১৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ৩০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১২ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`
নোয়াখালীতে ইভটিজিংয়ের প্রতিবাদ:

শিক্ষকের ২ হাত ভেঙ্গে দিল কিশোর গ্যাং

- ছবি : নয়া দিগন্ত

নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে শ্রেণিকক্ষে ঢুকে ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রীকে ইভটিজিং করার প্রতিবাদ করায় শিক্ষককে পিটিয়ে দুই হাত ভেঙ্গে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে কিশোর গ্যাংয়ের বিরুদ্ধে। ভুক্তভোগী শিক্ষকের নাম মো: হাসান (৩৪)। তিনি উপজেলার মুছাপুর ইউনিয়নের জামেয়া শরাফতিয়া ইসলামিয়া ফাজিল মাদরাসার শিক্ষক।

সোমবার বিকেল ৫টার দিকে উপজেলার মুছাপুর ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে।

এর আগে বেলা পৌনে ১১টার দিকে উপজেলার মুছাপুর ইউনিয়নের জামেয়া শরাফতিয়া ইসলামিয়া ফাজিল মাদরাসার ষষ্ঠ শ্রেণির কক্ষে এ ইভটিজিংয়ের ঘটনা ঘটে।

কিশোর গ্যাং সদস্যরা হলেন, মুছাপুর ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা জহিরুল হকের ছেলে মো: রাজু (২৪) এবং একই ওয়ার্ডের নুর আলী স্বফনের ছেলে আবু নোমান (২৫)।

কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার জামেয়া শরাফতিয়া ইসলামিয়া ফাযিল মাদরাসার আরবি প্রভাষক মো: শহীদ উল্যাহ অভিযোগ করে বলেন, বেলা পৌনে ১১টার দিকে বহিরাগত রাজু মাদরাসার ক্যাম্পাসে আসেন। এরপর তিনি মাদরাসার ছাত্র নোমানের সহযোগিতায় ষষ্ঠ শ্রেণির কক্ষে ঢুকে এক ছাত্রীকে ইভটিজিং করেন। ওই সময় ছাত্রী তার ভয়ে শ্রেণিকক্ষে থাকা বেঞ্চের নিচে লুকিয়ে যায়। এরপর ইভটিজিংয়ের শিকার ছাত্রীর অন্য সহপাঠীরা বাধা দিলেও রাজু তাকে উত্ত্যক্ত করতে থাকেন। খবর পেয়ে মাদরাসার নুরানী বিভাগের শিক্ষক মো: সোহেল এগিয়ে এলে রাজু ও তার সহযোগীরা মাদরাসার ভেতরে ওই শিক্ষককে মারধর করে। তাৎক্ষণিক একই মাদরাসার শিক্ষক হাসান এগিয়ে এসে সহকর্মী শিক্ষকের ওপর হামলা ও ছাত্রীকে ইভটিজিংয়ের প্রতিবাদ করলে তার ওপর ক্ষিপ্ত হয়। পরে এ ঘটনায় মুছাপুর ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ড মেম্বার মো: রাশেদ অভিুযুক্ত কিশোর গ্যাংয়ের সদস্য রাজুর কাছ থেকে এ ধরনের কাজ আর করবে না এই মর্মে একটি মুছলেকা নিয়ে ঘটনা মিটমাট করে দেন। ওই বিরোধের জের ধরে বিকেল ৫টার দিকে মাদরাসা থেকে বাড়ি ফেরার পথে রাজু ও নোমানের নেতৃত্বে সাত থেকে আটজন সদস্য তার (হাসান) গতিরোধ করে। পরে তারা শিক্ষক হাসানের ওপর হামলা চালায়। তখন হামলাকারীরা তাকে রাস্তায় বেধড়ক মারধর করে। একপর্যায়ে তার দুই হাত ভেঙ্গে যায়। পরে গুরুতর আহত হাসানকে জেলা শহর মাইজদীর একটি প্রাইভেট হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রণব চৌধুরী বলেন, বিষয়টি আমি শুনেছি। গ্রেফতার অভিযান চলছে। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।


আরো সংবাদ



premium cement