১৭ মে ২০২৪, ০৩ জৈষ্ঠ ১৪৩১, ০৮ জিলকদ ১৪৪৫
`


মিটফোর্ড থেকে কয়েদির পলায়ন

১০ ঘণ্টা পর ধরা, বরখাস্ত ৩
-

রাজধানীর স্যার সলিমুল্লাহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল (মিটফোর্ড) থেকে পালানোর ১০ ঘণ্টা পর ধরা পড়েছেন কয়েদি মিন্টু মিয়া (২৮)। গতকাল শনিবার বেলা ২টার দিকে বাবুবাজার ব্রিজের নিচ থেকে হ্যান্ডকাফ পড়া অবস্থাতেই তাকে আটক করা হয়। কারা কর্তৃপক্ষ বলছে, গতকাল ভোর রাতে দায়িত্বরত কারারক্ষীরা ঘুমিয়ে থাকার সুযোগে পালিয়ে যান মিন্টু মিয়া। এ ঘটনায় দায়িত্ব অবহেলার জন্য একজন ইনচার্জসহ তিন কারারক্ষীকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
জানা গেছে, টাঙ্গাইলের গোপালপুর থানায় করা মাদকদ্রব্য বিষয়ক মামলার আসামি মিন্টু মিয়া। চিকিৎসার জন্য টাঙ্গাইল জেলা কারাগার থেকে কেরানীগঞ্জের ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে তাকে স্থানান্তর করা হয়েছিল। সেখান থেকে গত শুক্রবার রাতে তাকে মিটফোর্ড হাসপাতালে পাঠানো হয়। মানসিক সমস্যা থাকার পাশাপাশি শ্বাসকষ্টজনিত রোগে ভুগছিলেন মিন্টু মিয়া।
ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলার মাহবুবুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান, মিন্টু মিয়া নামে ওই কয়েদি মানসিক সমস্যায় ভুগছিলেন। শুক্রবার শ্বাসকষ্ট দেখা দিলে কারা তত্ত্বাবধানে তাকে মিটফোর্ড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ সময় তার তত্ত্বাবধানে ছিলেন দু’জন কারারক্ষী। শনিবার ভোরের দিকে ওই কারারক্ষীরা ঘুমিয়ে গেলে পালিয়ে যান মিন্টু মিয়া। পরে হ্যান্ডকাফ পড়া অবস্থায় গতকাল বেলা ২টার দিকে বাবুবাজার ব্রিজের নিচ থেকে তাকে আটক করা হয়। এ ঘটনায় দায়িত্ব অবহেলার জন্য একজন ইনচার্জসহ তিন কারারক্ষীকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। পাশাপাশি চিকিৎসার জন্য মিন্টু মিয়াকে ফের মিটফোর্ড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এক প্রশ্নের উত্তরে জেলার আরো বলেন, পালিয়ে যাওয়ার পরপরই তাকে উদ্ধারের জন্য কারাগারে পক্ষ থেকে বিশেষ ব্যবস্থা নেয়া হয়েছিল। গাজীপুরে তার শ্বশুরবাড়ি ও টাঙ্গাইলে নিজের বাড়িতে খোঁজ নেয়া হয়। লোক নিয়োগ করা হয় রাজধানীর সম্ভাব্য বিভিন্ন জায়গায়। কারণ আমাদের ধারণা ছিল মানসিক সমস্যা থাকায় সে পালিয়ে বেশি দূর যেতে পারবে না। সেটাই হয়েছে। হ্যান্ডকাফ পরে বাবুবাজার ব্রিজের নিচ দিয়েই ঘুরাফেরা করছিলেন মিন্টু মিয়া। এ ঘটনায় কোতোয়ালি থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।


আরো সংবাদ



premium cement