বাগানবাজারে মহাসড়কের ওপর পশুর হাট
- বেলাল হোসাইন, রামগড় (খাগড়াছড়ি)
- ১৫ জুন ২০২৪, ১৪:১৪, আপডেট: ১৫ জুন ২০২৪, ১৫:৫১
খাগড়াছড়ি-চট্টগ্রাম-ঢাকা মহাসড়কের ফটিকছড়ির বাগানবাজার মহাসড়কের ওপর বসানো হয়েছে কোরবানির পশুর হাট। পুরো চট্টগ্রাম জেলার সবচেয়ে বড় পশুর হাট বসে জেলার ফটিকছড়ির বাগানবাজার এলাকায়।
মহাসড়কে পশুর হাট বসানো নিষেধ থাকলেও প্রতি শুক্রবার এ নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে বছরের পর বছর ধরে চলছে এই হাট। তীব্র যানজটে দুই মিনিটের রাস্তা পার হতে প্রতি যানবাহনের সময় লাগে দেড় থেকে দুই ঘণ্টা। এত বড় হাটে নেই কোনো শৌচাগার এবং বিশুদ্ধ পানির উৎস।
সরেজমিনে বাগানবাজার পশুর হাট ঘুরে দেখা যায়, পশু বেচা-কেনার নির্দিষ্ট স্থান থাকলেও রাস্তা দখল করে অবৈধভাবে বসেছে এই পশুর হাট। পার্শ্ববর্তী খাগড়াছড়ির রামগড়,জালিয়াপাড়া, গুইমারা ও মাটিরাঙ্গাসহ আশপাশের অনেক এলাকার মানুষ পশু বেচা কেনার জন্য এই হাটে আসে। দূর-দূরান্ত থেকে আসা বেপারীরা গরু-মহিষ, ছাগল নিয়ে এলে রাস্তার মধ্যেই নামানো হচ্ছে এসব পশু। পাশাপাশি রাস্তার দুই পাশে অস্থায়ী খুঁটিতে বেঁধে রেখে চলছে বেচা-কেনা। এই সড়কে অন্য দিনের তুলনায় যানজট ছিল চোখে পড়ার মতো। ফলে অসহনীয় গরমে যানজটে নাকাল হয়ে পড়ছেন এই পথে যাতায়াতকারী যাত্রীরা। হাটে শৌচাগারের অভাবে চরম দুর্ভোগে পড়ে ক্রেতা ও বিক্রেতারা। অব্যবস্থাপনার মধ্যে হাট চললেও নির্বিকার রয়েছে প্রশাসন।
এই হাটের ইজারাদার বাগানবাজার ইউপির চেয়ারম্যান শাহাদাত হোসেন সাজুর ছোটভাই আমজাদ হোসেনসহ স্থানীয় কয়েকজন জানান, প্রতি শুক্রবারই মহাসড়কের ওপর পশুর হাট বসে। জায়গা সংকুলান না হওয়ায় রাস্তার দু’পাশে বেপারিরা পশু বেচা কেনা করে। সড়কের ওপর হাট বসানোর ফলে এ সড়কে চলাচলকারী বাস-ট্রাকসহ বিভিন্ন যানবাহন চরম ভোগান্তিতে পড়ে।
চট্টগ্রামের রাউজান এলাকার বাবুল নামের এক গরুর ব্যাপারি জানান, অব্যবস্থপনায় ভরপুর এই ঐতিহ্যবাহী গরুর হাট। প্রায় এক লাখ মানুষের সমাগম হলেও এখানে কোনো শৌচাগারের ব্যবস্থা নেয়। বিশুদ্ধ পানির ব্যবস্থা নেয়। রাস্তার ওপর দাঁড়িয়ে গরু বিক্রি করতে হয়। বিশেষকরে কোরবানির ঈদে জনসাধারণের দুর্ভোগ চরম আকার ধারন করে।
বাগানবাজার ইউপির চেয়ারম্যান শাহাদাত হোসেন সাজু জানান, উপজেলা প্রশাসনকে বিকল্প জায়গা ব্যবস্থা করার জন্য গত বছরেও অনুরোধ করা হয়েছে। ভবিষ্যতে দ্রুত ব্যবস্থা করে দেবেন বলে তিনি আশ্বাস দিয়েছেন।
তিনি আরো জানান, শৌচাগারের জন্য বরাদ্দ এসেছে। দ্রুত শৌচাগার নির্মাণের কাজ শুরু হবে।
ফটিকছড়ি উপজেলা প্রশাসনের নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও)মোজাম্মেল হক জানান,বিষয়গুলো তিনি জানতেন না।এধরনের পরিস্থিতি যেন আর সৃষ্টি না হয় এসব বিষয়ে প্রশাসন সজাগ থাকবে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা