কক্সবাজারে টানা বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে ২০ গ্রাম প্লাবিত, পাহাড় ধসে নিহত ৩
- কক্সবাজার অফিস ও ঈদগাঁও সংবাদদাতা
- ১১ জুলাই ২০২৪, ২০:০২
কক্সবাজারে ভারী বর্ষণে পৃথক পাহাড় ধসের ঘটনায় এক শিশুসহ তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া টানা বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে কক্সবাজার শহরসহ জেলার ২০টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার ভোরে কক্সবাজার পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের সিকদার বাজার এবিসি ঘোনা এবং সদর উপজেলার বিসিক শিল্প এলাকায় পাহাড় ধ্বসের ঘটেছে বলে জানান, কক্সবাজার সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো: রকিবুজ্জামান।
নিহতরা হলেন, কক্সবাজার শহরের এবিসি ঘোনা এলাকার মোহাম্মদ করিমের স্ত্রী জমিলা আক্তার (৩০) এবং সিকদার বাজার এলাকার সাইফুল ইসলামের ছেলে নাজমুল হাসান (৫)। বিসিক শিল্প এলাকার বজল আহমদের স্ত্রী লায়লা বেগম (৩৫) এবং তাদের দুই বছরের শিশু মোহাম্মদ জুনায়েদ।
স্থানীয়দের বরাতে রকিবুজ্জামান বলেন, বুধবার মধ্যরাত থেকে কক্সবাজার শহরে টানা মাঝারি ও ভারী বর্ষণ অব্যাহত রয়েছে। বৃহস্পতিবার ভোরে সিকদার বাজার এলাকায় বসবাসকারি সাইফুল ইসলামের বাড়ির ওপর আকস্মিক পাহাড় ধসে পড়ে। এতে মাটির দেওয়াল ভেঙে এক শিশু ঘুমন্ত অবস্থায় চাপা পড়ে। পরে স্থানীয়রা খবর পেয়ে মাটি সরিয়ে শিশুটিকে উদ্ধার করে কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
নিহত লায়লার মেয়ে ইয়াছমিন আক্তার বলেন, ‘আমার মা ভাইকে নিয়ে দুপুরে ভাত খাচ্ছিলেন। এ সময় হঠাৎ পাহাড় ধসে রান্নাঘরের ওপর পড়ে। এ ঘটনায় আমার মা ও ভাইকে এলাকাবাসীর সহায়তায় মাটির ভেতর থেকে বের করা হয়। পরে আমার মায়ের মৃত্যু হয়েছে। আমার ভাইকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।’
এ দিকে, ভোরে কক্সবাজার শহরের এবিসি ঘোনা এলাকায় পাহাড় ধসে বাড়ি বিধ্বস্ত হলে জমিলা আক্তার নামের এক নারীর মৃত্যু হয়েছে বলে জানান ওসি।
রকিবুজ্জামান বলেন, ভোরে জমিলা আক্তার রান্না ঘরের পাশে ঘুমন্ত অবস্থায় ছিলেন। তার স্বামী আরেক কক্ষে ঘুমিয়ে ছিলেন। আকস্মিক পাহাড় ধসে পড়লে জমিলা মাটি চাপা পড়ে। পরে স্থানীয়রা উদ্ধার করে কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
এ দিকে, গতকাল থেকে কক্সবাজারে টানা বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে বিভিন্ন নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। পাহাড়ি ঢলে কক্সবাজার সদর রামু এবং কক্সবাজার পৌরসভার ২০টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। পাহাড়ি ঢল ও বৃষ্টির পানিতে পর্যটন শহরের কলাতলী সড়কসহ অনেক ছোট বড় সড়ক এবং বাসা বাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ৪ থেকে ৫ ফুট পানিতে ডুবে গেছে। শহরের পর্যটন এলাকা হোটেল মোটেল জোনে বৃষ্টির পানিতে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা