১৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ৩০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১২ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

নজর কাড়ছে আবদুল আজিজের শাহীওয়াল জাতের লাল ষাঁড়

- ছবি - নয়া দিগন্ত

পবিত্র ঈদুল আজহার কোরবানিতে চট্টগ্রামের সেরা মাদরাসা শিক্ষক ও সৌখিন খামারী মাওলানা আবদুল আজিজের শাহীওয়াল জাতের লাল ষাঁড়ের ওপর নজর পড়ছে সবার। ওজন ২১ মণের বেশি, যা বিক্রির জন্য দাম হাকাচ্ছেন সাড়ে ছয় থেকে সাত লাখ টাকা। এ ছাড়াও একই জাতের আরো বেশ কয়েকটি সেরা ষাঁড় রয়েছে, যা দেখার জন্য মাওলানার বাড়িতে মানুষের আনাগোনা বাড়ছে প্রতিদিন।

গত কয়েক বছর ধরে মাওলানা আবদুল আজিজ সখের বসে ষাঁড় লালন-পালন করছেন। ইতোমধ্যে এই সৌখিন খামারীর ৩৬ মণ ওজনের বড় মিয়া ও ৩৫ মণ ওজনের বাংলার বাঘ ছিল চট্টগ্রাম জেলায় সেরা।

চট্টগ্রামের সাতকানিয়া উপজেলার খাগরিয়া ইউনিয়নের মোহাম্মদ আমীরখিল গ্রামের হাজী আমজু মিয়া সওদারের ছেলে আবদুল আজিজের বাড়িতেই বিশালাকারের বেশ কয়েকটি ষাঁড় লালন পালন করছেন তিনি এবং তার পরিবারের সদস্যরা। ইতোমধ্যে চট্টগ্রামের সেরা ষাঁড়গুলো দেখার জন্য তার বাড়িতে দুরদুরান্ত থেকে লোকজন ছুটে আসছে।

সরেজমিনে তার বাড়িতে গিয়ে বিশাল দেহের ষাঁড় দেখে জুড়িয়ে যায়!

এসময় মাওলানা আবদুল আজিজ জানান, সখের বসে তিনি প্রতি বছরই ষাঁড় লালন পালন করে আসছেন। দেশী খাবার ও চাষ করা উন্নতমানের ঘাস এবং ভুষি ও বিভিন্ন তেলের খৈল খাইয়ে আদর যত্নে ষাঁড় তিনটি লালন পালন করছেন। গতবার ঈদুল আজহার সময়ে বাজার থেকে ষাঁড় তিনটি কিনেন।

তিনি জানান, এক বছর থেকে প্রতিদিন গড়ে দেড় হাজার থেকে তিন হাজার টাকা ব্যয় করছেন ষাঁড়গুলো লালন-পালনের পেছনে।

আগ্রহী ক্রেতাদের তার ০১৮১৫-৯২১২৩৩ নম্বরে মোবাইলে যোগাযোগ করার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করেছেন তিনি।

মাওলানা আবদুল আজিজ দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম ইসলামী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আল জামিয়া আল ইসলামিয়া পটিয়া থেকে দাওরায়ে হাদিসে উত্তীর্ণ হয়ে গ্রামের একটি নূরানী মাদরাসায় শিক্ষকতা করছেন। পাশাপাশি তিনি নিজের জমিতে চাষাবাদ করে আসছেন।


আরো সংবাদ



premium cement