১৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ৩০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১২ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

আশুগঞ্জে বাড়িতে ডেকে নিয়ে যুবক খুন, ঘাতক আটক

পুলিশের হাতে আটক ঘাতক রুবেল - ছবি : নয়া দিগন্ত

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জে বাড়িতে ডেকে নিয়ে হৃদয় (২৫) নামে এক যুবককে খুন করেছে রুবেল (৪০) নামে এক মাদককারবারি।

বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) সকালে উপজেলার যাত্রাপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত হৃদয় যাত্রাপুর গ্রামের মো: জসিম উদ্দিনের ছেলে। ঘাতক রুবেল একই গ্রামের মরহুম আব্দুর রহিমের ছেলে।

জানা যায়, ঘটনার ৩ ঘণ্টার মধ্যে পুলিশ বাড়ির পাশে লুকিয়ে থাকা অবস্থায় ঘাতক মাদককারবারি রুবেলকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছে। রুবেলের বিরুদ্ধে থানায় মাদক নিয়ন্ত্রণসহ একাধিক মামলা রয়েছে বলে জানা গেছে।

প্রত্যক্ষদর্শী ও নিহতের পরিবার সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার সকালে হৃদয়কে তার নিজবাড়ি থেকে ডেকে মাদককারবারি রুবেল তার বাড়িতে নিয়ে যায়। তার বাড়ির উঠোনে দুজনের মধ্যে কথা কাটাকাটি ও হাতাহাতি শুরু হয়। একপর্যায়ে হৃদয়কে উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত করে উঠোনে ফেলে রুবেল পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয় লোকজন হৃদয়কে উদ্ধার করে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এবং পরবর্তিতে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকা নিয়ে যাওয়ার পথে ভৈরব এলাকায় মারা যায়।

খবর পেয়ে প্রথমে আশুগঞ্জ থানা পুলিশ ও পরে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। ঘাতক রুবেল বাড়ির পাশেই আত্মগোপন করে আছে জেনে পুলিশ পুরো এলাকাটি ঘিরে ফেলে। পুলিশ শ্বাসরোদ্ধকর এমন অভিযানে ঘটনার ৩ ঘণ্টার মধ্যেই পার্শ্ববর্তি একটি বাড়ি থেকে পালিয়ে যাওয়ার সময় স্থানীয়দের সহযোগীতায় তাকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।

নিহতের বাবা মো: জসিম উদ্দিন জানান, সকালে আমার ছেলে হৃদয়কে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায় রুবেল। কিছুক্ষণ পরে আমার মেয়ের জামাইয়ের ফোনে জানতে পারি আমার ছেলে রক্তাক্ত অবস্থায় উপজেলা হাসপাতালে। পরে ঢাকা নিয়ে পথে হৃদয় মারা যায়।
তিনি বলেন, আমার ছেলেকে পরিকল্পিতভাবে খুন করা হয়েছে। খুনিদের দৃষ্টান্তমুলক শাস্তি দাবি করছি।

তবে ঘাতক রুবেলে মা লালু বেগম জানান, বাড়ির উঠোনেই হৃদয়ের সাথে রুবেলের হাতাহাতির একপর্যায়ে রুবেল হৃদয়কে ছুরিকাঘাত করে। আমার এই ছেলে মাদকাসক্ত, তার অত্যাচারে আমার পরিবারটি ধ্বংস হয়ে গেছে। এ ব্যাপারে বারবার পুলিশকে বলেও এর কোনো প্রতিকার পায়নি। তার জন্য আমার স্বামী স্ট্রোক করে মারা গেছে। আমি নিজে স্ট্রোক করে চিকিৎসাধীন আছি। সে যেন জেল থেকে বেরিয়ে আসতে না পারে। নিজের ছেলের কঠিন শাস্তি দাবি করেন মা লালু বেগম।

আশুগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নাহিদ আহম্মেদ জানান, হত্যার সুনির্দিষ্ট কারণ এখনো বলা যাচ্ছে না। ঘটনার মূলহোতা রুবেলকে গ্রেফতার করা হয়েছে। হত্যা মামলা রুজু করার পর তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।


আরো সংবাদ



premium cement