পাখি হাতি ভোঁদড় নিয়ে হবে এবারের মঙ্গল শোভাযাত্রা
- নিজস্ব প্রতিবেদক
- ০৮ এপ্রিল ২০২৪, ০০:০৫
অন্ধকারের শক্তিকে পরাজিত করে আলোর আহ্বান জানিয়ে এবারের বর্ষবরণ উৎসবের মঙ্গল শোভাযাত্রার প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে জানিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদ।
এ বছর চারুকলা অনুষদ থেকে মঙ্গল শোভাযাত্রা বের হবে সকাল ৯টায়। শাহবাগ মোড় হয়ে শিশুপার্কের সামনে দিয়ে ঘুরে ফের শাহবাগ হয়ে টিএসসিতে গিয়ে শেষ হবে। প্রস্তুতির সবশেষ অবস্থা জানাতে গতকাল রোববার চারুকলা অনুষদের জয়নুল গ্যালারিতে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
নববর্ষ উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক মুহাম্মদ সামাদ বলেন, ‘অন্ধকারের বিরুদ্ধে আমরা আলোর দিশারি। অন্ধকার ভেদ করে আমরা সমাজে আলো ছড়াতে চাই। এজন্যই আমরা এবার প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করেছি- ‘আমরা তো তিমিরবিনাশী’। কবি জীবনানন্দ দাশের ‘তিমির হননের গান’ কবিতার পঙ্ক্তি থেকে এই প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে।’
এবারের আয়োজনে চারটি বড় মোটিফ বা শিল্পকর্ম তৈরি করা হচ্ছে বলে জানান ঢাবি চারুকলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক নিসার হোসেন। তিনি বলেন, ‘প্রতি বছরই আমরা আমাদের লোকজ মাটির পুতুল থেকে এসব মোটিফ তৈরি করি। এবার আমরা আশা করছি, চারটি মোটিফ তৈরি করা হবে। আর যদি সম্ভব হয়, পাঁচটিও হতে পারে। চারটি মোটিফের মধ্যে থাকবে পাখি, হাতি, ভোঁদড় এবং চাকার মধ্যে চোখ নিয়ে ভিন্ন রকম একটি শিল্পকর্ম। অন্যদের মধ্যে সাংস্কৃতিক সংগঠক রামেন্দু মজুমদার, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি গোলাম কুদ্দুছ, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শ্যামল দত্ত, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক মো: মাকসুদুর রহমান সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।
এবারো প্রশাসন থেকে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে জানিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক মো: মাকসুদুর রহমান বলেন, ‘আইনশৃংখলা বাহিনীর সাথে আমাদের বৈঠক হয়েছে। কয়েক স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে। আমরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন থেকে সব রকম সহযোগিতা করব।’
তবে নিরাপত্তার ঘেরাটোপে এভাবে উৎসবের আয়োজন নিয়ে আক্ষেপ করে রামেন্দু মজুমদার বলেন, ‘এই মঙ্গল শোভাযাত্রায় মানুষ যেন নির্ভয়ে আসতে পারে তার ব্যবস্থা যেমন করতে হবে। আবার নিরাপত্তার নামে যেন এটাকে দেখতে প্যারেডের মতো মনে না হয়। সেটিও ভাবতে হবে।’
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা