১০ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৫ হিজরি
`

হারিকেন : অনলাইনে পড়াশোনার এক যুগান্তকারী প্লাটফর্ম

-

সবকিছুই যেন চোখের সামনে বদলে যাচ্ছে। মাত্র কিছুদিন আগে নিজের বাসায় বসে শত শত মাইল দূরে অবস্থিত কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কিংবা দেশের এক প্রান্তে বসে আরেক প্রান্তে বসবাসরত কোনো টিউটরের কাছে অনলাইনে-লাইভ ক্লাস করার কথা কেউ খুব একটা চিন্তা করত না। কিছু উৎসাহী শিক্ষার্থী শুধু বিদেশী অনলাইন কোর্সগুলোতে অংশগ্রহণ করত। কিন্তু করোনাভাইরাস মহামারীতে সাধারণ শিক্ষাকার্যক্রম অব্যাহত রাখতে অনলাইন ক্লাসে অংশগ্রহণ বাধ্যতামূলক হয়ে পড়েছে। শিক্ষার্থীরা সে দিকে ঝুঁকছে। আর হারিকেন তাদের ই-লার্নিং অভিজ্ঞতাকে সহজ ও সাশ্রয়ী করতে নিয়ে এসেছে দেশের প্রথম ওয়ান স্টপ লাইভ এডুকেশন প্লাটফর্ম।
হারিকেন এমন এক প্লাটফর্ম যেটার মাধ্যমে দেশের সব স্তরের টিউটরগণ সরাসরি-লাইভ ক্লাসে একসাথে দশজন পর্যন্ত শিক্ষার্থীকে টিউশন দিতে পারবে। বাংলাদেশে হারিকেনই এ ধরনের প্রথম প্লাটফর্ম, যেখান থেকে শিক্ষার্থীরা একই জায়গা থেকে টিউটর বাছাই, মাসিক টিউশন ফি প্রদান এবং লাইভ ভিডিও ক্লাসের মাধ্যমে শিক্ষাগ্রহণ করতে পারে।
চতুর্থ শ্রেণীর ইংরেজি কিংবা নবম শ্রেণীর পদার্থবিজ্ঞানের টিউশন অথবা গ্র্যাজুয়েটের কোনো কোর্স, হারিকেনে আপনি সবই পাবেন। স্পোকেন ইংলিশ, কম্পিউটার প্রোগ্রামিংসহ দক্ষতাভিত্তিক আরো বহু কোর্স শিক্ষার্থীরা হারিকেনের মাধ্যমে করতে পারবে।
প্লাটফর্মটিতে টিউটরদের সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্যের উল্লেখ থাকায় শিক্ষার্থীরা সহজেই তাদের জন্য উপযুক্ত টিউটর বেছে নিতে পারে। তারপর বাসায় বসেই কোর্স-সংশ্লিষ্ট লাইভ ক্লাসরুমে অংশ নিয়ে শিক্ষাগ্রহণ করতে পারে। যদি কোনো শিক্ষার্থী দু’টি ক্লাস করার পর মনে করে যে তার পছন্দ করা টিউটর তার চাহিদা পূরণ করতে পারছে না তাহলে তৃতীয় ক্লাসের আগেই হারিকেন দিচ্ছে শতভাগ মানি ব্যাক গ্যারান্টি।’
হারিকেনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা বলেন, ‘হারিকেনের অন্যতম উদ্দেশ্য হলো, দেশে বিদ্যমান টিউটরদের ভৌগোলিক সীমারেখার বাধা সরিয়ে দেয়া। যাতে গ্রামে বসবাসরত কোনো শিক্ষার্থীও অনায়াসে ঢাকাসহ অন্যান্য উন্নত শহরে বসবাসরত টিউটরদের কাছ থেকে টিউশন নিতে পারে। শুধু এতুটুকু করতে পারলেই কিন্তু প্রচলিত শিক্ষাব্যবস্থার মানোন্নয়নে ব্যাপক ভূমিকা পালন সম্ভব। তা ছাড়া শুধু একজন শিক্ষার্থীকে পড়াতে একজন গৃহশিক্ষককে যানজটসহ অনেক ঝক্কি-ঝামেলা পোহাতে হয়। অন্য দিকে হারিকেন ব্যবহার করলে এসব ঝামেলাই থাকছে না।
সাধারণত অনলাইন পড়াশোনার ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি প্রচলিত ব্যবস্থা হচ্ছে, পূর্বে থেকে রেকর্ড করা ভিডিও দিয়ে অনেক শিক্ষার্থীকে একটি বিষয়ে শিক্ষা দেয়া। শুধু এতটুকুতেই অনেক শিক্ষার্থী লাভবান হয়েছে এটা বলা যায় না। অনলাইন শিক্ষাব্যবস্থা কাক্সিক্ষত ফল না পাওয়ার এটি অন্যতম কারণ। ফলে অনলাইন কোর্সে সাইন আপ করা ৪০ থেকে ৮০ শতাংশ শিক্ষার্থী কোর্স শেষ করার আগেই ঝরে যায়।
হারিকেন সেদিক থেকে একেবারেই ভিন্ন! সব ক্লাসই অনালাইনে-লাইভ অনুষ্ঠিত হয় যেখানে টিউটরগণ ক্লাসের সময় নির্দিষ্ট করে দেন এবং সম্পূর্ণ দিকনির্দেশনামূলক ক্লাস হয়। শিক্ষার মান বজায় রাখতে একই সময়ে দশজনের বেশি শিক্ষার্থী ক্লাসে অংশগ্রহণ করতে পারে পারে না। প্রযুক্তির সমন্বিত ব্যবহারে হারিকেন অনলাইন পড়াশোনাকে এনে দিয়েছে এক নতুন মাত্রা। বিজ্ঞপ্তি


আরো সংবাদ



premium cement