২১ মে ২০২৪, ০৭ জৈষ্ঠ ১৪৩১, ১২ জিলকদ ১৪৪৫
`


বান্দরবানে উপজেলা নির্বাচনের আগ মুহূর্তে সরে দাঁড়ালেন আ’লীগের প্রার্থী

এ কে এম জাহাঙ্গীর - নয়া দিগন্ত

ঘোষণা দিয়ে উপজেলা নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেন বান্দরবন সদরের আওয়ামী লীগের সমর্থিত চেয়ারম্যান প্রার্থী এ কে এম জাহাঙ্গীর। দলের অসহযোগিতা, প্রচারণায় দলীয় নেতাকর্মীদের অনীহা ও নানা মুখী হুমকির কারণে তিনি নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন বলে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন।

মঙ্গলবার থেকে তার নির্বাচনী প্রচারণা স্থগিত করা হয়েছে বলে তিনি জানান। এ বিষয়ে সার্বিক পরিস্থিতি তিনি পরে সাংবাদিকদের অবহিত করবেন বলেও জানান।

এদিকে নির্বাচনের ঠিক আগ মুহূর্তে আওয়ামী লীগ সমর্থিত এই প্রার্থীর নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণায় তার সমর্থিত নেতাকর্মীদের মধ্যে হতাশা ও ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। জেলা আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ এই নেতা এবার বান্দরবান সদর উপজেলা নির্বাচনে আনারস প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। বর্তমানে তিনি সদর উপজেলার চেয়ারম্যানের দায়িত্বে রয়েছেন। সদর উপজেলায় এবার তার সাথে মোটরসাইকেল প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দিতা করছেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ নেতা আব্দুল কুদ্দুস।

এই উপজেলায় ভাইস চেয়ারম্যান পদে তিনজন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে দুজন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

এর আগে, সোমবার এক সাংবাদ সম্মেলনে এ কে এম জাহাঙ্গীর অভিযোগ করে জানান, নির্বাচনে তিনি দল থেকে কোনো ধরনের সহযোগিতা পাচ্ছেন না। তার ওপর নানাভাবে তাকে প্রাণ নাসেরও হুমকি দেয়া হচ্ছে। নির্বাচনী এলাকার ছয়টি ইউনিয়নে তাকে না যেতে চাপ প্রয়োগ করা হচ্ছে। এ অবস্থায় তার পক্ষে নির্বাচনী প্রচারণা চালিয়ে যেতে সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে।

ওই সংবাদ সম্মেলনে উদ্বুদ্ধ পরিস্থিতিতে তিনি যেকোনো সময় নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াতে পারেন বলে ঘোষণা করেন।

মঙ্গলবার সকালে তিনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে তার ব্যক্তিগত আইডিতে পোস্ট করে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেন এবং নির্বাচনী প্রচারণা তিনি স্থগিত করেছেন বলেও সাংবাদিকদের জানান।

এ বিষয়ে বান্দরবান জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক লক্ষ্মীপদ দাসের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, এবারের উপজেলা নির্বাচনে দলীয় কোনো প্রার্থী নেই। তাছাড়া কেন্দ্রের নির্দেশে কোনো প্রার্থীর পক্ষেই নেতাকর্মীরা কাজ করছে না। এ কে এম জাহাঙ্গীর যে ঘোষণা দিয়েছেন এটি তার একান্তই ব্যক্তিগত বিষয়। গত পাঁচ বছর তিনি উপজেলা চেয়ারম্যান ছিলেন। দলীয় নেতাকর্মীদের সাথে তিনি কী ধরনের সম্পর্ক রেখেছেন এটি তিনিই ভালৈা জানেন। নির্বাচনে দলীয় অনেক নেতাকর্মীই প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। কারো পক্ষেই দলের সিনিয়ররা কাজ করেননি। এখন তিনি হুমকির কথা বলছেন, দলীয় অসহযোগিতার কথা বলছেন, এটি আমাদের বোধগম্য নয়।’


আরো সংবাদ



premium cement