ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে ক্ষতিগ্রস্ত সেন্টমার্টিন
- হুমায়ুন কবির জুশান, উখিয়া (কক্সবাজার)
- ২৮ মে ২০২৪, ১৪:০০, আপডেট: ২৮ মে ২০২৪, ১৪:০২
ঘূর্ণিঝড় রেমাল এর প্রভাবে বেড়েছে সমুদ্রের পানি। জোয়ারের প্রবল তোড়ে ভেঙে গেছে সেন্টমার্টিন দ্বীপের চারপাশ। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে শাহপরীর দ্বীপে পশ্চিম বাঁধের দেড় কিলোমিটার। ঝড়ো বাতাসে উড়ে গেছে দ্বীপ দুটির ৫০০ বাড়িঘর, ভেঙে গেছে অসংখ্য গাছপালা।
মঙ্গলবার (২৪ মে) সেন্টমার্টিন ইউপি চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান এসব তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে সমুদ্র পানির উচ্চতা বৃদ্ধি পেয়েছে। এর ফলে দ্বীপের ডেইলপাড়া, পশ্চিমপাড়া, দক্ষিণপাড়া, পূর্বপাড়ার কিছু অংশ সমুদ্রে তলিয়ে গেছে। প্রায় ২০০ ঘরবাড়িসহ অসংখ্য গাছপালা ভেঙে গেছে। কিছু ঘরবাড়ি পুরোপুরি, কিছু আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এছাড়া ১৫ মাছ ধরার ট্রলার ভেঙে গেছে।
তিনি আরো বলেন, আজ মঙ্গলবার ভোর থেকে বাতাস বইছে। তবে জলোচ্ছ্বাস হয়নি। সকালে বৃষ্টির সাথে বাতাসের গতি বেড়েছে।
দ্বীপের বাসিন্দারা জানান, ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে গত দু’দিনে বৃষ্টি ও সমুদ্রের স্রোতে দ্বীপের কোনারপাড়া, পশ্চিমপাড়া, দক্ষিণপাড়া ও উত্তরপাড়ায় ভাঙন ধরেছে। এতে দ্বীপের বসতি, কেয়াবাগান, নারিকেল বাগান, নিশিন্দা বাগানসহ গাছগাছালি ভেঙে পড়ে গেছে। এছাড়া দ্বীপের তীরে গড়ে ওঠা হোটেল-মোটেলেও ভাঙন ধরেছে। এ কারণে জরুরী ভিত্তিতে দ্বীপ রক্ষার দাবি জানিয়েছেন সেখানকার বাসিন্দারা।
সেন্টমার্টিন দ্বীপের স্থানীয় ইউপি সদস্য মোহাম্মদ নোমান বলেন, সমুদ্রে পানি বৃদ্ধির কারণে দ্বীপের কয়েকটি অংশে ব্যাপক ভাঙন ধরেছে। ২০০ বছর আগে এ দ্বীপে বাসিন্দা ছিল মাত্র ১৩ জন। বর্তমানে নয় হাজারের বেশি মানুষ এখানে বসবাস করছেন। তার ওপরে গড়ে উঠেছে অবৈধ হোটেল-মোটেল। এর কারণে দ্বীপ দেবে গেছে। এই দ্বীপকে রক্ষা করতে হলে জরুরি ভিত্তিতে চারদিকে বাঁধ দেয়ার কোনো বিকল্প নেই।
এদিকে সাবরাংয়ে লবণ চাষিরা ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্তহয়েছে বলে জানিয়েছেন, টেকনাফের সাবরাং ইউপি চেয়ারম্যান নুর হোসেন। তিনি দাবি করেন, ঘূর্ণিঝড় রেমাল এর প্রভাবে শাহপরীর দ্বীপের পশ্চিমের বেড়ি বাঁধের একটি অংশ ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্তহয়েছে। আমার এলাকায় সব মিলিয়ে ৩০০ ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এছাড়া অসংখ্য সুপারি গাছ ভেঙে গেছে।
জানতে চাইলে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সৈয়দ সাফকাত আলী বলেন, সকাল থেকে বৃষ্টি কমলেও বাতাস এখন টেকনাফ উপজেলায় বইছে। এতে সেন্টমার্টিন ও শাহপরীর দ্বীপের ঘরবাড়ি ও গাছপালা ভেঙেছে। ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে। এছাড়া চিংড়ি ঘের ও লবণ চাষিরা ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা