১৯ মে ২০২৪, ০৫ জৈষ্ঠ ১৪৩১, ১০ জিলকদ ১৪৪৫
`


দূষণ ও দখলের কবলে বালু নদী হুমকিতে পরিবেশ

নদী রক্ষা কমিশনের পরিদর্শন : শিগগির উচ্ছেদ অভিযান
-

রূপগঞ্জের চনপাড়া পুনর্বাসন কেন্দ্র এলাকা থেকে শুরু হওয়া বালু নদী দূষণ ও দখলের কবলে পড়েছে। কিছু প্রভাবশালী নদী দখল করে বিভিন্ন স্থাপনা নির্মাণ করে নদীর প্রশস্থতা কমিয়ে ফেলেছে। বিষাক্ত বর্জ্য ফেলে দূষণ করছে। শুধু তাই নয়, এ নদীর শাখা-প্রশাখাগুলো উৎসে পানির সঙ্কট, দখল, দূষণ ও নাব্যতা সঙ্কটে ভুগছে। দূষণের কারণে পচা গন্ধে পরিবেশ হুমকির মুখে। এতে মৎস্যসম্পদ নষ্ট হয়ে গেছে।
এ দিকে গত শনিবার ও রোববার বালু নদী পরিদর্শন করেছেন জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের একটি প্রতিনিধিদল। কমিশনের চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান হাওলাদারের নেতৃত্বে এ সময় উপস্থিত ছিলেন, ভূমি রেকর্ড ও জরিপ অধিদফতরের উপসচিব শাহাদাত হোসেন, ঢাকার এডিসি (রেভিনিউ) আবুল ফাতে মোহাম্মদ সফিকুল ইসলাম, পরিবেশ অধিদফতরের সহকারী পরিচালক সাইফুল আশ্রাফ, পানি উন্নয়ন বোর্ডের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আব্দুল মতিন, রাজউকের অথরাইজড অফিসার মাকিদ এহসান, বিআইডব্লিউটিএর ট্রেসার আব্দুল হাই, কালীগঞ্জ উপজেলার ইউএনও শিবলি সাদিক, রূপগঞ্জের এসিল্যান্ড তরিকুল ইসলাম, তেজগাঁও সার্কেলের এসিল্যান্ড এ বি এম কুদরত ই খুদাসহ বিভিন্ন দফতরের কর্মকর্তারা। পরিদর্শনকালে দেখা গেছে, ৫৪ স্থানে দখল ও ২৩ স্থানে দূষণ করছে প্রভাবশালীরা।
পরিদর্শনে নদী রক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান হাওলাদার বলেন, যেকোনো মূল্যে নদী বাঁচাতে হবে। নদী বাঁচলে দেশ বাঁচবে। যারা নদী দখল ও দূষণ করেছেন, তারা যত প্রভাবশালীই হোক না কেন ছাড় দেয়া হবে না। আমরা সি এস রেকর্ড দেখে সীমানা নির্ধারণ করে নদী দখলমুক্ত কার্যক্রম শুরু করব।
জানা যায়, বালু নদীর উৎসমুখ শ্রীপুর উপজেলার মার্টা ইউনিয়নের প্রহলাদপুর মৌজায় সৃতী ও পারুলী নদী মিলিত হয়েছে। এই মিলিত ধারা বালু নাম নিয়ে গাজীপুর ও ঢাকার মধ্যে দিয়ে রূপগঞ্জ হয়ে ডেমরার শীতলক্ষ্যা নদীতে মিলিত হয়েছে। পুবাইলে অপর গুরুত্বপূর্ণ উপনদী চেলাই ও টঙ্গীতে টঙ্গীরখালে মিলিত হয়েছে। বালু নদীর দৈর্ঘ্য ৬০ কিলোমিটার ও প্রশস্থ ১০০ মিটার। এই নদীর গতিপথে দু’টি পানির লেভেল পরিমাপক স্টেশন একটি পুবাইল ও অন্যটি ডেমরায় এবং একটি প্রবাহ পরিমাপক স্টেশন আছে ডেমরায়। ৫৪ স্থানে দখল, ২৩ স্থানে দূষণ, তিন স্থানে ডুবোচর, তিন স্থানে প্রায় ২৫০০ মিটার ভাঙন ও ৩০টি ব্রিজ আছে। প্রায় ৪০টি খাল ও ছোট-বড় মিলিয়ে সাতটি বিলের নদীর সাথে সরাসরি সংযোগ রয়েছে।
সরেজমিন দেখা গেছে, পুবাইল মৌজার সরকারি মেডিক্যাল অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রশিক্ষণ কেন্দ্র নদীর জমিতে ভবন নির্মাণ করেছে। এ ছাড়া ইন্টারন্যাশনাল মেরিটাইম একাডেমির বহুতল ভবন নির্মাণ করা হয়েছে নদীর জমি দখল করে। মান্নান ব্রিকফিল্ড দখলে রেখেছে নদীর জমি।
এএনডি ট্রাউজার ফ্যাক্টরির বর্জ্য আবর্জনার স্তূপ ও ময়লার পাইপ সরাসরি নদীতে ফেলছে। টঙ্গী সার্কেলে বাবু গার্মেন্ট, আজমেরি গার্মেন্ট, নীলা কেমিক্যাল ফ্যাক্টরি, এলইডি স্টার ফ্যাক্টরির বর্জ্যও সরাসরি বালু নদীতে ফেলা হচ্ছে। কোনাে প্রকার ইটিপি প্লান ছাড়াই এসব প্রতিষ্ঠান নদী দূষণ করছে। রূপগঞ্জ ইউনিয়নের পর্শি এলাকায় ক্রাউন সিমেন্ট ফ্যাক্টরি বর্জ্য ও ময়লার স্তূপ বালু নদীতে ফেলা হচ্ছে। বালু নদীর দুই পাড়ে বসবাসরত স্থানীয় জনগণও বর্জ্য ও ময়লার স্তূপ সরাসরি ফেলছে। এ ধরনের অভিযোগের শেষ নেই।
ঢাকা জেলার এডিসি (রেভিনিউ) আবুল ফাতে মোহাম্মদ সফিকুল ইসলাম বলেন, আমরা নির্দেশনা পেলে বালু নদীর দুই পাশে উচ্ছেদ অভিযান শুরু করব। ঢাকা জেলার পাশাপাশি গাজীপুর জেলা ও নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসনের সহযোগিতা নিয়ে অভিযান চলবে।


আরো সংবাদ



premium cement
শিগগিরই মাগুরায় রেললাইন চালু হবে : রেলমন্ত্রী সংসদ ভবনের সামনে স্বেচ্ছাসেবক লীগের ২ গ্রুপের সংঘর্ষে ছাত্রলীগকর্মী নিহত জুজুৎসুর সম্পাদকের যৌন নিপীড়নের তথ্য দিলো র্যা ব পানচাষীদের পরিশ্রমের ফসল জিআই স্বীকৃতি : প্রতিমন্ত্রী বগুড়ায় অবৈধ মজুদকৃত ১ লাখ ডিম উদ্ধার তথ্যের জন্য সাংবাদিকরা শতবার কেন্দ্রীয় ব্যাংকে যেতে পারেন : ডেপুটি গভর্নর ইসরাইলি হামলায় ৪০ ফিলিস্তিনি নিহত আফগানিস্তানে গুলিতে ৩ স্প্যানিশ ও ৩ আফগান নিহত বিভিন্ন অপরাধে সাতজনের ফাঁসি কার্যকর করল ইরান কিরগিস্তানে আতঙ্কে বাংলাদেশী শিক্ষার্থীরা ‘প্রাচীন হিব্রুদের সাথে ইসরাইলি ইহুদিদের জেনেটিক সংযোগ নেই’

সকল