১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

নাঙ্গলকোটে একমাত্র কন্যাকে দেখা হলো না প্রবাসী রাশেদের

- ছবি : নয়া দিগন্ত

কুমিল্লার নাঙ্গলকোট এলাকার প্রবাসী রাশেদের একমাত্র কন্যাকে দেখা হলো না। রোববার বিকেল ৫টার দিকে বাড়ির পাশের নিচু জমির পানিতে ডুবে তার কন্যার মৃত্যু হয়েছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, কুমিল্লার নাঙ্গলকোটের ঢালুয়া ইউনিয়নের কিনারা গ্রামের বাহরাইন প্রবাসী রাশেদুল ইসলাম তিনবছর পূর্বে ছুটিতে দেশে এসে পাশ্ববর্তী চর জামুরাইল গ্রামের তানজিনা সুলতানাকে বিয়ে করেন। বিয়ের কয়েক মাস পর তার স্ত্রী সন্তান সম্ভবা হলে পুনঃরায় চলে যান বাহরাইনে।

রাশেদ চলে যাওয়ার ৪মাস পর তার স্ত্রী এক কন্যা সন্তানের জন্ম দেন। বাবা রাশেদুল ইসলামের নামের সাথে মিল রেখে ওই কন্যার নাম রাখা হয় হুমায়রা ইসলাম। এর পর থেকে বাবা রাশেদের প্রবাস জীবনে শুরু হয় সন্তানকে সামনে থেকে দেখা, জড়িয়ে ধরা ও আদর করার জন্য দেশে আসার অপেক্ষা।

মেয়ে হুমায়রা ইসলামের বয়স এখন ১৭মাস, কয়েক মাসের মধ্যে দেশে আসার কথা প্রবাসী পিতা রাশেদুল ইসলামের। কিন্তু তার দেশে এসে কন্যাকে নিজ চোখে দেখার স্বপ্ন স্বপ্নই রয়ে গেলো, এরই মধ্যে তার একমাত্র শিশু কন্যা হুমায়রা নানার বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে মামাতো ভাইয়ের সাথে খেলা করতে করতে রোববার বিকেল ৫টার দিকে বাড়ির পাশের নিচু জমির পানিতে ডুবে চলে গেছেন পরপারে। এ সময় হুমায়রার সাথে পানিতে ডুবে যাওয়া তার মামা ওমান প্রবাসী গাজী পারভেজের ছেলে আব্দুল্লাহ (৫) কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

পানিতে পড়ে যাওয়ার পর হুমায়রা ও তার মামাতো ভাইকে উদ্ধার করে নাঙ্গলকোট পাটোয়ারী হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক হুমায়রাকে মৃত ঘোষণা করেন এবং তার মামাতো ভাই আব্দুল্লাহকে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করে। কান্না জড়িত কন্ঠে হুমায়রার মৃত্যুর বিষয়টি সাংবাদিকদের কাছে মোবাইল ফোনে জানান তার বাহরাইন প্রবাসী পিতা রাশেদুল ইসলাম। সোমবার সকাল ৯টায় জানাজা শেষে হুমায়রাকে তার নানার কবরের পাশে দাফন করা হয়। হুমায়রার এমন আকষ্মিক মৃত্যুতে তার বাড়ি ও নানার বাড়িতে চলছে শোকের মাতম।


আরো সংবাদ



premium cement