১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

ফেনীতে ময়নাতদন্তের জন্য কবর থেকে লাশ উত্তোলন

ফেনীতে ময়নাতদন্তের জন্য কবর থেকে লাশ উত্তোলন - ছবি : নয়া দিগন্ত

ফেনীর দাগনভূঞা পৌর শহরের হাসপাতাল রোডে বহুতল ভবন ভূঞা ম্যানশন দখলের চেষ্টাকালে নির্যাতনের শিকার হয়ে মারা যাওয়া আবদুল গফুর ভূঞার লাশ কবর থেকে উত্তোলন করা হয়েছে।

বুধবার (১২ জুন) দুপুর ১২টার দিকে দাফনের ১২ দিন পর সদর ইউনিয়নের জগতপুর এলাকায় পারিবারিক কবরস্থান থেকে ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে লাশটি তোলে পুলিশ।

এ সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসনের সহকারি কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আবদুর রহমান, দাগনভূঞা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবুল হাসিম, মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও থানার ওসি (তদন্ত) রাসেল মিয়া। লাশ তোলার পর সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে ময়নাতদন্তের জন্য ফেনী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।

থানার ওসি আবুল হাসিম বলেন, হত্যা মামলা করার পরিপ্রেক্ষিতে আদালতের আদেশক্রমে ময়নাতদন্তের জন্য ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে লাশ উত্তোলন করা হয়। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পর পরবর্তী ব্যবস্থা নিব।’

গফুর ভূঞার ছোট ছেলে রিয়াদ হোসেন রাজু জানান, ‘অনেক হুমকি-ধামকির মধ্যে আছি। অনেক কিছু ফেস করতে হচ্ছে। মামলা করলাম এতদিন হয়ে গেছে। ওরা এখনো প্রকাশ্যে হাঁটাচলা করতেছে। আমাদেরকে থ্রেট দিচ্ছে যে মাইরা ফেলবে। মিথ্যা মামলায় জড়াবে এবং নারী কেলেঙ্কারিতে জড়াবে। অনেক প্রকার কথা বলতেছে। আমরা মামলা কেন করছি এটা নিয়া উনাদের অনেক বক্তব্য। আমরা প্রশাসনের কাছেও অনেক হেল্প চাইছি, কিন্তু উনারা কিছুই করেনি। যখন আমার আব্বু ডেথ হয়ে গেছে তখনো আমাদের মামলা নেয় নাই। আমাদের ওপর অনেক প্রেসার ছিল। এরপর আমরা আদালতে গেলাম। আদালতে মামলা নেয়ার পর ১২-১৩ দিন হয়ে গেছে, কিন্তু আসামিরা এখনো প্রকাশ্যে হাঁটাচলা করতেছে। এখন পর্যন্ত তাদের এরেস্ট কিংবা কোনো কিছুই ব্যবস্থা নেয়া হয়নি।’

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা রাসেল মিয়া বলেন, ‘মামলার তদন্তের স্বার্থে আদালতের কাছে লাশ উত্তোলন করে ময়নাতদন্তের আবেদন করলে আদালত কবর থেকে লাশ তোলার নির্দেশ দেন। এজন্য একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও এলাকাবাসীর উপস্থিতিতে লাশ তোলে মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের পর পাওয়া প্রতিবেদনের ওপর ভিত্তি করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।’


আরো সংবাদ



premium cement