১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

ঘূর্ণিঝড় রেমাল : খাগড়াছড়িতে পাহাড় ধসের শঙ্কা

- প্রতীকী ছবি

ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে খাগড়াছড়িতে পাহাড় ধসের শঙ্কায় রয়েছে প্রায় সাড়ে তিন হাজার পরিবার। ইতোমধ্যে পাহাড়ের পাদদেশে ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাসকারীদের সরে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে প্রশাসন। পাহাড় ধ্বসের কারণে সড়ক যোগাযোগ যেন বিচ্ছিন না হয় সে জন্য কাজ করছে সড়ক ও জনপদ বিভাগ।

রেমালের প্রভাবে টানা বৃষ্টি হচ্ছে খাগড়াছড়িতে। ভারী বর্ষণের কারণে ধসের শঙ্কায় আছে পাহাড়ের পাদদেশে ও উপরে ঝুঁকিপুর্ণভাবে বাসবাসকারী প্রায় সাড়ে তিন হাজার পরিবার। বৃষ্টি অব্যাহত থাকলে জেলার সবুজবাগ, শালবাগান, কুমিল্লটিলা, কলাবাগানসহ শহরতলীর বিভিন্ন এলাকায় পাহাড় ধস দেখা দিতে পারে বলে আশঙ্কা করছে প্রশাসন।
আতঙ্ক নিয়েই সেখানে বসবাস করছে স্থানীয়রা। বাধ্য হয়েই ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাস করছে বলে জানিয়েছেন তারা।

শালবন এলাকার বাসিন্দা মোতালেব ও আবু হানিফ মহিউদ্দিন জানান, টানা বৃষ্টির কারণে এর মধ্যেই বেশ কিছু এলাকায় পাহাড়ের মাটি ধসে গেছে। খুব আতঙ্ক নিয়ে তারা বসবাস করছেন। বৃষ্টি হলে রাতের বেলায় ভয়ে ঘুম আসে না তাদের। গত বছর যেসব জায়গায় ধসের শঙ্কা ছিল, সেসব স্থানে এবারো পাহাড় ধসের শঙ্কা আছে।

এদিকে খাগড়াছড়ি সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো: মাকসুদুর রহমান জানান, জেলার দীঘিনালা-মারিশ্যা সড়ক ও মহালছড়ি-সিন্দুকছড়ি সড়কে পাহাড় ধস মোকাবেলায় কাজ করছে সড়ক বিভাগ।

পাহাড় ধ্বসে যেন যান চলাচল বিঘ্নিত না হয়, সে ব্যাপারে পর্যাপ্ত প্রস্তুতি নেয়ার কথা জানিয়েছেন এই নির্বাহী প্রকৌশলী।

জেলা প্রশাসক মো: সহিদুজ্জামান জানান, পাহাড় ধসের ক্ষয়ক্ষতি কমাতে এবং দুর্যোগ কবলিতদের বিষয়ে সার্বিক প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে প্রশাসন। খাগড়াছড়ির বিভিন্ন স্থানে পাহাড় ধসের শঙ্কা রয়েছে।

স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে সার্বক্ষণিক খোঁজ খবর রাখা হচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, দুর্যোগ মোকাবেলায় সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সব ধরনের ছুটি বাতিল করেছে জেলা প্রশাসন। খোলা হয়েছে ১০০টি আশ্রয়কেন্দ্র।
সূত্র : বাসস


আরো সংবাদ



premium cement