১৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ৩০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১২ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

বাসায় জানে ভ্যান চালক আসলে তালিকাভুক্ত ছিনতাইকারী সাদ্দাম

-

মোহাম্মদ সাদ্দাম হোসেন (২১)। পেশায় ভ্যান চালক। প্রতিদিনই মোটা অঙ্কের টাকা নিয়ে বাসায় ফিরে সাদ্দাম। বাসার সবাই জানে ভ্যান চালিয়ে মাথার ঘাম পায়ে ফেলে টাকা উপার্জন করে সাদ্দাম। আসেল তা নয়, প্রতিদিন একটি করে মোবাইল ছিনতাই করে সাদ্দাম। এরপর সেই মোবাইল বিক্রির টাকার একটি অংশ খরচ করে সংসার চালাতে। শুধু তা-ই নয়, তেজগাঁও এলাকার তালিকাভুক্ত ছিনতাইকারী সাদ্দাম। তার বিরুদ্ধে পাঁচটি মামলা রয়েছে। যার মধ্যে দু’টি মামলা সাজা খেটে জেল থেকে বের হয়েছে। ঈদকে সামনে রেখে নতুন করে দলবল নিয়ে আবারো ছিনতাই কাজ শুরু করেছে সে। কিন্তু এবার আর শেষ রক্ষা হয়নি, গত বৃহস্পতিবার রাতে আবারো তাকে গ্রেফতার করেছে তেজগাঁও থানা পুলিশ।
স্থানীয়দের অভিযোগ, কাওরানবাজার, সোনারগাঁও ক্রসিং, ফার্মগেট, এফডিসি গেট, রেলগেট এলাকা ছিনতাইকারীদের আখড়া হিসেবে পরিচিত। এমন কোনো দিন নেই এখানে ছিনতাই বা টানা পার্টির ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেনি। কোনো কোনো ঘটনায় থানায় অভিযোগ দেয়া হলেও বেশির ভাগ ঘটনাই থেকে যেত অজানা।
পুলিশ সূত্র বলছে, গ্রেফতার হওয়া সাদ্দাম সোনারগাঁও ক্রসিং, ফার্মগেট, এফডিসি গেট, রেলগেট এলাকায় ছিনতাইকারীদের অন্যতম সদস্য। সারাদিন ভ্যান নিয়ে ঘুরলেও তার টার্গেট পথচারীদের মোবাইল ফোন ছিনতাই করা। ঢাকার বিভিন্ন ব্যস্ততম সড়কে যানজটে আটকে থাকা গণপরিবহনের আশপাশে ওঁৎ পেতে থাকে। এরপর জানালার পাশে বসা কেউ ফোনে কথা বললে ছোঁ মেরে তা ছিনিয়ে নিয়ে পালিয়ে যায়। সে প্রতিদিন একটি করে মোবাইল ছিনতাই করে। বাসায় ফিরে ছিনতাইকৃত মোবাইল বিক্রির টাকা দিলে সবাই মনে করেন এগুলো ভ্যান চালানোর টাকা। দিনে অন্তত একটি মোবাইল তার ছিনতাই করা লাগবে। টার্গেট ফুল হলে ওই দিন আর ছিনতাই করত না।
তেজগাঁও থানার ওসি মোহাম্মদ মোহসিন বলেন নয়া দিগন্তকে বলেন, তেজগাঁও এলাকায় ছিনতাইকারীদের আখড়া ভেঙে দেয়া হচ্ছে। গত তিন মাসে এখানে একটি ছিনতাইয়ের ঘটনাও ঘটেনি। যখনই অপরাধীরা সংগঠিত হওয়ার চেষ্টা করেছে তখন তাদের প্রতিহত করে গ্রেফতার করা হয়েছে। অপরাধীদের চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানান তিনি।


আরো সংবাদ



premium cement