রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ভূমিধসের শঙ্কায় ২৭ হাজার ঘর
- উখিয়া (কক্সবাজার) সংবাদদাতা
- ২৬ মে ২০২৪, ১৬:২০
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় রেমালের কারণে কক্সবাজারে ৯ নম্বর বিপদ সঙ্কেত জারি করা হয়েছে।
আবহাওয়া অধিদফতরের সর্বশেষ বুলেটিন বলছে, প্রবল এই ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে অতি ভারী বর্ষণে কক্সবাজার, রাঙ্গামাটি, বান্দরবান, খাগড়াছড়ি ও চট্টগ্রামের পাহাড়ি অঞ্চলে ভূমিধস হতে পারে। ভূমিধস প্রবণ এলাকা হিসেবে ঝুঁকিপূর্ণ উখিয়া-টেকনাফ এর রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলো, পাহাড় বেষ্টিত এই অঞ্চলে মিয়ানমার থেকে বলপূর্বক বাস্তুচ্যুত হয়ে আশ্রয় নেয়া প্রায় ১২ লাখেরও অধিক রোহিঙ্গার বসবাস। এখানকার ঘরগুলো ত্রিপল, বাঁশের কাঠামোতে তৈরি, ক্ষতি কমাতে ইতোমধ্যে ক্যাম্পের ব্লকে ব্লকে মাইকিং করা হচ্ছে। সৃষ্ট প্রাকৃতিক দুর্যোগের ভয়-ভীতির সঞ্চয় করছে আশ্রিত রোহিঙ্গাদের মাঝে।
উখিয়া ৫ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ‘সি’ ব্লকের বাসিন্দা ছৈয়দুল্লাহ বলেন, ‘আমার বাড়ি পাহাড়ের নিচে, আগেও বৃষ্টির কারণে বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। মাইকিং চলছে ভয়ে আছি জানি না কী হবে?
এছাড়া ১১ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের নুরুল বশর বলেন, ‘আমার ঘর পাহাড়ের ওপরে। যদি বেশি বাতাস হয় তাহলে ঘর উড়ে যেতে পারে। তাই ভয়ের মধ্যে আছি।’
একই ক্যাম্পের কাদের হোসেন বলেন, ‘ক্যাম্পে আমরা ভয়ে থাকলেও আমরা আল্লাহর ওপর ভরসা রাখছি। আমরা রোহিঙ্গারা নির্যাতিত। মজলুমদের দোয়া আল্লাহ কবুল করেন। তাই ঘরে বসে বসে দোয়া করছি আল্লাহ যেন আমাদের দুনিয়াবি গজব থেকে রক্ষা করেন।
এ দিকে, রোববার সকাল থেকে অতি ঝুঁকিপূর্ণ ঘরগুলোর বাসিন্দাদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিতে দেখা গেছে স্বেচ্ছাসেবকদের তৎপরতা।
শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, দুর্যোগ মোকাবেলায় অংশ হিসেবে ৩০০০ অধিক স্বেচ্ছাসেবক রোহিঙ্গা ক্যাম্প এলাকায় কাজ করছে।
অতিরিক্ত শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার শামসুদ্দৌজা নয়ন জানান, ক্যাম্প প্রশাসন ও কর্মরত সহযোগী সংস্থাগুলোর সমন্বিত চেষ্টায় ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। গত বছর সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় মোখার সময় ভূমিধসের ঝুঁকিতে চিহ্নিত করা হয়েছিল প্রায় ২১ হাজার ঘর।
তবে, ক্যাম্প ব্যবস্থাপনায় নিয়োজিত একটি সংস্থার তথ্য বলছে, রেমালের কারণে সম্ভাব্য ভূমিধসের ঝুঁকিতে থাকা সংখ্যা প্রায় ২৭ হাজার ঘর।