১১ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৮ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

কঠোর নিরাপত্তায় টেকনাফ-সেন্টমার্টিন রুটে নৌ-যান চলাচল শুরু

- ছবি : নয়া দিগন্ত

কঠোর নিরাপত্তায় বঙ্গোপসাগর হয়ে টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌ-যান চলাচল শুরু হয়েছে। মিয়ানমার সীমান্ত থেকে সেন্টমার্টিন দ্বীপে যাতায়াতকারী নৌ-যান লক্ষ্য করে গুলিবর্ষণের কারণে সাত দিন বন্ধ থাকার পর বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও কোস্টগার্ডের নিরাপত্তায় শুরু হয়েছে ট্রলার চলাচল।

তবে প্রশাসনের সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার পণ্যবাহী কোনো ট্রলার সেন্টমার্টিনের উদ্দেশে ছাড়েনি। বিকল্প পথে তিনটি ট্রলারে করে সেন্টমার্টিন থেকে টেকনাফ ফিরেছেন হোটেলকর্মী, শ্রমিক ও বিভিন্ন কাজে গিয়ে আটকা পড়া তিন শতাধিক মানুষ।

টেকনাফের ইউএনও মো: আদনান চৌধুরী জানান, বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৩টায় মেরিন ড্রাইভ সড়ক সংলগ্ন টেকনাফ উপজেলার সাবরাং ইউনিয়নের মুন্ডারডেইল এলাকার সাগর উপকূলের পয়েন্ট দিয়ে সেন্টমার্টিন থেকে ট্রলারে এসব মানুষ ফিরেছেন।

আদনান চৌধুরী বলেন, ওই দুপুর ১টার দিকে সেন্টমার্টিন দ্বীপের জেটি ঘাট থেকে তিনটি ট্রলারে বিজিবি ও কোস্টগার্ড সদস্যদের নিরাপত্তায় কমপক্ষে তিন শতাধিক মানুষ টেকনাফের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। বিকেল ৩টার দিকে ট্রলারগুলো টেকনাফের মুন্ডারডেইল সাগর উপকূলে এসে পৌঁছে। কিন্তু সাগরের প্রতিকূল পরিস্থিতির কারণে এসব ট্রলার থেকে কয়েকটি ডিঙি নৌকা উপকূলের কিছু দূরে সাগরে অবস্থানকারী ট্রলারগুলোর কাছে পাঠানো হয়। পরবর্তীতে বড় ট্রলার থেকে এসব মানুষকে ডিঙি নৌকায় তুলে কূলে নিয়ে আসা হয়েছে।’

সেন্টমার্টিন ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান খোরশেদ আলম জানান, গত সাত দিন দ্বীপে আসা-যাওয়া বন্ধ থাকায় দ্বীপের খাদ্য পণ্য সঙ্কট দেখা দিয়েছে। এখন বিকল্পভাবে ট্রলার চলাচল শুরু হওয়ায় স্বস্তি মিলছে। যে ট্রলারগুলো গেছে ওই সব ট্রলার নিয়ে টেকনাফে থাকা মানুষ ফিরে আসবে।’

উল্লেখ্য, টানা সাত দিন বন্ধ থাকার পর বুধবার সন্ধ্যায় কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের এক জরুরি সভায় বৃহস্পতিবার থেকে যাত্রী আসা-যাওয়া এবং পণ্যবাহী ট্রলার চলাচল শুরুর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছিল।

এ নিয়ে ইউএনও আদনান আরো জানান, বৃহস্পতিবার টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌ-রুটের সাগরের বিকল্প পথে যাত্রী পারাপার শুরু হলেও পণ্যবাহী কোনো ট্রলার সেন্টমার্টিনের উদ্দেশ্যে টেকনাফ ছাড়েনি।

কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিট্রেট মো: ইয়ামিন হোসেন বলেন, মূলত কক্সবাজার শহরের নুনিয়ারছড়া ঘাট থেকে বড় জাহাজে ব্যবসায়ীরা পণ্য নিয়ে যাবেন। এটা ব্যবসায়ী এবং জাহাজ মালিকরা মিলে করবেন। প্রশাসন নিরাপত্তার বিষয়টি দেখবেন। এছাড়া এখন বঙ্গোপসাগর হয়ে যে ট্রলার যাত্রী আসা-যাওয়া করছে ওখানে কিছু পণ্য নিয়ে যাওয়ার খবর পাওয়া গেছে। ফলে খাদ্য সঙ্কট হবে না।

এ দিকে, টেকনাফের নাফনদী সীমান্তের ওপারে মিয়ানমারের নিকটে টানা দু’দিন ধরে দেখা মিলছে বড় ধরনের একটি জাহাজ। আর ওই জাহাজ ও মিয়ানমারের স্থল ভাগে বুধবার দিবাগত রাত থেকে বৃহস্পতিবার বিকেল পর্যন্ত চলছে গোলাগুলি। এ সময় বিস্ফোরণের বিকট শব্দ ভেসে আসছে টেকনাফ সীমান্তবর্তী এলাকায়।


আরো সংবাদ



premium cement