০৪ মে ২০২৪, ২১ বৈশাখ ১৪৩১, ২৪ শাওয়াল ১৪৪৫
`


অবৈধ অটোরিকশা ইজিবাইককে লাইসেন্সের আওতায় আনার দাবি

-

সারা দেশের রাস্তায় প্রায় ৪০ লাখ অটোরিকশা ও ইজিবাইক চলাচল করছে। যার বেশির ভাগই চলছে অবৈধভাবে এবং সরকার এ খাত থেকে কোনো রাজস্ব পাচ্ছে না। চাঁদাবাজির মাধ্যমে রাজস্বের টাকা চলে যাচ্ছে তৃতীয় পক্ষের পকেটে। এসব অটোরিকশাকে লাইসেন্সের আওতায় আনার দাবি জানায় বাংলাদেশ ইলেকট্রিক ব্যাটারি অ্যান্ড মোটরচালিত অটোরিকশা অটোবাইক সার্ভিস লিমিটেড।
সংগঠনটি জানায়, লাইসেন্স দেয়া হলে সরকারকে আগামী পাঁচ বছরে প্রায় আট হাজার কোটি টাকা রাজস্ব প্রদান করতে প্রস্তুত তারা।
গতকাল মঙ্গলবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের আবদুস সালাম হলে বাংলাদেশ ইলেকট্রিক ব্যাটারি অ্যান্ড মোটরচালিত অটোরিকশা অটোবাইক সার্ভিস লিমিটেডের দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো: আবুল কালাম এসব কথা বলেন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে আবুল কালাম বলেন, ২০১৯ সালের ২৪ ডিসেম্বর ও ২৩ সালের ১৮ সেপ্টেম্বরে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, অর্থ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিবের কাছে ১০ বছরে বিআরটিকে ইজিবাইকের রেজিস্ট্রেশন ফি ও প্রশিক্ষণ বাবদ আনুমানিক আট হাজার কোটি টাকা রাজস্ব দেবো বলে আবেদন করি। ২২ সালের ৪ এপ্রিল বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী মহাসড়ক ব্যতীত অন্যান্য সড়কে ব্যাটারিচালিত ইজিবাইক চলাচলে বৈধতার আদেশ দেন। তিনি আরো বলেন, ২০১৮ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়, সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ ও বিআরটিএর সংস্থাপন অধিশাখার ১০ সদস্যের তৈরি নীতিমালা অনুযায়ী আনুমানিক ৪০ লাখ অবৈধ অটোরিকশা ও অটোবাইক চলছে। মন্ত্রণালয় এসব গাড়িগুলোকে নীতিমালায় আনতে পারছে না এবং উচ্ছেদও করতে পারছে না। ফলে গাড়িগুলো থেকে দেশের একটি সঙ্ঘবদ্ধ চক্র প্রতি মাসে শত শত কোটি টাকা চাঁদাবাজি করছে। ফলে সরকার রাজস্ব হারাচ্ছে। এ সময় সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন, সংগঠনের আইনবিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম, পরিচালক মো: মুজিবুর রহমান রানা, আক্তার আহমেদ, মার্কেটিং ম্যানেজার আনোয়ারুল কবির প্রমুখ।

 


আরো সংবাদ



premium cement