প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজনন ক্ষেত্র হালদা নদীতে ডিম ছেড়েছে কার্প জাতীয় মাছ
- আবুল বাশার, হাটহাজারী( চট্টগ্রাম)
- ০৭ মে ২০২৪, ১৯:২৫
বঙ্গবন্ধু মৎস্য হেরিটেজ ঘোষিত প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজনন ক্ষেত্র চট্টগ্রামের হালদা নদীতে ডিম ছেড়েছে কার্প জাতীয় মা মাছ। মঙ্গলবার সকাল ৬টা থেকে নদীর কয়েকটি স্থানে কার্প জাতীয় মাছ রুই, কাতলা, মৃগেল, কালিবাউস মাছ নমুনা ‘ডিম’ ছাড়ে। দুপুর ১২টার পর থেকে হালদা নদীর উত্তরে সাত্তার ঘাট থেকে দক্ষিণে মদুনা ঘাট পর্যন্ত বিস্তৃত এলাকায় মা মাছ ডিম ছেড়ে দেয়।
হাটহাজারী উপজেলা প্রশাসন এবং স্থানীয় ডিম সংগ্রাহকরা বিষয়টি নিশ্চিত করে।
হাটহাজারীর গড়দুয়ারা ও মার্দাশা ইউনিয়নের মাছুয়াঘোনা ও নয়াহাট এলাকাসহ কয়েকটি স্থানেও ডিম সংগ্রহকারীরা ডিম পেয়েছেন। তবে এর পরিমাণ কম।
গত কয়েক দিনে দেখা গেছে, দুই উপজেলা হাটহাজারী ও রাউজানে চারটি সরকারি হ্যাচারি ও প্রায় দেড় শতাধিক মাটির কুয়ায় রেণুপোনা ফুটানোর জন্য নানা প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে উপজেলা প্রশাসন ও সংগ্রহকারীরা।
হালদা গবেষক ও চট্টগ্রাম ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক কলেজের প্রভাষক ড. মো: শফিকুল ইসলাম জানান, মঙ্গলবার সকাল ৬টার সময় ভাঁটার শেষে দিকে হালদা আহরণকারী নদীর রাউজান অংশের মইশকরম এলাকার চইল্যাখালিতে ডিম সংগ্রহকারী ডিম সংগ্রহ করেন। প্রতিটি নৌকায় গড়ে দুই থেকে আড়াই বালতি ডিম সংগ্রহ করেছে।
তিনি আরো জানান, ৬ মেয়ে থেকে ১০ মে পর্যন্ত হালদায় কার্প জাতীয় মাছের ডিম ছাড়ার অমাবস্যার জোঁ চলছে। সোমবার দিনের বেলা প্রায় দুই ঘণ্টা এবং রাতে বজ্রসহ ভারী বৃষ্টি হয়েছে। ফলে নদীতে ঢল নেমেছে এবং হালদার পানির ভৌত ও রাসায়নিক গুরুত্বপূর্ণ প্যারামিটারগুলো আদর্শমানের ভেতর থাকায় অনুকূল পরিবেশ পেয়ে ডিম ছেড়ে দেয় হালদার মা মাছ।
চলতি বছর হালদায় প্রথম ধাপে ছাড়া ডিমের পরিমাণ আশানুরূপ নয় বলে জানান নদীর হাটহাজারী অংশের মাছুয়াঘোনা এলাকার ডিম সংগ্রহকারী শফিউল আলম।
তিনি জানান, সকাল থেকে মাছুয়াঘোনা, নয়াহাট এলাকাসহ নদীর বিভিন্ন স্পটে শতাধিক নৌকা নিয়ে দুই শতাধিক ডিম আহরণকারী ডিম সংগ্রহ করে।
তবে হালদার রাউজান ও হাটহাজারী অংশে কী পরিমাণ ডিম আহরণ হয়েছে তার পরিসংখ্যান আরো পরে জানা যাবে।
ডিম ছাড়ার আগে মা মাছ খুবই দুর্বল থাকে। ফলে এ সময়ে মা মাছ নিধনকারীদের তৎপরতা বেড়ে যায়। এসব অপতৎপরতা রোধে উপজেলা প্রশাসন রাত-দিন তৎপর চালিয়ে যাচ্ছে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা