‘তর ছেলেকে আত্মহত্যা করতে বাধ্য করেছে মা’
- কুবি সংবাদদাতা
- ০৮ জুলাই ২০২৪, ১৯:৪২, আপডেট: ০৮ জুলাই ২০২৪, ২০:০০
সরকারি চাকরিতে কোটা পুনর্বহালের প্রতিবাদে প্রতীকী আত্মহত্যা মঞ্চ বানিয়েছেন কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) শিক্ষার্থীরা।
একজন শিক্ষার্থীকে সাদা কাপড়ের ওপর লাল-সবুজ কালিতে ‘মেধা থাকার পরও কোটা পদ্ধতি আমাকে বাঁচতে দেয়নি’, ‘তর ছেলেকে আত্মহত্যা করতে বাধ্য করেছে মা’ কাপড় গায়ে জড়িয়ে একটি প্রতীকী গাছের সাথে ঝুলে থাকতে দেখা যায়।
সোমবার (৮ জুলাই) বিকেল সাড়ে ৩টা থেকে সাড়ে ৭টা পর্যন্ত তৃতীয় দিনের মতো অবরোধ কর্মসূচি পালন করেন শিক্ষার্থীরা। এ সময় মহাসড়কের দুইপাশে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়।
শিক্ষার্থীদের বর্তমানে একটাই দাবি- সব গ্রেডে অযৌক্তিক ও বৈষম্যমূলক কোটা বাতিল করে সংবিধানে উল্লিখিত অনগ্রসর গোষ্ঠীর জন্য কোটাকে ন্যূনতম পর্যায়ে এনে সংসদে আইন পাস করতে হবে।
এ সময় শিক্ষার্থীরা নানা স্লোগান দিতে থাকেন। তারা বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর বাংলায় বৈষম্যের ঠাই নাই’, ‘মেধা যার, মেধা যার; চাকরি তার চাকরি তার’, ‘মুক্তি যুদ্ধের মূল কথা সুযোগে সমতা’, ‘স্বাধীনতার মূল কথা সুযোগে সমতা’, ‘রেলের ৪০ ভাগ কোটা মুক্ত করে রেল সম্পদ রক্ষা করো’ ও ‘কোটা প্রথা নিপাত যাক মেধাবীরা মুক্তি পাক’ ইত্যাদি।
আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা বলেন, কোটার কারণে আমাদের মধ্যে বৈষম্য সৃষ্টি হচ্ছে। কোনো বৈষম্যহীন রাষ্ট্রে ৫৬ শতাংশ কোটা থাকতে পারে না। বাংলাদেশের সরকারি চাকরিতে কোটার প্রভাব অনেক বেশি। আমরা কোটা বাতিল না, সংস্কার চাই। দ্রুত কোটা সংস্কার না করলে আমরা রাজপথ ছাড়ব না।
তারা আরো বলেন, কোটা ব্যবস্থা পুনর্বহালের মাধ্যমে সংবিধানে যে সমতার কথা বলা হয়েছে তা লঙ্ঘন করা হচ্ছে। কোনো রাষ্ট্র এতোটা বৈষম্যের মাধ্যমে চলতে পারে না। এই বৈষম্যের ফলে এই দেশে থাকতে চাইবে না আর। ফলে এই জাতি একদিন মেধাশূন্য জাতি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হবে।
উল্লেখ্য, গত ৪ ও ৭ জুলাই কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীরা সরকারি চাকরিতে কোটাবিরোধী আন্দোলনের অংশ হিসেবে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করেন।
এছাড়াও গত শনিবার (৬ জুলাই) রাত সাড়ে ৮টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক থেকে কোটা পুনর্বহালের প্রতিবাদে মশাল মিছিল বের করেন শিক্ষার্থীরা।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা