‘আমরা বের হতে পারলেও ছেলে বের হতে পারেনি’
- হুমায়ুন কবির জুশান, উখিয়া (কক্সবাজার)
- ১৯ জুন ২০২৪, ১৬:১৫, আপডেট: ১৯ জুন ২০২৪, ১৬:১৮
‘রাতে খাওয়া-দাওয়া শেষ করে বাড়ির সবাই ঘুমিয়েছিলাম। মাঝরাতে ভারী বৃষ্টি শুরু হয়। ভোরে হঠাৎ বাড়ির পাশের রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে পাহাড় ধসে এসে আমাদের ঘরে পড়ে। তখন আমরা কয়েকজন বের হতে পারলেও আমার ছেলে বের হতে পারেনি। মাটিচাপা পড়ে তার মৃত্যু হয়। আমরা আহত হয়েছি‘ কান্নাজড়িত কণ্ঠে এসব বলছিলেন নিহত আব্দুল করিমের (১২) বাবা মোহাম্মদ শাহ আলম।
বুধবার ভোরে উখিয়ার থাইংখালী ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের চোরাখোলায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত শিশু আব্দুল করিম উখিয়ার পালংখালী ইউনিয়নের ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের থাইংখালী এলাকার শাহ আলমের ছেলে এবং থাইংখালী উচ্চ বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী।
পালংখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এম গফুর উদ্দিন চৌধুরী বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
এ বিষয়ে চেয়ারম্যান এম গফুর উদ্দিন চৌধুরী জানান, ‘অতি ভারী বৃষ্টির কারণে থাইংখালী ১৪ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের পাহাড়ধসে কাঁটাতারের বাহিরে শাহ আলমের বাড়িতে এসে পড়ে। এ সময় আব্দুল করিম নামে এক শিশুর মৃত্যু হয়। বিষয়টি উপজেলা নির্বার্হী কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্টদের জানানো হয়েছে। সাথে পাহাড়ে বসবাসকারীদের নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নিতে বলা হয়েছে।
এ দিকে, নয়া দিগন্তের সংবাদে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে পাহাড় ধসের ঘটনায় নিহত ১১ প্রকাশিত হলেও অন্যান্য সংবাদে নয়জনের মৃত্যুর সংবাদ প্রকাশিত হয়। সঠিক তথ্যের ভিত্তিতে নয়া দিগন্ত ১১ জনের মৃত্যুর সংবাদ প্রকাশ করে।
এই বিষয়ে শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মো: মিজানুর রহমান বলেন, ‘১১ জন নিহতদের মধ্যে ক্যাম্প-১০-এর সাতজন এবং ক্যাম্প-৯-এর তিনজন রোহিঙ্গা রয়েছে। এদের মধ্যে নয়জনের নাম জানা গেছে। একজনের নাম পাওয়া যায়নি।’
নিহতরা হলেন, মোহাম্মদ হারেছ (২), আবু মেহের (২৫), শাহানা (২২), আবুল কালাম (৫০), সেলিমা খাতুন (৪৫), মোছা, ফুতুনি (৩৪), জয়নব বিবি, মোহাম্মদ হোসেন আহমদ (৫০) ও তার স্ত্রী আনোয়ারা বেগম (১৮), এছাড়া স্থানীয় আব্দুল করিম নিহত হয়েছে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা