০৪ মে ২০২৪, ২১ বৈশাখ ১৪৩১, ২৪ শাওয়াল ১৪৪৫
`


রানা প্লাজা ট্রাজেডির ১১ বছরেও বিচার ত্বরান্বিত হয়নি

-

সাভার বাসস্ট্যান্ডের ধসে পড়া রানা প্লাজার সামনে গতকাল মঙ্গলবার বাংলাদেশ গার্মেন্ট শ্রমিক সংহতির উদ্যোগে দোষীদের শাস্তি ও ক্ষতিগ্রস্তদের সম্মানজনক ক্ষতিপূরণের দাবিতে আলোকচিত্র প্রদর্শনী ও আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। রানা প্লাজা হত্যাকাণ্ডের ১১ বছর এবং হাজারো শ্রমিকের মৃত্যুর প্রতিবাদে সকাল থেকে ২ দিনব্যাপী অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন আহত শ্রমিক জেসমিন। বক্তব্য রাখেন আহত জেসমিন, নিহত শ্রমিক আঁখি আক্তারের মা নাসিমা আক্তার, নিহত ফজলে রাব্বীর মা রাহেলা আক্তার, নিহত শাহীদার মা এবং গার্মেন্ট শ্রমিক সংহতির সভাপ্রধান তাসলিমা আখতার, সাধারণ স¤পাদক বাবুল হোসেন প্রমুখ।
প্রদর্শনীর উদ্বোধন শেষে আলোচনায় আহত শ্রমিক জেসমিন বলেন, এমনভাবে ২ দিন আটকা ছিলাম বাঁচার কোনো আশা ছিল না। একজন অচেনা মানুষ আমাকে আগলে রেখে বাঁচিয়েছিল। তখন কে পুরুষ কে নারী কে হিন্দু কে মুসলমান ভাবার সুযোগ ছিল না। বাঁচার চরম ইচ্ছা এবং সন্তানকে দেখার ইচ্ছা ছাড়া কোনো কিছু মাথায় আসেনি। জেসমিন বলেন, ১১ বছর ধরে সেই দুঃসহ স্মৃতির ক্ষত বয়ে বেড়াচ্ছি মনে এবং শরীরে। অথচ এখনো দোষীদের শাস্তি হয়নি। দোষীদের শাস্তি হলে আমরা প্রাণে একটু শান্তি পেতাম।
অন্যান্য বক্তারা বলেন, নিহত ও আহত পরিবারকে ১১ বছর আগে যে আইনি ক্ষতিপূরণ বা অনুদান দেয়া হয়েছে তা কখনোই সম্মানজনক বা মর্যাদাপূর্ণ নয়। শ্রম আইনে ক্ষতিপূরণের আইন যা বদল হয়েছে তা অতি নগন্য। ১ লাখ এবং দেড় লাখ থেকে ২ লাখ ও আড়াই লাখ পর্যন্ত বাড়ানো কোনো শ্রমিককে মানুষ হিসেবে গণ্য না করারই উদাহরণ। তারা আরো বলেন, একদিকে একজীবনের সমপরিমাণ সম্মানজনক-মর্যাদাপূর্ণ ক্ষতিপূরণ প্রদানের ব্যবস্থা না করে ব্যান্ড, এনজিও এমনকি সরকারের দফায় দফায় কিস্তিতে শ্রমিকদের অর্থ সহযোগিতার ও নানা প্রশিক্ষণের নামে শ্রমিকরা যাতে বিচারের দাবি সংগঠিত না হয়ে ভিক্ষুকের মতো দারে দারে কেবল সহায়তা খোঁজে সেই ব্যবস্থা করা হয়েছে। তারা বলেন, ক্ষতিপূরণ কোনো ভিক্ষা নয় এটি শ্রমিক ও নাগরিকের আইনি অধিকার। এই অধিকার রক্ষায় এক হওয়ার আহ্বান জানান তারা। তারা জানান, ২ দিন ব্যাপী কর্মসূচিতে রানা প্লাজার সামনে শ্রদ্ধাঞ্জলী অর্পণ ও প্রতিবাদী র‌্যালি আজ ২৪ এপ্রিল বুধবার অনুষ্ঠিত হবে।


আরো সংবাদ



premium cement