মিয়ানমার সীমান্ত দিয়ে ঢুকছে গরু, চাঁদা দিয়ে যাচ্ছে বিভিন্ন স্থানে
- রফিক আহমদ, চকরিয়া (কক্সবাজার)
- ১০ জুন ২০২৪, ১৮:৪৫, আপডেট: ১০ জুন ২০২৪, ১৯:৩০
বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্ত পথ দিয়ে অবৈধভাবে ঢুকছে শত শত গরু ও মহিষ। এসব গরু-মহিষের ট্রাক প্রতি মোটা অংকের চাঁদা দিয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে নিয়ে যাচ্ছে।
এতে স্বশস্ত্র চোরাকারবারি ও পাচারাকারী সিন্ডিকেট চক্র বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। যার ফলে সরকার হারাচ্ছে লাখ লাখ টাকার রাজস্ব। বিপাকে পড়ছে দেশীয় গরুর খামারিরা।
জানা যায়, বান্দরবান পার্বত্য জেলার আলীকদম উপজেলার কুরোকপাতা ইউনিয়নের দক্ষিণ ও পশ্চিমাংশ সিমান্তে মিয়ানমারের রাখাইন প্রদেশ। এ ইউনিয়নের সিমান্তে বেশীরভাগ এলাকা অরক্ষিত ও দুর্গম এবং নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার অরক্ষিত সীমন্তের কালায়ার চাইন্দা, রামহারির ছড়া, ফুলতলী ও ভালুখ্যায়া এলাকার দুর্গম পাহাড়ি পথ দিয়ে চোরাকারবারী ও পাচারকারী সিন্ডিকেট চক্র অবৈধভাবে নিয়ে আসা গরু-মহিষ চকরিয়া, রামু ও ঈদগাও বাজারে অবাধে বিক্রি করা হচ্ছে। এসব পাচারকারী সিন্ডিকেট বিভিন্ন পয়েন্টে চাঁদা দিয়ে নিরাপদে কক্সবাজার-চট্টগ্রাম মহাসড়ক দিয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে প্রতিনিয়ত পাচার করছে। ঈদগাও থেকে চকরিয়া সড়ক পথ পার হতে প্রতি গাড়িতে ১৫-২০ হাজার টাকা করে দিতে হয় বলে জানিয়েছেন ভুক্তভোগীরা। যার ফলে দেশীয় গরু খামারীরা তাদের পালিত গরু-মহিষ নিয়ে বিপাকে পড়েছে।
সরেজমিনে পরিদর্শনকালে দেখা যায়, সীমান্ত পাহারায় নিয়জিত বিজিবি সদস্যরা এসব অবৈধভাবে নিয়ে আসা গরু-মহিষ আটক অব্যাহত থাকলেও স্বশস্ত্র চোরাকারবারী ও পাচারকারী সিন্ডিকেট প্রতিনিয়ত সিমান্ত পথ পরিবর্তন করে এসব গরু-মহিষ পাচার অব্যাহত রেখেছেন। এ নিয়ে সীমান্তে পথে পাচারকারী চক্রের সাথে বেশ কয়েকবার গুলাগুলির ঘটনাও ঘটেছে।
এসব সিন্ডিকেটরা হাত বদল করে শত শত গরু-মহিষ বেচাকেনার জন্য নিয়ে আসেন চকরিয়া, ঈদগাও বাজারে। এসব বাজারে গরু-মহিষ বিক্রির রসিদের মাধ্যমে তা বৈধতা দেয়া হচ্ছে এবং এ রশিদের মাধ্যমে দেশের বিভিন্ন স্থানে এ সব গরু-মহিষ সহজে পাচারকরা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় খামারিরা।
এদিকে, বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তের দুর্গম পাহাড়ি পথ পাড়ি দিয়ে এসব গরু-মহিষ পাচারের সময় আলীকদম ও নাইক্ষ্যাংছড়ি বিজিবির টহলদল ইতোমধ্যে কয়েক শত গরু-মহিষ আটক করে আইনি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে নিলাম প্রদান করেন। এ প্রক্রিয়া অব্যাহত রয়েছে বলে বিজিবির সূত্রে জানা যায়।
এদিকে দেশীয় গরু খামারিরা জানান, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রাণালয়ের মন্ত্রী মহোদয় সম্প্রতি আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে কটুর নির্দশনা প্রদান করে বলেন, কোরবানের সময় কোনোভাবে সীমান্ত পথ দিয়ে অবৈধ ভাবে গরু ঢুকতে না পারে সে ব্যাপারে সজাগ তাকার আহ্বান জানান। এরপরে ও এসব ‘বার্মায়া’খ্যাত গরু-মহিষ চোরাকারবারি ও পাচারকারীরা বিভিন্ন ভাবে প্রশাসনকে মেনেইজ করে অবাধে নিয়ে আসছে। এসব গরু-মহিষের এলাকায় চাহিদা তেমন না থাকালেও তা দেশীয় গরু-মহিষের সাথে মিশিয়ে উচ্ছ মূল্যে বিক্রি করছে। এতে কোরবানি পশু ক্রেতারা বেশিরভাগ টকেছেন। এসব গরু-মহিষ অবাধে দেশের বাইরে থেকে ঢুকানোতে দেশীয় গরুর খামারিরা বিপাকে পড়েছে। তারা সীমান্ত পথ দিয়ে অবৈধভাবে গরু মহিষ আসা বন্ধ করার দাবি জানান।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা