হাতিয়ায় চেতনানাশক স্প্রে করে ঘর লুটপাট
- হাতিয়া (নোয়াখালী) সংবাদদাতা
- ০৮ জুন ২০২৪, ১৬:২০
হাতিয়ার চরঈশ্বর ইউনিয়নের গভীর রাতে ঘরের সবাইকে চেতনানাশক স্প্রে করে স্বর্ণালঙ্কার ও নগদটাকা লুটপাট করা হয়েছে। স্প্রের শিকার গৃহকর্তা শাহে আলমকে অজ্ঞান অবস্থায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হলেও তার এখনো জ্ঞান ফেরেনি।
শুক্রবার (৭ জুন) দিবাগত গভীর রাতে হাতিয়ার চরঈশ্বর ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের চরকৈলাশ গ্রামের নন্দরোড-সংলগ্ন শাহে আলমের বাড়িতে গভীর রাতে চেতনানাশক স্প্রে করে ঘরে এ লুটপাট করা হয়।
পারিপারিক সূত্রে জানা যায়, গতকালই শাহে আলমের স্ত্রী বিদেশ ফেরৎ ছোট ছেলেকে নিয়ে চিকিৎসার কাজে ঢাকায় গেলে দুই ছেলের স্ত্রী ও শাহে আলম বাড়িতে ছিলেন। শুক্রবার রাত ১০টায় গৃহকর্তা শাহে আলম বাজার থেকে এলে ঘরে তার দুই পুত্রবধূসহ রাতের খাবার খেয়ে যার যার রুমে চলে যায়। অনেক বেলা হলেও ঘরে কোনো লোকজনের ঘুম ভাঙে না। অনেক পরে ঘরের ছোট বাচ্ছাদের কান্না কাটিতে ক্রমশ পুত্রবধূরা চোখ মেলতে পারলেও চেতনানাশক স্প্রে প্রভাবে তারা উঠে দাঁড়াতে পারছে না।
একপর্যায়ে তারা দেখে যে ঘরে আসবারপত্র এলোমেলো ভাবে তছনছ হয়ে রয়েছে। আলমারি সিন্দুক সব খোলা। আলমারির ভেতর টাকাপয়সা ও স্বর্ণালঙ্কারের কিছুই নাই।
এলাকাবাসীরা হাতিয়া থানায় বিষয়টি অবহিত করলে পুলিশ গিয়ে শাহে আলমকে হাতিয়া উপজেলা হাসপাতালে প্রেরণ করে। পুত্রবধূদ্বয়কে স্থানীয় ডাক্তার ডেকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়।
হাতিয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিক্যাল অফিসার ডা. খালেদ সাইফুল্লাহ ফয়সাল বলেন, শাহে আলম চেতনানাশক যেকোনো দ্রব্যের শিকার হয়েছেন। তবে এখনো তার চেতনা ফিরে আসেনি। আমরা তাকে ভর্তি রেখে চিকিৎসা অব্যাহত রেখেছি।
হাতিয়া থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তদন্ত জানান, খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়েছি। তদন্ত স্বাপেক্ষে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা