১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

চট্টগ্রামে কোরবানির গবাদিপশুর চাহিদা ৮ লাখ ৮৬ হাজার

চট্টগ্রামে কোরবানির গবাদিপশুর চাহিদা ৮ লাখ ৮৬ হাজার - ছবি : নয়া দিগন্ত

পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে কয়েকদিনের মধ্যে হাট-বাজারে কোরবানির পশু বিক্রি বেশ জমে উঠেছে। এবার ঈদুল আজহার কোরবানিতে চট্টগ্রামে গবাদিপশুর চাহিদা রয়েছে আট লাখ ৮৫ হাজার ৭৬৫টি।

এর বিপরীতে গ্রামের গৃহস্তবাড়ি ও ছোট বড় খামারে প্রস্তুত রয়েছে আট লাখ ৫২ হাজার ৩৫৯টি। এরমধ্যে এবার চট্টগ্রামের হাটে ৫০ হাজারের বেশি রয়েছে চট্টগ্রামের স্থানীয় জাতের অষ্টমুখি লাল ষাঁড়ের যোগান।

রোববার (২ জুন) বিকেলে দৈনিক নয়া দিগন্তকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন জেলা প্রাণিসম্পদ অফিসার ড. মো: নজরুল ইসলাম।

তিনি জানান, চট্টগ্রামের কোরবানিতে যে গবাদিপশুর চাহিদা রয়েছে তার বিপরীতে অন্তত ৫০ হাজারের বেশি আসবে চট্টগ্রামের সবার পছন্দের স্থানীয় জাতের অষ্টমুখি লাল ষাঁড় (রেড চিটাগাং ক্যাটল)।

চট্টগ্রামের স্থানীয় জাতের রেড চিটাগাং ক্যাটল বা লাল ষাঁড় বা অষ্ঠমুখি লাল ষাঁড় যার। শিং ঠোঁট সমগ্র শরীর লেজ খুরা কানসহ আটটি অঙ্গই লাল সে কারণে এ জাতের বাজারে উঠলেই ক্রেতাদের নজড় কাড়ে।

এবার কোরবানিতে প্রায় ৫০ হজারের অধিক রেড চিটাগাং ক্যাটল মজুদ বিক্রি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। চলতি বছর কোরবানিতে বড় বড় ষাঁড় বলদের চেয়ে মাঝারি ও ছোট মানের পশুর চাহিদা গতবারের মতো এবারো বেশি দেখা যাবে বাজারে।

কোরবানিতে সমগ্র চট্টগ্রামে প্রায় ছয় হাজার ৫০০ কোটি টাকার পশু বিক্রি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। গতবার বিক্রি হয়েছিল ছয় হাজার ১০০ কোটি টাকার পশু।

রোববার বিকেলে চট্টগ্রাম জেলা প্রাণিসম্পদ অধিদফতর কর্মকর্তা ডা. মো: আলমগীর এ তথ্য জানিয়ে বলেন, গতবছর চট্টগ্রামে চট্টগ্রামে পশুর সম্ভাব্য চাগিদা চিল আট লাখ ৭৯ হাজার ৭১৩টি। আর এ চাহিদার বিপরীতে স্থানীয়ভাবে মজুদ ছিল আট লাখ ৪২ হাজার ১৬৫টি।

চলতি বছর চট্টগ্রামের কোবারনির চাহিদার বিপরীতে পশুর উৎপাদন বা যা মজুদ রয়েছে তার মধ্যে ষাঁড় রেড চিটাগাং ক্যাটল ৫০ হাজারসহ পাঁচ লাখ ২৬ হাজার ৪৭৫টি, মহিষ রয়েছে ৭১ হাজার ৩৬৫টি, ছাগল রয়েছে এক লাখ ৯৫ হাজার ৭৮৩টি, ৫৮ হাজার ৬৯২টি ও অন্য জাতের রয়েছে ৪৪টি পশু। যা প্রাণিসম্পদ অধিদফতর চট্টগ্রাম সূত্রে জানা গেছে।

চট্টগ্রাম জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম জানান, এবারের কোরবানিতে চট্টগ্রামে কোনো গবাদিপশুর ঘাটতি তেমন থাকবে না। যা ঘাটতি রয়েছে তা প্রতি বছরের ন্যায় আশপাশের জেলা থেকেই চলে আসবে বলে তিনি প্রত্যাশা করেন।


আরো সংবাদ



premium cement