১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

প্রতিষ্ঠার ৪৪ বছর পর রামগড় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রথম সিজার

হাসপাতাল প্রতিষ্ঠার ৪৪ বছর পর প্রথম সিজার - ছবি : নয়া দিগন্ত

রামগড় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের হাসপাতাল প্রতিষ্ঠার সুদীর্ঘ ৪৪ বছর পর প্রথম অপারেশন থিয়েটার (ওটি) চালু করা হয়েছে।

শনিবার (৬ জুলাই) একজন প্রসূতির সফল সিজারিয়ান অপারেশনের মাধ্যমে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. মোজাম্মেল হক ওটি চালু করেন।

সকালে গাইনি কনসালটেন্ট ডা. মাসুমা তাবাচ্ছুমের নেতৃত্বে একদল চিকিৎসক নবপ্রতিষ্ঠিত ওটিতে বিবি রহিমা নামের এক প্রসূতির প্রথম অস্ত্রোপচার করা হয়। এতে ওই প্রসূতি এক মেয়ে সন্তানের জন্ম দেন।

বিবি রহিমা হাসপাতাল মোড় এলাকার মোহাম্মদ রাসেলের স্ত্রী। বর্তমানে মা ও নবজাতক উভয়েই সুস্থ আছেন।

সিজারিয়ান অপারেশনে দায়িত্ব পালন করেন গাইনি কনসালট্যান্ট ডা. মাসুমা তাবাচ্ছুম, অ্যানেস্থেশিয়া কনসালট্যান্ট ডা. জাহেদ, মেডিক্যাল অফিসার ডা. নাসির উদ্দীন ও ডা. রোকসানা আক্তার প্রমুখ। এ সময় স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মোজাম্মেল হক উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে রামগড় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক সঙ্কট, অপারেশন থিয়েটার বন্ধ নিয়ে ৭ মে ‘৫০ শয্যার হাসপাতালে শুধুই প্রাথমিক চিকিৎসা’ শিরোনামে দৈনিক নয়া দিগন্তে সংবাদ প্রকাশিত হয়।

জানা যায়, প্রায় ১৯৮০ সালে প্রতিষ্ঠিত ৫০ শয্যা হাসপাতালে যথেষ্ট জনবল নেই। চিকিৎসক সঙ্কট লেগেই থাকে। হাসপাতালটিতে সার্জারি, চক্ষু, অ্যানেসথেসিয়া, মেডিসিন, ডেন্টাল, অর্থোপেডিক, চর্ম ও যৌন বিভাগে কোনো চিকিৎসক নেই। নার্সের সংখ্যাও কম। যার জন্য এত দিন সিজারিয়ান অপারেশন চালু সম্ভব হয়নি। সম্প্রতি এ সঙ্কট সমাধান করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ অপারেশন থিয়েটারটি চালু করে।

রামগড় উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মোজাম্মেল হক বলেন, যোগদানের পর থেকেই চিকিৎসক সঙ্কট লেগে আছে। তবুও চিকিৎসা সেবা দেয়ার প্রচেষ্টা চালিয়ে গেছি। সর্বপ্রথম নরমাল ডেলিভারির সংখ্যা বাড়িয়েছি। পরে লক্ষ্য করি সিজারিয়ান অপারেশনের প্রয়োজন হয় অনেকক্ষেত্রে। সমস্যাগুলো জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এবং সিভিল সার্জনকে জানালে তারা আমাকে সর্বচ্চো সহযোগিতার আশ্বাস দেন। সবার প্রচেষ্টায় সঙ্কট কাটিয়ে আমরা অপারেশন থিয়েটার চালু করতে সক্ষম হয়েছি। হাসপাতাল প্রতিষ্ঠার ৪৪ বছর পর প্রথম সিজারে আমরা সফল হয়েছি। এ সফলতায় হাসপাতালের সব ডাক্তার ও নার্সরা সহযোগিতা করেছেন।

রামগড়ের সন্তান খাগড়াছড়ি জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মংশেপ্রু চৌধুরী অপু জানান, রামগড় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসা সেবা আরো উন্নত করতে আমরা কাজ করছি। চেষ্টা করছি খুব দ্রুত হাসপাতালের সব সঙ্কট সমাধান করে নির্বিচ্ছিন্ন স্বাস্থ্য সেবা দেয়ার প্রক্রিয়া চালু রাখতে।

তিনি আরো জানান, দীর্ঘ দিন পরে হলেও অপারেশন থিয়েটার চালু হওয়ায় এলাকার মানুষ সিজারিয়ান অপারেশনসহ যেকোনো অপারেশন বিনামূল্যে করাতে পারবেন।


আরো সংবাদ



premium cement