ঘূর্ণিঝড় ‘রেমাল’ : বেড়েছে বাতাসের গতিবেগ
- গোলাম আজম খান, কক্সবাজার অফিস
- ২৫ মে ২০২৪, ২০:২৭
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট গভীর নিম্নচাপের প্রভাবে কক্সবাজারে সাগর উত্তাল হয়ে উঠেছে। সমুদ্র সৈকতে বেড়াতে আসা পর্যটকদের নিরাপদে থাকতে বলা হয়েছে।
সৈকতে নিয়োজিত বিচকর্মী ও লাইফগার্ড কর্মীরা পর্যটকদের সতর্কতা জারী করে মাইকিং করেছে। হাঁটু পানির নীচে পর্যটকদের গোসল করতে নিষেধ করা হয়েছে।
শনিবার (২৫ মে) সন্ধ্যার পর থেকে কক্সবাজারে বাতাসের গতিবেগ বৃদ্ধি পেয়েছে। সাগরে মাছ ধরার ট্রলার সমুহকে উপকূলে নিরাপদে চলে আসতে বলা হয়েছে।
সম্ভাব্য ঘূর্ণিঝড় ‘রেমাল’ মোকাবিলায় কক্সবাজারে ব্যপক প্রস্তুতি নিয়েছে কক্সবাজারের জেলা প্রশাসন। কক্সবাজার জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির উদ্যোগে আয়োজিত এক জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে জেলা প্রশাসক মুহম্মদ শাহীন ইমরানের সভাপতিত্বে জেলা প্রশাসকের শহীদ জাফর আলম সিএসপি সম্মেলন কক্ষে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
জেলা প্রশাসক মুহম্মদ শাহীন ইমরান দুর্যোগ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের প্রস্তুতির তথ্য শোনার পর বলেন, সংশ্লিষ্টদের পাশাপাশি হোটেল মোটেল জোনও যেন প্রয়োজন মোতাবেক দুর্যোগে সহযোগিতার হাত বাড়ায় সেই অনুরোধ করেন। রোডস অ্যান্ড হাইওয়ে, ফায়ার সার্ভিসকে জরুরি রেসকিউর জন্য প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। পাহাড়ধস এড়াতে ঝুঁকিপূর্ণ জায়গা থেকে মানুষজনকে সরিয়ে আনার জন্য পৌরসভা কর্তৃপক্ষকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। এছাড়া খাবার এবং খিচুড়ির ব্যবস্থা করতে পৌরসভাকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।
পুলিশ সুপার মাহফুজুল ইসলাম জানান ঘুর্ণিঝড় হামুন, মোখাসহ অনেক দুর্যোগ একসাথে মোকাবেলা করা হয়েছে। এবারো আশা করা যায় সবাই একসাথে কাজ করব। প্রান্তিক মানুষদের সচেতনতা ও আশ্রয়কেন্দ্রে নিয়ে এসে নিরাপদে রাখার জন্য সকলকে নির্দেশনা দিয়েছি। এছাড়াও রাতে রিচার্জেবল লাইট ব্যবহারের জন্য প্রস্তুত রাখতে বলেন।
সভায় উল্লেখ করা হয় ঘুর্ণিঝড় মোকাবিলায় উপকূল এলাকাসহ জেলায় ৮ হাজার স্বেচ্ছাসেবক জেলায় কাজ করছে। ১৩ শ’ ভলান্টিয়ার কক্সবাজারে রয়েছে। ৪ নম্বর সিগন্যাল পাওয়ার পরপরই প্রচারণায় বেরিয়ে পড়বে স্বেচ্ছাসেবক দল। এছাড়া রেড ক্রিসেন্টের ৮৮০ ভলান্টিয়ার প্রস্তুত রয়েছে। প্রতি উপজেলায় ৫০ জন করে কর্মী রয়েছে।
জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, ঘূর্ণিঝড় ‘রেমাল’ মোকাবিলায় ৬৩৮টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত করা হয়েছে। এছাড়া আট হাজার ৬০০ স্বেচ্ছাসেবক এবং ২২ শ’ সিপিপি প্রস্তুত রাখা হয়েছে জরুরি কাজে অংশগ্রহণের জন্য।
দুর্যোগ মোকাবেলায় জেলা প্রশাসন প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে বলে জানিয়েছে। জেলা প্রশাসনের কাছে চাল ৪৮৬ মে.টন চাল, ২ লাখ ৭৫ হাজার নগদ টাকা, ঢেউটিন ২৩ বান্ডিল,টিনের সাথে গৃহ নির্মাণ মঞ্জুরির অর্থ ৬৯ হাজার মজুত রয়েছে। প্রয়োজনে শুকনা খাবার মজুত করা হবে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা