পরীক্ষার হলে সন্তান, উৎকণ্ঠা নিয়ে অপেক্ষায় মা-বাবা
- মো: মানছুর আলম অন্তর, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়
- ১০ মে ২০২৪, ১২:১৮, আপডেট: ১০ মে ২০২৪, ১৪:৫৮
একজন শিক্ষার্থীর ১২ বছর ধরে অর্জিত জ্ঞান ও পরিশ্রমে লালিত স্বপ্ন বাস্তবায়নের দ্বার বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষা। স্বপ্নের বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি আসন দখল করতে রাত-দিন পরিশ্রম করতে হয় শিক্ষার্থীদের। তাদের এই স্বপ্ন পূরণের অন্যতম সারথি মা-বাবা।
শুক্রবার সারাদেশে একযোগে ২৪টি সাধারণ এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সমন্বিত গুচ্ছ পদ্ধতির ‘গ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এরই অংশ হিসেবে পরীক্ষা চলাকালীন কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রের বাইরে দেখা যায় উৎকণ্ঠা নিয়ে অপেক্ষা করছেন অভিভাবকরা।
জীবনের পথে এগিয়ে যাওয়ার অন্যতম সিঁড়ি এই ভর্তি পরীক্ষা শিক্ষার্থীরা দিলেও ছায়া হিসেবে সবসময়ই পাশে থাকেন মা-বাবা।
এমনই কয়েকজন অভিভাবকের সাথে কথা হয় দৈনিক নয়া দিগন্তের। তারা জানিয়েছেন, সন্তানের ভর্তি পরীক্ষা নিয়ে তাদের অনুভূতি, সন্তানকে নিয়ে দেখা তাদের স্বপ্ন।
বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডে চাকরি করেন তাহমিনা বেগম। চোখে-মুখে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা। কুমিল্লার জাঙ্গালিয়া থেকে এসেছেন একমাত্র মেয়েকে নিয়ে।
তিনি বলেন, ‘মেয়ের নিরাপত্তার কথা ভেবে অন্য কোথাও পরীক্ষা দেয়াইনি। আমি চাই সে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুক। বাসার কাছাকাছি থাকুক।’
মাঠের সবুজ ঘাসের ওপর বসে কাগজ দিয়ে বাতাস করছিলেন ৭৫ বছরের এক বৃদ্ধ। কুমিল্লার বেলতলী বিশ্বরোড থেকে এসেছেন নাতনিকে নিয়ে।
তিনি জানান, ‘নাতনি একদিন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়বে, মা-বাবার মুখ উজ্জ্বল করবে এমনটাই প্রত্যাশা নাতনির কাছে।’
ফেনী জেলার একটি বেসরকারি কলেজে শিক্ষকতা করেন তাজুল ইসলাম। এসেছেন মেয়েকে নিয়ে। তার কাছে মেয়ের প্রতি প্রত্যাশার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমার কোনো প্রত্যাশা নেই। কারণ মানুষ যা চায় তা পায় না। জীবন নিয়ে অভিযোগ করতে নেই। কখনো হতাশ হওয়া যাবে না। সবসময় চেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে। আমার সন্তানদের আমি এই শিক্ষা দিয়েই বড় করেছি।’
পূবালী ব্যাংকের সিনিয়র অফিসার কামালউদ্দিন এসেছেন কুমিল্লার আলেখারচর থেকে।
তিনি জানান, দেশের বাড়ি যশোরে হলেও, চাকরি সূত্রে কুমিল্লায় থাকেন। একমাত্র ছেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স পেলেও মেধা যাছাইয়ের জন্য গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা অংশগ্রহণ করাতে নিয়ে এসেছেন।
কুমিল্লার দাউদকান্দি থেকে মেয়েকে নিয়ে এসেছেন রূম্পা বণিক। তিনি বলেন, ‘একজন ভর্তিচ্ছু ক্যান্ডিডেটের অভিভাবক হিসেবে এখানে আসতে পেরে খুবই ভালো লাগছে। আমি আশাবাদী আমার মেয়ে একদিন এই বিশ্ববিদ্যালয়েই পড়বে।’
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা