কক্সবাজারের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত
- গোলাম আজম খান, কক্সবাজার অফিস
- ২৭ মে ২০২৪, ১৯:৫১
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে কক্সবাজারে সামুদ্রিক জলোচ্ছ্বাসের সৃষ্টি হয়েছে।
সোমবার (২৭ মে) সাগরে জোয়ারের পানি স্বাভাবিকের চেয়ে তিন থেকে চার ফুট বৃদ্ধি পেয়ে জেলার উপকুল ও নিম্নাঞ্চলের অর্ধশত গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।
গত রাত থেকে কক্সবাজারে বজ্রবৃষ্টি ও ধমকা হাওয়া বয়ে গেছে। এ সময় ঝড়ো হাওয়া ও বাতাসের তীব্রতায় জেলার কিছু কিছু এলাকায় গাছপালা ও কাঁচা ঘর বাড়ি ভেংগে পড়েছে। সাগর এখনো উত্তাল থাকায় মাছ ধরার ট্রলার সমুহকে নিরাপদে থাকতে বলা হয়েছে।
কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরে ৯ নম্বর মহা বিপদ সঙ্কেত নামিয়ে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সঙ্কেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। তবে ভারী বর্ষণের প্রভাবে কক্সবাজার ও আশপাশের পাহাড়ি অঞ্চলের কোথাও কোথাও ভূমিধসের আশঙ্কা রয়েছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।
মহেশখালী উপজেলার সিকদার পাড়া এলাকায় জোয়ারের তোড়ে একটি বেড়িবাঁধ ভেঙে গেছে। এতে সাগরের লোনা পানি লোকালয়ে প্রবেশ করেছে। কক্সবাজারের মহেশখালী কুতুবদিয়া সদর উপজেলার সমিতি পাড়া সেন্টমার্টিন্স দ্বীপসহ জেলার উপকূল ও নিম্নাঞ্চলের অর্ধশত গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। কিছু এলাকায় গাছপালা উপরে পড়েছে। কিছু কাঁচা ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
বিশেষ করে কক্সবাজার পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের নাজিরাটেক, কুতুবদিয়াপাড়া, সমিতিপাড়া, মোস্তাকপাড়া, ফদনার ডেইল, নুনিয়ারছড়া, পেকুয়া উপজেলার উজান্টিয়া ও রাজাখালী এলাকা কুতুবদিয়া দ্বীপ এবং মহেশখালী উপজেলার সিকদার পাড়া ধলাঘাটা ও মাতারবাড়ি ইউনিয়নের কিছু এলাকায় পুরনো বেরি বাঁধ ভেঙে গেছে। জোয়ারের পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় সেন্টমার্টিন দ্বীপের কিছু এলাকা প্লাবিত হওয়ার পাশাপাশি দ্বীপের কয়েকটি পয়েন্টে ভাঙ্গন ধরেছে।
এদিকে ভূমিধসের আশঙ্কায় পাহাড়ে ঝুঁকিপূর্ণ বসবাসকারীদের নিরাপদ আশ্রয় নিতে প্রচার চালাচ্ছে জেলা প্রশাসন, উপজেলা প্রশাসন ও পৌরসভা।
কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মুহম্মদ শাহিন ইমরান জানিয়েছেন, পাহাড়ে ঝুঁকিপূর্ণদের নিরাপদ আশ্রয় নিতে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও জনপ্রতিনিধি কাজ করছেন। সহজে নিরাপদ আশ্রয় না নিলে জোরপূর্বক সরানো হবে। ইতোমধ্যে জেলার উপকূলীয় অঞ্চলের সাইক্লোন শেল্টারে আশ্রয় নেয়া লোকজন নিজ নিজ বাড়িতে ফেরত গেছে। তবে ঘূর্ণিজড়ের কারণে কি পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তা নিরুপণ করা হচ্ছে।
কক্সবাজার আবহাওয়া অফিসের আবহাওয়াবিদ আব্দুল হান্নান জানিয়েছেন, গত ২৪ ঘণ্টায় কক্সবাজারে বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে ৯৩ মিলিমিটার। আরো দু-তিন দিন একই ধরনের বৃষ্টি অব্যাহত থাকবে। ফলে পাহাড়ধসের আশঙ্কা রয়েছে। সাগরের পানি স্বাভাবিক অবস্থার চেয়ে এখনো দুই ফুট উচ্চতায় বেড়ে রয়েছে। ফলে সাগরবর্তী এলাকায় জোয়ারের পানি প্রবেশ করবে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা