১৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ৩০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১২ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

নোয়াখালীতে দাফনের ৩৬ দিন পর যুবকের লাশ উত্তোলন

নোয়াখালীতে দাফনের ৩৬ দিন পর যুবকের লাশ উত্তোলন -

নোয়াখালীর কবিরহাট উপজেলায় মৃত্যুর ৩৬ দিন পর মো: আলাউদ্দিন (২৬) নামে এক দিনমজুরের লাশ কবর থেকে তোলে ময়নাতদন্তের জন্য নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে প্রেরণ করে।

বুধবার (১২ জুন) দুপুরে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট অমৃত দেবনাথের উপস্থিতিতে উপজেলার বাটইয়া ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের বাটইয়া গ্রামের একটি কবরস্থান থেকে লাশ উত্তোলন করা হয়।

এর আগে গত ১ মে উপজেলার যাদবপুর গ্রামে নরোত্তমপুর ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান এ কে এম সিরাজ উল্যার বাড়িতে যুবককে নির্যাতনের অভিযোগ উঠে স্থানীয় চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে।

নিহত আলাউদ্দিন উপজেলার বাটইয়া গ্রামের মহিন উদ্দিনের ছেলে।

এ ঘটনায় গত ৩ জুন নিহতের মা নুরজাহান বেগম নরোত্তমপুর ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান এ কে এম সিরাজ উল্যাকে প্রধান আসামি করে নিশান (২২) ও কবির (৩০) নামে তিনজনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাত নামা পাঁচ-ছয়জনকে আসামি করে নোয়াখালীর সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ৪ নম্বর আমলি আদালতে সিআর মামলা করেন। পরে আদালতে নির্দেশে কবিরহাট থানার পুলিশ হত্যা মামলা রুজু করেন।

নিহতের পরিবারের অভিযোগ, তাদের বাড়ির জায়গা নিয়ে সমস্যা হলে নরোত্তমপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এ কে এম সিরাজ উল্যার কাছে বিচার প্রার্থনা করে। পরে তিনি নিজেই জায়গাটি ক্রয় করে নিতে চায়। ওই জায়গা নিয়ে বিরোধের জের ধরে গত ১ মে রাত ৯টার দিকে চেয়ারম্যান সিরাজ তাদের ছেলে আলাউদ্দিনকে তার বাড়িতে ডেকে নেয়। এরপর সেখানে দুই দিন আটকে রেখে তার অনুসারী নিশান ও কবিরসহ তারা আমার ছেলেকে লোহার রড, জিআই পাইপ দিয়ে বেধড়ক পিটিয়ে মাথা, হাঁটু, চোখসহ শরীরের বিভিন্নস্থানে জখম করে। পরে কে বা কারা গুরুতর আহত অবস্থায় আলাউদ্দিনকে কবিরহাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। তার অবস্থার অবনতি হলে ৫ মে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে চট্রগ্রাম মেডিক্যাল হাসপাতালে প্রেরণ করে। ৬ মে ভোর রাতে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। ৭ মে তাকে পারিবারিক করস্থানে দাফন করা হয়। আলা উদ্দিনের মৃত্যুর সংবাদ সিরাজ চেয়ারম্যানের বড় ভাই ডা. জাফর উল্যাহে জানালে তিনি বিষয়টি বাড়িতে এসে সুরাহা করবেন বলে জানায়। এরপর তিনি চট্রগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষকে বাধ্য করে চিকিৎসার কাগজপত্র না দিয়ে শুধুমাত্র তার মৃত্যুর সনদ দিয়ে রিলিজ করে দেয়।

নরোত্তমপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এ কে এম সিরাজ উল্যা অভিযোগ নাকচ করে দিয়ে বলেন, এক সময় তারা জমি বিক্রি করতে চাইছে আমি ক্রয় করিনি। আমি একজন জনপ্রতিনিধি, আমার কাজ হচ্ছে মানুষের জানমাল রক্ষা করা। আমি কোনোভাবেই এই ঘটনার সাথে জড়িত নেই। ইনশাআল্লাহ একদিন এটা প্রমাণ হবে।

কবিরহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হুমায়ন কবির বলেন, নিহতের মা আদালতে মামলা করলে আদালত থানায় মামলাটি রুজু করার নির্দেশ দেয়। আদালতের আদেশে তিনজনকে আসামি করে থানায় মামলা রের্কড করা হয়েছে।


আরো সংবাদ



premium cement