নোয়াখালীতে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন, হাজার হাজার মানুষ পানিবন্দী
- মুহাম্মদ হানিফ ভুঁইয়া, নোয়াখালী অফিস
- ২৭ মে ২০২৪, ২০:৩৯
ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে নোয়াখালীর নয়টি উপজেলায় বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। এ সময় গাছপালার ও কাচা ঘরবাড়ির ব্যাপক ক্ষতি হয়। হাতিয়া অস্বাভাবিক সামদ্রীক জোয়ারে অনেক বাড়ি ঘর ১৪টি গ্রাম পানিতে ডুবে গেছে। এতে হাজার হাজার মানুষ বন্দী হয়ে পড়েছে।
জেলার নয়টি উপজেলায় ঘূর্ণিঝড় রেমালে ব্যাপক ঝড় ও ভারী বর্ষণে পিডিবি ও পল্লী বিদ্যুৎয়ের তার ছিড়ে গিয়ে বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ হয়ে গেছে। গত রোববার মধ্য রাত থেকে দীর্ঘ সময় বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন থাকায় সকল প্রকার মোবাইল ও ইন্টারনেট সেবা বন্ধ হয়ে পড়ে। তার পাশাপাশি গ্রাহকদের ফ্রিজে থাকা দ্রব্য সামগ্রী নষ্ট হয়ে যায়। প্রবল ঝড়ে শতশত ফলজ বনজ গাছ উপড়ে এবং অনেক কাচা ঘর পড়ে যায়।
এ দিকে অস্বাভাবিক জোয়ারে হাতিয়ায় অনেক বাড়িঘর পানিতে তলিয়ে যায়। জোয়ারের প্রভাবে হাতিয়ার মেঘনা নদীর পানি স্বাভাবিকের চেয়ে চার-পাঁচ ফুট পানি বেড়ে যায়। এতে হাজার হাজার মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছে।
প্লাবিত হওয়া গ্রামগুলো হলো নিঝুমদ্বীপ ইউনিয়নের মোল্লা গ্রাম, মুন্সি গ্রাম, আদর্শ গ্রাম, বান্দাখালী গ্রাম, ডুবাইয়ের খাল গ্রাম, ইসলামপুর গ্রাম, আনন্দগুচ্ছ গ্রাম, বাতায়ন গ্রাম, বসুন্ধরা গ্রাম ও ধানসিঁড়ি গ্রাম, পূর্বাচল গ্রাম, হরণী ইউনিয়নের চর ঘাসিয়া, বয়ারচর গ্রাম, নলচিরা ইউনিয়নের তুফানিয়া গ্রাম ও তমরদ্দি ইউনিয়নের পশ্চিম তমরদ্দি।
নোয়াখালী পল্লী বিদ্যুতের জিএম জাকির হোসেন বলেন, বেশ কিছু এলাকায় গাছপালা পড়ে বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে গেছে। এতে সবকটি লাইনে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে।
হাতিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শুভাশীষ চাকমা বলেন, নিঝুমদ্বীপসহ যে কটি গ্রামে নদীর ভেড়িবাঁধ নেই সে কটি গ্রাম পানিতে ডুবে যায়। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত রাত ৮টায় ভারী বর্ষণ ও ঝড় অব্যাহত রয়েছে।