চৌদ্দগ্রামে র্যাবের অভিযানে গাঁজা ও ইয়াবাসহ আটক ১২
- চৌদ্দগ্রাম (কুমিল্লা) সংবাদদাতা
- ২৯ জুন ২০২৪, ২২:১৩
কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে অভিযান চালিয়ে ১৬ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট ও ৭৭০ গ্রাম গাঁজাসহ ১২ জনকে আটক করেছে র্যাব।
শনিবার (২৯) বিকেলে তথ্যটি নিশ্চিত করেন র্যাব-১১ সিপিসি-২ কুমিল্লার অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কমান্ডার মাহমুদুল হাসান। এর আগে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ছুপুয়া এলাকায় খাবার হোটেলে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।
আটককৃতরা হলো কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামের কালিকাপুর ইউনিয়নের ছুপুয়া দূর্গাপুর গ্রামের মাহবুল হকের ছেল বিল্লাল হোসেন, আবুল বাশারের ছেলে হুমায়ন হোসেন, শহীদপুর গ্রামের ইমরান হোসেন বাবু, নাঙ্গলকোটের মহিশ্বর গ্রামের মরহুম লোকমান হোসেনের ছেলে সাইফুল ইসলাম কামাল, একই গ্রামের মরহুম লোকমান হোসেনের মো: কাওছার, লালমাইয়ের পশ্চিম নোয়াগাও গ্রামের জাফর আলীর ছেলে জসিম উদ্দিন, চান্দিনা থানার পানিপাড়া গ্রামের আবদুল বারেকের ছেলে মো: ফয়সাল, একই গ্রামের মরহুম কবির হোসেনের ছেলে শাহেদ হাসান, চাঁদপুরের কচুয়া থানার শফিবাদের আবদুল খালেকের ছেলে মো: সোহাগ, যশোরের বাঘারপাড়া গ্রামের মাঝিআলী গ্রামের মরহুম শহীদুল ইসলামের ছেলে সালমান হোসেন, ব্রাক্ষণবাড়িয়া জেলার সরাইল থানার আইরল জাকির হোসেনের ছেলে বাবলু মিয়া ও সাতক্ষীরা সদর আলিপুর গ্রামের রেজাউল করিমের ছেলে মুন্না হোসেন।
র্যাব সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পার্শ্ববর্তী খাবারের হোটেলগুলোতে ট্রাকের চালক ও সহকারীদের কাছে মাদক বিক্রয় করে আসছিল একটি সংঘবদ্ধ চক্র। কিছু হোটেলের মালিক এবং ম্যানেজারগণ খাবার হোটেলের ব্যবসার সাথে সাথে মাদক ব্যবসার সাথেও জড়িত রয়েছে। ট্রাকের চালকরা খাবার খাওয়া এবং বিশ্রামের জন্য খাবার হোটেলগুলোতে বিরতি নিয়ে থাকে। বিরতিকালে চালক এবং সহকারীরা হোটেলগুলো থেকে মাদকদ্রব্য ক্রয় করে এবং সেবন করে। মাদকসেবী ট্রাকের চালকরা নেশাগ্রস্ত অবস্থায় রাতে মহাসড়কে গাড়ি চালায়, যার পরিপ্রেক্ষিতে সাম্প্রতিক সময়ে মহাসড়কে সড়ক দুর্ঘটনার হার আশঙ্কাজনকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। এরই প্রেক্ষিতে র্যাবের নজরদারি বৃদ্ধি করে এবং নিয়মিত টহলের অংশ হিসেবে র্যাবের একটি টিম শুক্রবার ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ছুপুয়া এলাকায় খাবার হোটেলে অভিযান চালায়। অভিযানকালে ৭৭০ গ্রাম গাঁজা ও ১৬ পিস ইয়াবা ট্যাবলেটসহ ১২ জনকে আটক করা হয়।
র্যাব-১১ সিপিসি-২ কুমিল্লার অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কমান্ডার মাহমুদুল হাসান বলেন, ‘মাদকের মতো সামাজিক ব্যাধির বিরুদ্ধে র্যাবের অভিযান অব্যাহত থাকবে। মাদকসহ আটকদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে’।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা