২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫
`

রিয়া সম্পর্কে চাঞ্চল্যকর তথ্য, মোদির দ্বারস্থ সুশান্তের পরিবার

রিয়া সম্পর্কে চাঞ্চল্যকর তথ্য, মোদির দ্বারস্থ সুশান্তের পরিবার - ছবি : সংগৃহীত

সুশান্ত সিংহ রাজপুতের অস্বাভাবিক মৃত্যু-কাণ্ডে এ বার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির দ্বারস্থ হল তার পরিবার। প্রধানমন্ত্রীকে খোলা চিঠি লিখলেন সুশান্তের দিদি শ্বেতা সিংহ। প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে তার আবেদন, তিনি যেন হস্তক্ষেপ করে সুশান্তকে ন্যায়বিচার পেতে সাহায্য করেন। ভারতীয় বিচারব্যবস্থার প্রতি যে তার অগাধ আস্থা রয়েছে, সে কথাও সোশ্যাল মিডিয়ায় ওই চিঠিতে জানান শ্বেতা।

নিজের টুইটার হ্যান্ডেল থেকে শ্বেতা লেখেন, ‘আমরা এবং আপনি (নরেন্দ্র মোদি), খুব সাধারণ পরিবার থেকে আজ এই জায়গায় পৌঁছেছি। আমার ভাইয়ের কোনও গডফাদার ছিল না। এখনও নেই। আপনার কাছে আমার একান্ত অনুরোধ, আপনি নিজে এই গোটা ব্যাপারে হস্তক্ষেপ করুন। আমরা ন্যায়বিচার চাই।’

অন্য দিকে শুক্রবারই সুশান্তের পরিবারের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ এনেছেন অভিনেতার বন্ধু সিদ্ধার্থ পিঠানি। শুক্রবার এক ই-মেল মারফৎ সিদ্ধার্থ মুম্বাই পুলিশকে জানান, রিয়ার বিরুদ্ধে বয়ান দেয়ার জন্য তাকে নাকি রীতিমতো জোর করা হচ্ছে সুশান্তের আত্মীয়দের তরফে। ওই ই-মেলে সিদ্ধার্থ লেখেন, ‘আমাকে বলা হয়েছিল, একটা ফোন কল আসবে। তার কিছুক্ষণ পরেই আমার হোয়াটসঅ্যাপ নম্বরে একটি কল আসে। ৪০ সেকেন্ডের মাথায় সেই ফোন কেটেও যায়। রিয়ার বিরুদ্ধে কথা বলার জন্য আমায় ক্রমাগত জোর করা হচ্ছে।’

জটিলতর হচ্ছে রহস্য

যদিও অভিনেতার পারিবারিক আইনজীবী বিকাশ সিংহের দাবি এই অভিযোগ ভুয়ো, সত্যি লুকোচ্ছেন সিদ্ধার্থ। বিকাশ সিংহের বক্তব্য, কিছু দিন আগে পর্যন্ত রিয়ার বিরুদ্ধে কথা বললেও হঠাৎ করেই এখন অন্য সুর সিদ্ধার্থের গলায়। তিনি সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘জুলাইয়ের ২৫ তারিখ অবধি সুশান্তের পরিবারের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছিলেন সিদ্ধার্থ। এমনকি, সুশান্তের যা অবস্থা তাতে রিয়াকেই দায়ী করছিলেন তিনিও। হঠাৎই যেন ভোলবদল তাঁর। এই মামলায় সিদ্ধার্থের ভূমিকা আদপে কী, তা যেন যত দ্রুত পুলিশ অনুসন্ধান করে বার করে।’

মুম্বাই পুলিশকে পাঠানো ওই ইমেলে সিদ্ধার্থ আরও লেখেন, রিয়া যে সুশান্তের অ্যাকাউন্ট থেকে ১৫ কোটি টাকা সরিয়েছেন বলে তাঁর পরিবারের অভিযোগ, সে কথাও নাকি বয়ানে সিদ্ধার্থকে উল্লেখ করার জন্য চাপ দিচ্ছে সুশান্তের পরিবার। সংবাদ সংস্থা এএনআই-কে সিদ্ধার্থ বলেন, ‘আমি ওদের(সুশান্তের পরিবার) সাফ জানিয়ে দিই, পনেরো কোটি টাকার ব্যাপারে আমি কিছুই জানি না। যা জানি, যা বিশ্বাস করি, শুধুমাত্র তাই-ই পুলিশকে বলব আমি। এর পরেই আমি মুম্বই পুলিশকে গোটা ব্যাপার জানালে তারা আমাকে ই-মেল মারফৎ লিখিত অভিযোগ জানাতে বলে।’

যদিও এই প্রসঙ্গে সুশান্তের পরিবারের আইনজীবীর প্রশ্ন: ‘পটনা থেকে মামলা মুম্বইয়ে নিয়ে আসার জন্য রিয়া শীর্ষ আদালতে যে পিটিশন জমা করেছিলেন, সেই পিটিশনে এই ই-মেলেরও বিশদে উল্লেখ ছিল। আমার প্রশ্ন, সিদ্ধার্থের ওই ই-মেল যদি শুধুমাত্র মুম্বই পুলিশকেই পাঠানো হয়ে থাকে তবে তা রিয়ার কাছে পৌঁছল কী করে? এফআইআরে রিয়াকে অভিযুক্ত বলা হয়েছে। তাই আইন অনুযায়ী রিয়ার কাছে এই ই-মেল পৌঁছনোর কথা নয়। যদি পিঠানি নিজেই রিয়াকে ই-মেল পাঠিয়ে থাকেন তবে তার দিকে সন্দেহের তির আরও জোরালো হয়ে উঠছে।’

তার আরো প্রশ্ন, ‘সুশান্ত মারা যাওয়ার দিনেও সুশান্তের বাড়িতেই ছিলেন সিদ্ধার্থ। ওঁর কথামতো, উনি সুশান্তের ঘর ভেতর থেকে বন্ধ দেখে সুশান্তের দিদিকে খবর দেন। আমার জিজ্ঞাসা, দেড় ঘণ্টা সুশান্তের ঘর বন্ধ দেখেও সুশান্তের দিদি আসা পর্যন্ত তিনি অপেক্ষা করছিলেন কেন?’

ইতিমধ্যে সংবাদমাধ্যমকে দেয়া সাক্ষাৎকারে সুশান্তের দেহরক্ষী রিয়া এবং সুশান্তের ব্যাপারে এমন কিছু তথ্য প্রকাশ্যে এনেছে নতুন রহস্য ক্রমে জটিল থেকে জটিলতর করে তুলছে। ওই দেহরক্ষী জানিয়েছেন, গত বছর সুশান্তের ফার্মহাউজে প্রথম রিয়ার সঙ্গে দেখা হয় তার। সুশান্তের সঙ্গে সম্পর্কে আসার পরেই সুশান্তের বাড়ির পরিচারক থেকে বাকি কর্মচারীদের বের করে দিয়েছিলেন রিয়া। যদিও তাঁকে বের করেননি। ওই ব্যক্তির কথায়, ‘ওষুধের ওভারডোজের কথা জানিনা। তবে ইয়োরোপ টুর থেকে এসে স্যর অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন। সব সময়ে বিছানাতেই থাকতেন। সুশান্ত ওষুধ খেয়ে ঘুমিয়ে পড়তেন। রিয়া এবং তার আত্মীয়েরা পার্টি করতেন। মহেশ ভাটকে অফিসেও রিয়াকে ছাড়তে গিয়েছিলাম একবার।’

এই আবহেই শুক্রবার প্রথম মুখ খুলেছেন রিয়া চক্রবর্তী। বিহার পুলিশের কাছে তার নামে দায়ের হওয়া এফআইআরের পর এই প্রথম সুশান্তের অস্বাভাবিক মৃত্যু প্রসঙ্গে কথা বললেন তিনি। রিয়ার বক্তব্য, ‘আমার সম্পর্কে সংবাদমাধ্যমে ভয়ানক সব কথাবার্তা বলা হচ্ছে। এ বিষয়ে আমার আইনজীবী কিছু বলতে বারণ করেছেন। দেশের বিচারব্যবস্থার উপর যথেষ্ট আস্থা রয়েছে। আমি বিচার পাব। সত্যিটা অবশ্যই সামনে আসবে।’

শুক্রবার বিকেলে রিয়া যখন এ কথা বলছেন, তার কয়েক ঘণ্টা আগে তারই একটি ব্যক্তিগত ভিডিয়ো সংবাদমাধ্যমের শিরোনামে চলে আসে। সেই ভিডিয়োতে হাসতে হাসতে রিয়াকে বলতে শোনা গিয়েছে, ‘আমি ডন। আমি ‘তাই’। ছোটখাটো গুন্ডাদের কী করে নিয়ন্ত্রণ করতে হয় তা আমি জানি।’ ওই ভিডিয়োটি ভাইরাল হল তা জানা যায়নি। তবে ভিডিয়োটি ভাল করে দেখলে একটা জিনিস স্পষ্ট হয়— যিনি ভিডিয়োটি তুলছিলেন, রিয়া তাকে বারবারই রেকর্ড করতে বারণ করছিলেন। শনিবার ভাইরাল ওই ভিডিয়ো নিয়ে মুখ খুলেছেন রিয়া। তিনি জানান, নিছকই মজার ছলে বন্ধুদের সাথে আড্ডার মেজাজে একটি স্ট্যান্ডআপ কমেডি করছিলেন তিনি। ভিডিয়োতে নিজেকে বারবার ‘তাই’ বলার কারণ, তার একটি ছবিতে চরিত্রের নাম ছিল ‘তাই’।

সুশান্ত মৃত্যুরহস্যের তদন্তে বিহার পুলিশ শনিবার সকাল থেকেই তৎপর। শুটিংয়ের সেটে সুশান্তের আচরণ কেমন ছিল তা জানতে আজ তারা বয়ান রেকর্ড করতে পারে সুশান্তের শেষ ছবি ‘দিল বেচারা’-র কিছু সদস্যের। যে চিকিৎসকেরা সুশান্তের ময়নাতদন্ত করেছিলেন জেরা করা হতে পারে তাদেরও।

সূত্র : আনন্দবাজার


আরো সংবাদ



premium cement
মুজিবনগরে ২ চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের সংঘর্ষ, আহত ১৩ বাগেরহাটের রামপালে ট্রাকের চাপায় নিহত ৩ ফিলিস্তিনের পক্ষে যুক্তরাষ্ট্রের যেসব বিশ্ববিদ্যালয় বিক্ষোভে উত্তাল পূর্ব আফ্রিকায় প্রবল বৃষ্টি ও বন্যা, কমপক্ষে ১৫৫ জনের প্রাণহানি সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে প্রশ্নবিদ্ধ তথ্য প্রচারের নিন্দা ডিআরইউর ভয়াবহ দুর্ঘটনা, অল্পের জন্য রক্ষা পেলেন উগ্র ইসরাইলি মন্ত্রী শেরে বাংলার সমাধিতে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা নিবেদন হাত কাটা বন্দীর নেতানিয়াহুর সমালোচনা ইসরাইলের আলটিমেটাম, যা বলল হামাস রাশিয়ার প্রতি চীনের সমর্থনের বিরুদ্ধে ব্লিংকেনের হুঁশিয়ারি ইতিহাস গড়া জয় পেল পাঞ্জাব

সকল