ইসলামী ছাত্রশিবিরের ২০২৩ সেশনের জন্য নতুন কমিটি গঠন করা হয়েছে। এতে সারা দেশের সদস্যদের অনলাইন ভোটে সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন রাজিবুর রহমান। সেক্রেটারি জেনারেল মনোনীত হয়েছেন মঞ্জুরুল ইসলাম। নবনির্বাচিত সভাপতি গত বছর সেক্রেটারি জেনারেলের দায়িত্ব পালন করেন। এর আগে তিনি কেন্দ্রীয় দফতর সম্পাদক, সাহিত্য ও দাওয়াহ সম্পাদক, প্রকাশনা সম্পাদক এবং রংপুর মহানগর সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। তিনি রংপুর কারমাইকেল কলেজের রসায়ন বিভাগ হতে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজনেস স্টাডিজ অনুষদ থেকে এমবিএ করেছেন। এলএলবি শেষ করে বর্তমানে এলএলএম অধ্যয়নরত। নব-মনোনীত সেক্রেটারি জেনারেল মঞ্জুরুল ইসলামের আগে কেন্দ্রীয় দফতর সম্পাদক, সাহিত্য সম্পাদক, প্রচার সম্পাদক এবং রাজশাহী মহানগর সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবি বিভাগ থেকে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন। বর্তমানে তিনি একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে এমবিএ করছেন।
গত ৩০ ডিসেম্বর বিকেল ৪টা থেকে ৩১ ডিসেম্বর রাত ৮টা পর্যন্ত সারা দেশে অনলাইনের মাধ্যমে একযোগে কেন্দ্রীয় সভাপতি নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। গতকাল ঢাকায় শহীদ আব্দুল মালেক মিলনায়তনে ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সদস্য সম্মেলনে ছাত্রশিবিরের নির্বাচন কমিশনার ও সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি মতিউর রহমান আকন্দ নবনির্বাচিত কেন্দ্রীয় সভাপতির নাম ঘোষণা করেন। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন, সহকারী নির্বাচন কমিশনার ও সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি নূরুল ইসলাম বুলবুল। নবনির্বাচিত কেন্দ্রীয় সভাপতি শপথবাক্য পাঠ করার পর ছাত্রশিবিরের সংবিধান অনুযায়ী কেন্দ্রীয় সভাপতি ২০২৩ সেশনের জন্য কার্যকরী পরিষদের সাথে পরামর্শ করে মঞ্জুরুল ইসলামকে সেক্রেটারি জেনারেল হিসেবে মনোনয়ন দেন।
সম্মেলনে সদ্য বিদায়ী কেন্দ্রীয় সভাপতি রাশেদুল ইসলামের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ভারপ্রাপ্ত আমির সাবেক এমপি অধ্যাপক মুজিবুর রহমান। বিশেষ অতিথি হিসেবে সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতিবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে অধ্যাপক মুজিবুর রহমান বলেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সাহাবাদের সাথে নিয়ে ত্যাগ ও সংগ্রামের মাধ্যমে এমন একটি সমাজ কায়েম করেছিলেন- যেখানে নামাজ ও জাকাত প্রতিষ্ঠা হয়েছিল। সৎ কাজের আদেশ এবং অসৎ কাজের নিষেধ নিশ্চিত করা হয়েছিল। মানুষের সার্বিক অধিকার নিশ্চিত করে কল্যাণময় সমাজব্যবস্থা কায়েম হয়েছিল। আজও আল্লাহর জমিনে আল্লাহর দ্বীন কায়েমের জন্য জান-মাল দিয়ে সংগ্রাম ও ত্যাগের নজির স্থাপন করে শহীদি কাফেলা ইসলামী ছাত্রশিবির এগিয়ে চলেছে। বাংলার জমিনে সেই সোনালি সমাজ ছাত্রশিবির কায়েম করতে পারবে বলে আমরা বিশ্বাস করি। এ জন্য ছাত্রশিবিরের জনশক্তিকে দুনিয়ার সব কাজ আখিরাতকে চিন্তা করতে হবে। নিজেদের কাক্সিক্ষত চরিত্র ও যোগ্যতা অর্জনের পাশাপাশি পরিবার-পরিজন, আত্মীয়স্বজন, প্রতিবেশী-সবার সাথে সুসম্পর্ক রাখতে হবে এবং ভালো ব্যবহার করতে হবে। জীবনের সব ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে হবে। হক আদায় করতে হবে। সত্য ও ন্যায়ের পথে অটল-অবিচল থাকতে হবে। আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, বাতিলের মোকাবেলা করার জন্য ছাত্রশিবির প্রস্তুত রয়েছে, ইনশাআল্লাহ।