১৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ৩০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১২ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

এআই নীতি প্রণয়নে অংশীজনদের সম্পৃক্ত করুন

টিআইবি ও আর্টিকেল নাইনটিন
-

জাতীয় কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) নীতি ২০২৪ খসড়া প্রণয়নে উদ্যোগী হওয়াকে স্বাগত জানিয়েছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) ও আর্টিকেল নাইনটিন। তবে দেশের প্রত্যেক নাগরিকের ওপর সুদূরপ্রসারী ও ব্যাপক বিস্তৃত প্রভাব রয়েছে এমন একটি নীতির খসড়া প্রস্তুত ও পর্যালোচনা প্রক্রিয়ার আগে নাগরিক অধিকার ও আইনের শাসন নিয়ে কাজ করে এমন কোনো নাগরিক সংস্থাকে যুক্ত না করায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে আন্তর্জাতিক এই সংস্থা দু’টি। একই সাথে কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তা নীতির খসড়া নিয়ে ৩ এপ্রিল অনুষ্ঠিত আলোচনায় মানবাধিকার ও সুশাসন নিয়ে কর্মরত সংস্থাগুলোকে উপেক্ষার বিষয়েও হতাশা প্রকাশ করেছে সংস্থা দু’টি। জাতীয় কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তা নীতি প্রণয়নের প্রতিটি ধাপে নাগরিক অধিকার সংস্থাসহ সব অংশীজনকে সম্পৃক্ত করার আহ্বান জানিয়েছে তারা।

গতকাল এক যৌথ বিবৃতিতে সংস্থা দু’টির পক্ষ থেকে বলা হয়, কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তা নীতির খসড়াটি মূলত বিভিন্ন দেশের কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তাকেন্দ্রিক অভিজ্ঞতাগুলোকে মাথায় রেখে করা হয়েছে। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে সরকারি সেবা, শাসন ও বিচারিক ব্যবস্থা, টেলিযোগাযোগ, ডেটা গভর্ন্যান্স, নজরদারি ইত্যাদি বিষয়ে গুরুত্বারোপ করা হলেও, এই নীতির ফলে দেশের নাগরিকের ওপর বহুমুখী প্রভাব সম্পর্কে সুস্পষ্ট আলোচনা করা হয়নি। এমনকি এই খসড়া প্রণয়ন প্রক্রিয়ায় নাগরিক অধিকার নিয়ে কাজ করেন এমন কোনো ব্যক্তি বা সংস্থাকে সম্পৃক্ত করার বিষয়টি স্রেফ উপেক্ষা করা হয়েছে।
খসড়ার মূলনীতির অংশ হিসেবে ৩.৬ অনুচ্ছেদে আইনের শাসন ও মানবাধিকার উল্লেখিত হওয়াকে উৎসাহব্যঞ্জক বিবেচনা করে টিআইবি ও আর্টিকেল নাইনটিন উদ্বেগ প্রকাশ করছে যে, নীতিমালায় অন্তর্ভুক্ত প্রাধাণ্যের ক্ষেত্র, বাস্তবায়ন পদ্ধতি এবং চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা ইত্যাদি ক্ষেত্রে আইনের শাসন ও মানবাধিকারসংশ্লিষ্ট বিষয়ে কোনো গুরুত্ব দেয়া হয়নি, যা ঝুঁকিপূর্ণ ও অগ্রহণযোগ্য। বিজ্ঞপ্তি।


আরো সংবাদ



premium cement