৭ বছরের শিশুকে ধর্ষণের পর হত্যা লাশ মিললো ডাস্টবিনে
- চট্টগ্রাম ব্যুরো
- ০৩ এপ্রিল ২০২৪, ০০:৫৮
চট্টগ্রাম মহানগরীতে ডাস্টবিন থেকে এক মেয়ে শিশুর বস্তাবন্দী লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। সোমবার দিবাগত রাতে নগরীর বিআরটিসি মোড়ের ফলমন্ডি ডাস্টবিন থেকে উদ্ধার করা সাত বছরের ওই শিশুটিকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে বলে ধারণা করেছিল পুলিশ। ইতোমধ্যে এ ঘটনায় মুরাদ হোসেন নামে এক যুবককে গ্রেফতার করা হয়েছে। সে শিশুটিকে ধর্ষণের পর হত্যার কথা স্বীকার করেছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
নিহত শিশুটির মায়ের নাম বিলকিস বেগম। তিনি পরিত্যক্ত বোতল কুড়িয়ে বিক্রির করেন। নগরের বাকলিয়া থানার বৌবাজারের বাসিন্দা। বোতল কুড়াতে বের হওয়ার সময় শিশুটিকে আন্দরকিল্লা এলাকায় ফুটপাথে পরিচিত লোকজনের নজরে রাখতেন। তিনি জানিয়েছিলেন, রোববার রাতে মেয়েটি আন্দরকিল্লা থেকে নিখোঁজ হয়। লাশ উদ্ধারের খবর পেয়ে তিনি মেয়েকে শনাক্ত করেন। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
পুলিশ জানায়, স্থানীয়দের কাছ থেকে খবর পেয়ে শিশুটির বস্তাবন্দী লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। পায়ু ও যোনিপথে রক্তক্ষরণের চিহ্ন আছে জানিয়ে পুলিশ কর্মকর্তারা প্রাথমিকভাবে ধারণা করছিলেন শিশুটিকে ধর্ষণ করা হয়েছে। এদিকে গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে নগরীর কদম মোবারক কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) দক্ষিণ জোনের উপ কমিশনার (ডিসি) মোস্তাফিজুর রহমান জানিয়েছেন, এ ঘটনায় ভোরে নগরীর বাকলিয়া এলাকা হতে মুরাদ হোসেন নামের এক যুবককে গ্রেফতার করা হয়েছে। চকলেটের লোভ দেখিয়ে কোতোয়ালীর একটি নির্জন পাহাড়ে নিয়ে ধর্ষণের পর জ্ঞান হারালে ওই যুবক শিশুটিকে শ্বাসরোধে হত্যা করে।
তিনি বলেন, শিশুটির বাসা বাকলিয়া থানা এলাকায়। প্রতিদিন মায়ের সাথে আন্দরকিল্লা এবং কোতোয়ালী এলাকায় বোতল কুড়াতে আসতো। খুন হওয়ার আগের দিন রাত ১২টার দিকে মা তাকে একটি দোকানের সামনে বসিয়ে বোতল সংগ্রহে গিয়েছিলো এবং ফিরে এসে সে মেয়েকে খুঁজে পাচ্ছিলেন না। এরপর সোমবার রাতে ওই শিশুর লাশ পাওয়া যায় ডাস্টবিনে। আমরা ডিজিটাল তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করে আসামিকে শনাক্ত করতে সক্ষম হই। এরপর মঙ্গলবার সকাল ৬টার দিকে তাকে আমরা বাকলিয়া এলাকা থেকে গ্রেফতার করেছি।
পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন, আসামি মুরাদ হোসেন ভাঙারির ব্যবসা করেন। মেয়েটিকে চকলেটের লোভ দেখিয়ে ফুসলিয়ে ওই দোকানের সামনে থেকে কোতোয়ালী থানাধীন একটি পাহাড়ে নিয়ে গিয়ে পাশবিক নির্যাতন করেন। ধর্ষণের পর মেয়েটি জ্ঞান হারালে তাকে হত্যা করে। এরপর লাশ গুমের চেষ্টা করতে থাকে। ঘটনার দিন ইফতারের সময় যখন রাস্তাঘাট ফাঁকা হয় তখন লাশ গুমের উদ্দেশ্যে সে ডাস্টবিনের মধ্যে ফেলে দেয়। ধৃত যুবক ইতোপূর্বে শিশু ধর্ষণের পর খুনের ঘটনায় গ্রেফতার হয়েছিলেন জানিয়ে এ পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, প্রাথমিকভাবে খুনের কথা সে স্বীকার করেছে। সে এর আগে কুমিল্লার মুরাদনগর থানায় ২০১২ সালে ধর্ষণের পরে খুনের ঘটনায় জেলও খেটেছে বলে তথ্য পেয়েছি। আমাদের মনে হয়েছে সে অভ্যাসগতভাবেই অপরাধী। যেখানেই সুযোগ পায় শিশুদের টার্গেট করে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা