অন্যরকম; সারা দেশেই তীব্র গরম। এখানে সাগরের সান্নিধ্যে এসে গরম তাড়ানো যাচ্ছে। আজমল আলী নামের আরো এক পর্যটক নয়া দিগন্তকে বলেন, এখন সমুদ্র শান্ত। এখানে নোনাজলে শরীর ভেজা আর সৈকতে ঘোরা-ফেরা খুবই আনন্দের। তাই বারবার কক্সবাজার আসতে মন চায়।
গতকাল রোববার ঢাকা থেকে আসা পর্যটক রিয়াজ ইসলাম নয়া দিগন্তকে জানান, সমুদ্র তীরে শীতের আবহ আর নেই। নেই গরমের ভাবও। এ সময় সমুদ্র উপভোগ যেন ভিন্ন এক আনন্দের। পরিবারকে সাথে নিয়ে ভ্রমণ খুবই মজার হচ্ছে। অন্যদিকে কাক্সিক্ষতসংখ্যক পর্যটক সমাগম ঘটায় খুশি পর্যটন সংশ্লিষ্টরা। গরমে তারকা হোটেলগুলো তাদের নির্দিষ্ট ভাড়ায় ছাড় দিচ্ছে। গেস্ট হাউস, কটেজ বা নরমাল হোটেলগুলোর অধিকাংশ সহনীয় পর্যায়ে ভাড়া রাখায় গরমেও পর্যটক উপস্থিতি বাড়ছে বলে মনে করছেন আবাসন সেবা প্রতিষ্ঠান সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা।
তাদের মতে, নিয়মিত রেলের পাশাপাশি দুটি স্পেশাল রেলও ঢাকা-কক্সবাজার রেল পথে চলাচল থাকায় দেশের বিভিন্ন প্রান্তের পর্যটক উপস্থিতি রয়েছে কক্সবাজারে। গ্রিণ ন্যাচার রিসোর্টের ম্যানেজার তারেক আহমদ নয়া দিগন্তকে বলেন, ভ্রমণে সিদ্ধহস্ত পর্যটকরা নিরাপত্তা, সেবা, বুফে ব্রেকফাস্ট, ডিনারসহ অন্য সুযোগের কারণে তারকা হোটেল উঠেন। গরমে প্রায় প্রতিদিন কমবেশি পর্যটক উপস্থিতি রয়েছে। কক্সবাজার পৌরসভার মেয়র মো: মাহাবুবুর রহমান চৌধুরী নয়া দিগন্তকে বলেন, পর্যটন শিল্পকে আরো ব্যাপকভাবে সমৃদ্ধ করতে আমরা নতুন অনেক পরিকল্পনা নিয়েছি। ইতোমধ্যে কাজ শুরু হয়ে গেছে। তিনি আরো বলেন, পুলিশের পাশাপাশি পর্যটকদের নিরাপত্তা দিতে পৌরসভাও কাজ করছে। পর্যটকরা নির্বিঘে্ন সৌন্দর্য উপভোগ করছেন।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা