০৪ মে ২০২৪, ২১ বৈশাখ ১৪৩১, ২৪ শাওয়াল ১৪৪৫
`


নিত্যপণ্যের তুলনায় তামাকপণ্য সস্তা হয়ে পড়ছে, দাম বাড়ানো হলে ব্যবহার কমবে

-

অর্থনীতিবিদ ও জাতীয় তামাকবিরোধী মঞ্চের আহ্বায়ক ড. কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ বলেন, নিত্যপণ্যের তুলনায় তামাকপণ্য ক্রমান্বয়ে সস্তা হয়ে পড়ছে। তামাকের কারণে লাখ লাখ মানুষের অকাল মৃত্যু হচ্ছে, অসুস্থতা বাড়ছে। পরিবেশ ও প্রতিবেশের ক্ষতি প্রভৃতি বিবেচনায় এনে আসন্ন বাজেটে সবধরনের তামাপণ্যের দাম বাড়িয়ে জনগণের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। তিনি গতকাল শনিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে আয়োজিত এ বিষয়ক সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখছিলেন। অ্যাডভোকেসি প্রতিষ্ঠান প্রজ্ঞা এবং আত্মা এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেছে। সংবাদ সম্মেলনে আসন্ন অর্থবছরের জন্য তামাক কর ও মূল্য সংক্রান্ত বাজেট প্রস্তাব গণমাধ্যমের কাছে তুলে ধরা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড স্ট্রাটেজিক স্টাডিজের (বিআইআইএসএস) এর রিসার্চ ডিরেক্টর ড. মাহফুজ কবীর বলেন, বর্তমানে পঁচাত্তর শতাংশ সিগারেট ব্যবহারকারী নিম্নস্তরের সিগারেটের ভোক্তা। অথচ এই স্তরে সম্পূরক শুল্কহার মাত্র ৫৮ শতাংশ, এটি বাড়িয়ে কমপক্ষে ৬৩ শতাংশ করা হলে সিগারেটের ব্যবহার কমবে এবং রাজস্ব আয় বাড়বে। এই বর্ধিত রাজস্ব চলমান আর্থিক সঙ্কট মোকাবেলায়ও গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে।
উল্লেখ্য, তামাক ব্যবহারজনিত রোগে প্রতি বছর এক লাখ ৬১ হাজারের অধিক মানুষের মৃত্যু হয়। ২০১৭-১৮ অর্থবছরে তামাক ব্যবহারের অর্থনৈতিক ক্ষতির পরিমাণ ছিল ৩০ হাজার ৫৬০ কোটি টাকা। যা একই সময়ে তামাকখাত থেকে অর্জিত রাজস্ব আয় ছিল ২২ হাজার ৮১০ কোটি টাকা।


আরো সংবাদ



premium cement