ব্রাজিল থেকে গরু আমদানি করা জটিল হলেও সম্ভব : রাষ্ট্রদূত ফার্নান্দো
- কূটনৈতিক প্রতিবেদক
- ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ০১:২৯
বাংলাদেশে বাজারে ব্রাজিলের গোশত খাতের বিপুল সম্ভাবনা আছে। ব্রাজিল থেকে জীবন্ত গরু আমদানি করতে চায় বাংলাদেশ। এটা সম্ভব। তবে দূরত্ব বিবেচনায় প্রক্রিয়াটি জটিল হতে পারে।
গতকাল জাতীয় প্রেস ক্লাবে বাংলাদেশ কূটনৈতিক সংবাদদাতা সমিতির (ডিকাব) সাথে মতবিনিময়ে ঢাকায় নিযুক্ত ব্রাজিলের রাষ্ট্রদূত পাওলো ফার্নান্দো দিয়াস ফেরেস এ সব কথা জানান। ‘ডিকাব টক’ নামে পরিচিত অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ডিকাবের সাধারণ সম্পাদক আশিকুর রহমান অপু। সঞ্চালনা করেন সংগঠনের সভাপতি নূরুল ইসলাম হাসিব। গত ৭ ও ৮ এপ্রিল ঢাকা সফর করেছেন ব্রাজিলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাউরো ভিয়েরা। সে সময় বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু ব্রাজিলের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সাথে বৈঠকে আগামী কোরবানি ঈদকে সামনে রেখে জীবন্ত গরু পাঠানোর ব্যবস্থা করা যায় কিনা তা বিবেচনার অনুরোধ করেছিলেন। এছাড়া চলতি বছরের জুলাইয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ব্রাজিল সফরের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট লুলা দ্য সিলভা।
প্রধানমন্ত্রীর ব্রাজিল সফর প্রসঙ্গে রাষ্ট্রদূত পাওলো ফার্নান্দো বলেন, জুলাইয়ে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ব্রাজিল যাবেন। তিনি জি-২০ সম্মেলনের আগে ব্রাজিল সফর করবেন বলে আশা করছি। যদি তিনি ব্রাজিল যান, তাহলে আমাদের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সফরে যে চুক্তিগুলো করা সম্ভব হয়নি, তা হয়তো সই হতে পারে।
ব্রাজিল ও বাংলাদেশের মধ্যে বাণিজ্যের বিশাল সম্ভাবনার কথা উল্লেখ করে রাষ্ট্রদূত বলেন, বিশ্বের বিভিন্ন সঙ্কটের মধ্যে বাংলাদেশের সাথে ব্রাজিলের সম্পর্ক সুদৃঢ় হচ্ছে। ব্রাজিল থেকে প্রচুর ইথানল কেনে ভারত। করোনা মহামারীর পর ইউক্রেন যুদ্ধ, ইসরাইল-ফিলিস্তিন যুদ্ধসহ বিভিন্ন কারণে বিশ্ব অস্থির হয়ে পড়েছে। জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধি পাচ্ছে। তাই তেলের বিকল্প হিসেবে সস্তায় ইথানল ব্যবহার করা যায়। পাওলো ফার্নান্দো বলেন, ব্রাজিলের বাজারে বাংলাদেশের তৈরী পোশাকের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। ব্রাজিল বাংলাদেশী তৈরী পোশাকের একটি বড় বাজার হতে পারে। দুই দেশের মধ্যে বিশেষ করে বাণিজ্য ও প্রযুক্তির ক্ষেত্রে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা জোরদার করার অনেক সুযোগ রয়েছে।
ব্রাজিলের ভিসাপ্রত্যাশীর চাহিদা বাড়ছে উল্লেখ করে রাষ্ট্রদূত বলেন, গত বছরগুলোতে ভিসার আবেদন বেড়েছে। এটা একটা সমস্যাও বটে। কারণ এত ভিসা প্রক্রিয়াকরণের জন্য আমাদের যথেষ্ট লোকবল নেই। আমরা ঢাকায় একটি ভিসা আবেদন কেন্দ্র ভাড়া নেয়ার চেষ্টা করছি। সেটা সম্ভব হলে আরো বেশি সংখ্যক ভিসা দ্রুত ইস্যু করতে পারব। বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের সাথে এ ব্যাপারে আমাদের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর আলাপ হয়েছে। ড. হাছান জানিয়েছেন, এটি নিয়ে কাজ চলছে। আমরা আশা করছি, শিগগিরই ঢাকায় ব্রাজিল ভিসা আবেদন কেন্দ্র চালু করতে পারব। রোহিঙ্গা ইস্যুতে রাষ্ট্রদূত বলেন, রোহিঙ্গা সমস্যার একমাত্র সমাধান প্রত্যাবাসন। এটাই সবচেয়ে উত্তম পথ।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা